somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

''একজন মুক্তিযোদ্ধার স্বপ্নযাত্রা''

১৬ ই ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ৩:৩৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সময়ঃ এপ্রিল ১১, ১৯৭১ সাল
স্থানঃ তৎকালীন ২ নাম্বার সেক্টর, (সমগ্র কুষ্টিয়া ও যশোর জেলা, ফরিদপুরের অধিকাংশ এলাকা এবং দৌলতপুর-সাতক্ষীরা সড়কের উত্তরাংশ)
নামঃ টিপু সালেক
বয়সঃ ১৪ কি ১৫

১.
স্বাধীনতা যুদ্ধের ঘোষণা হয়ে গেছে, বালক টিপু যুদ্ধ কাকে বলে খুব ভাল করে হয়তো জানেনা তবে তার এটা বুঝতে দেরি নেই যে বাংলাদেশ নামক একটি ভূখণ্ডের জন্য লড়াই শুরু হয়ে গেছে। যে ভূখণ্ডের থাকবেনা তার বাবার প্রান হারাবার ভয়। তার মা নিশ্চিন্তে তাকে স্কুলে পাঠাতে পারবে। বোনকে সাচ্ছন্দে বাড়ির বাইরে যেতে দিতে পারবে। স্কুল শেষে বন্ধুদের সাথে ডাঙ্গুলি খেলতে পারবে।

এই কথা গুলো টিপু ভেবে যাচ্ছে আর পাড়ি দিচ্ছে মাইলের পর মাইল। বাবা মা বোন কে নিয়ে হেটেই যাচ্ছে। উদ্দেশ্য, রাত ফুরাবার আগে পদ্মা পার হয়ে কিছুটা নিরাপদে চলে যাওয়া। পায়ে রাজ্যের ক্লান্তি, তবুও হেটে চলছে। বিরামহীন হাঁটা শেষ হয় এক সময়ে। নদী পার হতে হলে নৌকায় উঠতে হবে। নৌকোয় উঠে ক্লান্ত গা ছেড়ে দিয়ে মায়ের কোলে ঘুমিয়ে পড়ে টিপু।

ওপারে নৌকা ভিড়ে গেছে, নৌকা থেকে নেমে আবার হেঁটে যেতে হবে। গাড়িতে চড়বে সেই অবস্থা নেই। রাস্তায় গাড়ি নেই। নৌকো থেকে নামতেই গুলির আওয়াজ। বাবার হাত ধরে দৌড়াতে গিয়ে অন্ধকারে পরে যায় টিপু। বাবার হাত ছেড়ে দিয়ে দৌড়াতে থাকে বাবার পিছু। টিপুর বাবাও পেছনের দিকে তাকিয়ে ছেলেকে দেখে, ছেলে পেছনেই আছে তাই টিপুর মা আর বোন কে ছুটতে সাহায্য করে। হঠত টিপু তাকিয়ে দেখে বাবা মা কাউকে দেখা যাচ্ছেনা। অনেক চিৎকার করেও বাবার কানে তার স্বর পোঁছাতে পারেনা। সাথে থেকে যায় বাবার হাতের টর্চ লাইট আর মায়ের হাতের একটা ব্যাগ জেটাতে ছিল মায়ের জন্য বাবার কেনা নতুন শাড়ি।

২.
এপ্রিল ১৫, ১৯৭১

বৈশাখের ২য় দিন, টিপু দৌড়াচ্ছে। কাঁধে রাইফেলের শত শত রাউন্ড বুলেট। বাবা মা কে হারিয়ে এখন টিপু সহযোগী যোদ্ধা। মুক্তি যোদ্ধাদের সাথে বুলেট, কার্তুজ, লুট করা ফাইফেল, পিস্তল বহন করে সাহায্য করে যোদ্ধাদের। কত স্বপ্ন দেখেছিল টিপু। ছোট বোন কে হাওয়াই মিঠাই কিনে দিবে বৈশাখের মেলায়। তারপর ছোট বোনকে কাধে নিয়ে ঘুরে বেড়াবে মাঠের পর মাঠ। বাবার কাছে টকা চেয়েছিল নাড়ু, মোয়া কেনার জন্য সেই টাকায় আজ টিপু কাঁধ ব্যাগ কিনেছে, সেই ব্যাগে বহন করে বুলেট। কাধে করে অল্প অল্প করে বয়ে বেড়ায় স্বাধীনতা, টিপু আজও স্বপ্ন দেখে। যুদ্ধ শেষে বাড়ি ফেরার, মায়ের বুকে আবার মাথা রেখে ঘুমাবার।

এখন আর এক মা নয় দুটি মায়ের জন্য স্বপ্ন দেখে টিপু। জন্মদাত্রী মা, আর দেশ মাতৃকা মা। টিপুর কাছে দুটোই সমান। টিপু আজ কেবল তার বাবার হাত ধরতে চায়না, টিপুর চায় সব মুক্তি যোদ্ধাযুদ্ধ শেষে বাবার হাত ধরুক, সন্তানের হাত ধরুক। টিপু আজ কেবল তার বোনের মুখে হাসি চায়না টিপু আজ দেশের সব বোনের সম্ভ্রম অক্ষুণ্ণ দেখতে চায়। সব মায়ের মুখে হাসি দেখতে চায়।

৩.
আগস্ট ২৩, ১৯৭১

টিপু দৌড়াচ্ছে। হাতে গ্রেনেড। যুদ্ধ কৌশল অনেক খানি এখন টিপুর রপ্ত করা হয়ে গেছে। এই বর্ষায় অক্লান্ত দৌড়ে যাচ্ছে টিপু। টিপু কল্পনা করে গত বছরের কথা। বাবা কিনে দিয়েছিল রঙ্গিন লাটিম। এই হাতে তার লাটিম থাকার কথা। লাটিম ছোঁড়া হয়না এ বছর আর। লাটিমের জায়গা দখল করে নেয় গ্রেনেড। লাটিম ছুড়ে যেখানে প্রতিপক্ষের লাটিম গুড়িয়ে দেয়ার কথা সেখানে গ্রেনেড হাতে আজ গুড়িয়ে দিতে যাচ্ছে পাকিস্তানী হানাদারদের ক্যাম্প। দুজন সহযোদ্ধা আটকা পড়েছে পাকিস্তানী হানাদারদের ঘাটিতে। যে করেই হোক তাদের উদ্ধার করতেই হবে। মিশন শেষে ৯ জনের মুক্তি দলের সকলেই ফিরেছে সেই দুজন বাদে। ফিরে আসা সকলেই ক্লান্ত, তিনজন মারাত্মক ভাবে যখম। একমাত্র টিপুই পারে উদ্ধার কাজে যেতে। ফিরে আসার সময় আটকে পড়া দুজনকে বলে আসা হয়েছে টিপু আসবে বাচাতে। ঘাটির পেছনের দিকে খোয়ারের পাশ থেকে টিপু সংকেত দিলে যেন প্রান প্রনে দৌড় দেয়। সময় মত টিপু গ্রেনেড হাতে পাক বাহিনির ক্যাম্পের পেছনে অবস্থান নেয়। ঝিরি ঝিরি বৃষ্টিতে অপেক্ষায় থাকে দুই সহ যোদ্ধার। বাবার হাত ছুটে হারিয়ে যাওয়ার সময় ছোট টর্চ লাইট সাথে রয়ে গিয়েছিল টিপুর। সেই লাইট সবসময় সাথে ছিল, আজও আছে। কোমর থেকে বের করে লাইট অন করে আলো ফেলে পাক হানাদারদের ক্যাম্পে। এটাই ছিল টিপুর সংকেত, সংকেত পেয়ে যখন সহযোদ্ধাদ্বয় পালাবার জন্য দৌড় দিয়ে নিরাপদ দূরত্বে তখনি পর পর দুটি গ্রেনেড ছুড়ে দেয় মিলিটারি বাহিনীর ক্যাম্পে। সফল উদ্ধার কাজ শেষ করে টিপু। উদ্ধারকৃত দুজনের একজন মারাত্মক ভাবে জখম। টিপুই কাধে করে তাকে মুক্তি ক্যাম্পে নিয়ে যায়। মনেহচ্ছিল এক দেশ কে কাধে নিয়ে দৌড়াচ্ছে টিপু।

৪.
অক্টোবর ১৩, ১৯৭১

যেদিন রাতে কোন মিশন থাকেনা সেদিন রাতে রাইফেলের বাটে মাথা রেখে ঘুমায়। তেমনি একদিন ভোরবেলা ঘুম ভেঙ্গে যায়। হঠাত মায়ের কথা মনেপড়ে টিপুর। মায়ের মুখ ভাসতে থাকে চোখে। বাবার আদর আর বোনের হাসি কল্পনা করে। স্বপ্ন দেখতে থাকে একদিন বাড়ি ফিরে যাবে। ফিরে যাবে আবার আনন্দের সময়ে। মুক্ত হয়েই তো আর কাজ শেষ নয়, তখন আত বিশাল দায়িত্ব নিতে হবে। দেশ স্বাধীন করে দেশকে গড়তে হবে চিন্তা করতে করতেই আবার একটু ঘুমিয়ে পড়ে। চোখ লেগে আসতেই কান্নার শব্দে ঘুম ভেঙ্গে যায় টিপুর। ক্যাম্পের বাইরে বের হয়ে টিপু যা দেখতে পেত তা দেখার জন্য কখনই প্রস্তুত ছিলোনা সে।

ছিন্ন শাড়ি পড়া এক মায়ের দিকে তাকিয়ে থাকতে পারছিলনা সে। মাথা নিচু করে অঝরে কেঁদে ফেলে টিপু। মায়ের যেই শাড়িটা সাথে ছিল সেটি পড়তে দেয় এই পাক হানাদারদের নির্যাতনের স্বীকার মা কে। এই মায়ের নাম বিথি। বিথি মায়েরও স্বামী ছিল সন্তান ছিল। সব হারিয়ে আজ সে নিঃস্ব। নিজ দেশের কিছু শুওরের বাচ্চা পাকিস্তানীদের সাথে হাত মিলিয়েছে এটা টিপু আগে শুনেছে। কিন্তু আজ দেখল কতটা ঘৃণ্য কাজ করে বেড়াচ্ছে এই নরপিশাচ রাজাকারগুলো। ঘুমন্ত বিথি মায়ের সংসারের উপরে এই রাজাকারদের দের সাহায্যে উন্মত্ত পৈশাচিক খেলায় মেতে ওঠে পাকিস্তানী মিলিটারি। কারন তাদের ঘরে লুকিয়েছিল দুজন মুক্তিযোদ্ধা। বিথি মায়ের স্বামীকে ঘুমের মাঝেই গুলি করে হত্যা করে শুয়োরের বাচ্চাগুলো। তার মধ্যে একটা বুলেট ছিটে গিয়ে লাগে বিথির সন্তানের বুক বরাবর। স্বামী সন্তানের মৃত্যু দেখে নিজেই রাইফেলের সামনে গিয়ে দাড়ায় কিন্তু পশু গুলো এত সহজে মুক্তি দিতে চায়নি বিথিকে। পালাক্রমে ধর্ষণ করে, সেই জারজ সন্তান রাজাকারও বিথির সম্ভ্রমের উপরে হানা দেয়। ভেবেছিল আত্মহত্যা করবে। কিন্তু মহাপাপের পথে যেতে পারেনি বিথি। শুনতে শুনতে শিউরে ওঠে টিপু। নিজ বাবা, মা, বোনের কথা ভেবে অস্থির হয়ে ওঠে। মনে মনে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ হয় বিজয়ের শেষে এসব রাজাকার গুলোকে দেশের মাটিতে কখনই থাকতে দিবেনা। মাকে চিঠি লিখে টিপু

মা,

তোমাকে হারিয়ে ফেলিনি এখনো মা। আমি আসবো বিজয়ে শেষ করেই আবার বাড়ি ফিরব মা। জানো মা? আমি এখন রাইফেল চালাতে পারি। গ্রেনেড ছুড়তে পারি। তোমার মত এই দেশটাও তো আমার মা। এই মা’কে মুক্ত করেই তোমার কাছে ফিরে আসবো। আমার জন্য একদম চিন্তা করোনা।

বাবাকে বোলো তোমার ছেলে এখন নতুন স্বপ্ন দেখতে শিখেছে, লাল সবুজের স্বপ্ন। কি যে ভালো লাগে মা সেই স্বপ্ন দেখতে তা বলে বুঝাতে পারব না। দেখো একদিন এই স্বপ্ন সত্যি করে ফিরে আসবো তোমাদের কাছে।

আর আমার বোনটার জন্য নিয়ে আসব পতাকা। লাল সবুজের পতাকা। ছোট ছোট পায়ে এই দেশ মাতার বুকে দৌড়ে খেলা করবে আমার বোন। জেখানেই থাক, ভালো থেকো মা।
আদরের টিপু।


৫.
১৬ ডিসেম্বর, ১৯৭১

চারিদিকে বিজয় মিছিল। পশ্চিম পাকিস্তান সামরিক বাহিনী আত্মসমর্পন করেছে। বিজয় নিশ্চিত হয়েছে। পৃথিবীর মানচিত্রে লাখো শহীদের বিনিময়ে ভুমিষ্ট হয় বাংলাদেশ নামক একটি সার্বভৌম দেশের। মা যখন সন্তান প্রসব করে তখন সবার মুখে আনন্দ, আর মায়ের মুখে হাসি আর কান্না দুটোই থাকে। বিজয় মিছিল হল সেই আনন্দ আর সব হারিয়ে এখন যারা নিঃস্ব তাদের কান্না হচ্ছে সেই মায়ের কান্না। আজও টিপু দৌড়ে যাচ্ছে। রাস্তার পাশে কোথাও কোথাও পড়ে আছে লাশ। ১৪ ডিসেম্বর গণহত্যা চালিয়ে পঙ্গু করেদিত্তে চেয়েছিল রাজাকার আলবদর আর পাকিস্তানীরা।

টিপু আজ দৌড়ে যাচ্ছে বাবা মা’র কাছে। পথে কোথাও কোথাও সারি সারি লাশ, কোথাও বিজয় উল্লাশ আবার কোথাও নিঃস্ব মানুষের আহাজারি। বাড়ি ফিরে গিয়ে দেখে টিপুদের ভিটেমাটি নিশ্চিহ্ন। গ্রামে গিয়ে অনেক খুজেছে বাবা মা কে। কোথাও খুঁজে পায়নি। কেউ সঠিক সন্ধান দিতে পারেনি। ঘুরতে ঘুরেতে বহু জায়গায় গিয়েছে। পথে মরে থাকা লাশ দেখে ভেবেছে এই বুঝি তার মা বাবা। কিন্তু তখনি ভেবেছে না, টিপুর বাবা মা মারা যেতে পারেনা। টিপুর স্বপ্ন মিথ্যে হতে পারেনা। বাবা মাকে স্বপ্নের কথা লিখে পাঠানো চিঠি মিথ্যে হতে পারেনা।

৬.
৪০ বছর পর... ১৬ ডিসেম্বর, ২০১১


চোখে আগের মত দেখতে পায়না টিপু। ছানি পড়ে গেছে। বাবা মা কে আর খুজেপায়নি। সময় কাটে জাতীয় স্মৃতিসৌধের ফটকের একপাশের এক ছোট খুপরি ঘরে। একাকী জীবন এখানেই কাটিয়ে দিচ্ছে। ঝাড়ু দিয়ে সবসময়ে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার চেষ্টা করে এই সমাধিকে। সারা বছরে অনেকেই আসে এখানে। বাবা মা তাদের সন্তান নিয়ে আসে, মুক্তিযুদ্ধের কথা শেখায়। দেখতে ভালই লাগে টিপুর। আজ বিজয় দিবসে লোকে লোকারণ্য হয়ে যাবে এই সমাধি প্রাঙ্গন। জাতি গোষ্ঠী ধর্ম ভুলে সবাই শ্রদ্ধা দিতে আসবে।

একপাশে দাড়িয়ে মানুষের উৎকণ্ঠা , বিজয় উল্লাশ দেখছিল টিপু। ছোট ছোট ছেলেমেয়ে মাথায় পতাকা বাঁধা, হাতে পতাকা। গায়ে লাল সবুজ জামা। চোখ ভিজে ওঠে টিপুর। যে স্বপ্ন আজ থেকে ৪০ বছর আগে দেখেছিল সেই স্বপ্ন কিছুটা হলেও সত্যি হয়েছে। হঠাত এক ৬-৭ বছরের শিশু বাবার হাত থেকে ছুটে দৌড় দেয়। ভারসাম্য রাখতে না পেরে হোঁচট খেয়ে পড়ে যাওয়ার সময় টিপু ধরে ফেলে। মাথায় লাল সবুজের পতাকা বেঁধে বাবার সাথে মুক্তি শহীদদের সমাধিতে ফুল দিতে এসেছে। টিপু এই শিশুকে ধরে উঠিয়ে দার করিয়ে দিতে শিশুটি বলে ওঠে ‘’যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাই, রাজাকারের ফাঁসি চাই’’

বুকের মাঝে ধ্বপ করে আগুন জ্বলে ওঠে টিপুর। চোখে মুখে এখন একটাই স্বপ্ন এই রাজাকার আলবদর পশুগুলোর বিচার করতে হবে। আগামি প্রজন্মের মুখে এই বহ্নি বানী শুনে আবার স্বপ্ন দেখে টিপু। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এই দেশের মাটিতেই করবে আগামী প্রজন্ম। বুকে দৃঢ় বিশ্বাস, যেমনটা বিশ্বাস ছিল যুদ্ধক্ষেত্রে দেশ স্বাধীন করার জন্য।

শিশু ছেলেটির নাম জিজ্ঞেশ করে টিপু, ‘’তোমার নাম কি বাবা?’’
‘’আমার নাম, বিজয়।‘’ টিপুর আঙ্গুল ধরে উত্তর দিতে দিতে বলে ‘’চল ফুল দেই’’

ভিজে ওঠা চোখে বেয়ে দু’ফোটা জল গরায় টিপুর। তাতে আরও সচ্ছ হয়ে ওঠে স্বপ্ন।
______________________________________

পরিশেষে বলতে চাই, এই গল্প সম্ভবনার কথা বলে। মুক্তিযোদ্ধাদের মহান আত্মত্যাগের বিনিময়ে যে স্বাধীনতা আমরা পেয়েছি তা অক্ষুণ্ণ রেখে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে সোচ্চার হওয়া এখন প্রতিটি নাগরিক ও আগামী প্রজন্মের কর্তব্য। প্রয়জনে আরেকবার যুদ্ধ হোক।
_______________________________________
সকল শহীদ মুক্তিযোদ্ধা, নির্যাতিত মা, বোন, বেচে থাকা মুক্তিযোদ্ধা, বীরাঙ্গনাদের প্রতি যথার্থ সম্মান রেখে তাদের প্রতি এই গল্পটি উৎসর্গ করলাম।
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে জুলাই, ২০১২ বিকাল ৪:৪৬
৩৫টি মন্তব্য ৩৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কাঁচা আম পাড়ার অভিযান

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১৩ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:৩২



গাজীপুর জেলার জয়দেবপুরের বাড়ীয়া ইউনিয়নের দেউলিয়া গ্রামে আমার প্রায় ৫২ শতাংশ জমি কেনা আছে। সেখানে ছোট একটি ডোবা পুকুর, অল্প কিছু ধানের জমি আর বাকিটা উঁচু ভিটা জমি। বেশ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমরা কেন এমন হলাম না!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৪ ই মে, ২০২৪ সকাল ৯:৪১


জাপানের আইচি প্রদেশের নাগোইয়া শহর থেকে ফিরছি৷ গন্তব্য হোক্কাইদো প্রদেশের সাপ্পোরো৷ সাপ্পোরো থেকেই নাগোইয়া এসেছিলাম৷ দুইটা কারণে নাগোইয়া ভালো লেগেছিল৷ সাপ্পোরোতে তখন বিশ ফুটের বেশি পুরু বরফের ম্তুপ৷ পৃথিবীর... ...বাকিটুকু পড়ুন

অভিমানের দেয়াল

লিখেছেন মোঃ মাইদুল সরকার, ১৪ ই মে, ২০২৪ সকাল ১১:২৪




অভিমানের পাহাড় জমেছে তোমার বুকে, বলোনিতো আগে
হাসিমুখ দিয়ে যতনে লুকিয়ে রেখেছো সব বিষাদ, বুঝিনি তা
একবার যদি জানতাম তোমার অন্তরটাকে ভুল দূর হতো চোখের পলকে
দিলেনা সুযোগ, জ্বলে পুড়ে বুক, জড়িয়ে ধরেছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের গ্রামে মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি

লিখেছেন প্রামানিক, ১৪ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৩১



২৬শে মার্চের পরে গাইবান্ধা কলেজ মাঠে মুক্তিযুদ্ধের উপর ট্রেনিং শুরু হয়। আমার বড় ভাই তখন ওই কলেজের বিএসসি সেকেন্ড ইয়ারের ছাত্র ছিলেন। কলেজে থাকা অবস্থায় তিনি রোভার স্কাউটে নাম... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিকেল বেলা লাস ভেগাস – ছবি ব্লগ ১

লিখেছেন শোভন শামস, ১৪ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৪৫


তিনটার সময় হোটেল সার্কাস সার্কাসের রিসিপশনে আসলাম, ১৬ তালায় আমাদের হোটেল রুম। বিকেলে গাড়িতে করে শহর দেখতে রওয়ানা হলাম, এম জি এম হোটেলের পার্কিং এ গাড়ি রেখে হেঁটে শহরটা ঘুরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×