আমাদের দেশের সরকার প্রধানতো নামাজ আর কোরান পড়েন,তিনিতো অবশ্যই জানেন যে- আল্লাহ কোরানে হত্যার বদলে হত্যার নির্দেশ দিলেও সাথেসাথে ধৈর্য্য আর ক্ষমার কথাও উল্লেখ করেছেন।আর যারা ধৈর্য্য ধারন করবে এবং ক্ষমা করবে তাদের জন্য শেষ বিচারের দিন বিশেষ পুরস্কারেরও ঘোষনা দিয়েছেন।আমার এক কলিগের বাবা মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন।মুক্তিযুদ্ধা হওয়ার সুবাদে যে সুবিধাগুলো পাওয়া যায় ওনি এসব থেকে নিজেকে বিরত রেখেছেনই তাঁর সন্তানদেরও নির্দেশ দিয়ে রেখেছেন নিজের পরিশ্রম,মেধা আর যোগ্যতা দিয়ে সবকিছু অর্জন করে নিতে।হয়ত ঊনি মুক্তিযুদ্ধ করার পুরস্কার আল্লাহর কাছ থেকে পেতে অপেক্ষা করে আছেন।আমরা কেন উনাদের মত উদার হতে পারিনা?
যে দলেরই হোক সত্যিকারের যুদ্ধাপরাধীদের রাসূল (সাঃ) এর অনুসারী হয়ে ক্ষমা করে না দিলেও ৪২ বছর আগের তাদের পাপের বিচার আল্লাহর উপর ছেড়ে দিতে পারি এবং এই সময়ে সংঘটিত সকল অপরাধের বিচারের দাবি করি।আল্লাহর চেয়ে বড় বিচারকতো আর হতে পারেনা। আর আমাদের মরহুম শেখ মুজিবুর রহমানতো সকল যুদ্ধাপরাধীদের ক্ষমা করে দিয়েছিলেন।তাছাড়া এসব বিচার না করেই ৪২বছর দেশ ভালই পরিচালিত হচ্ছিল।ক্ষমতার দন্ধ নিয়ে সৃষ্ট অশান্তি ছাড়া দেশেতো আর কোনো অশান্তি ছিলনা।এতবছর পর কেন ক্ষুদ্র কিছু জনগোষ্টীর স্বার্থে রাজনীতীর সাথে এই একপেশে যদ্ধাপরাধ ইস্যুটা দাড় করিয়ে বাংলাদেশের মোট জনগোষ্টির একটা বড় অংশের অস্তিত্বকে বিপন্ন করে তুলেছেন?
আল্লাহ তায়ালা কোরানে ন্যায়বিচার সম্পর্কে বারবার সতর্ক করেছেন যারা অন্যায় বিচার করবে তাদের জন্য কঠোর হতে কঠোরতর শাস্তির ঘোষনা দিয়েছেন।এখন যেসব যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চলছে এই বিচারে সামান্যও যদি এদিক ওদিক হয় এবং কোনো নিরাপরাধ ব্যক্তি শাস্তি পায় তবে রোজ কেয়ামতের দিনে এই বিচার ব্যবস্থার সাথে জড়িত সংশ্লিষ্ট সকলকে আসামীর কাঠগড়ায় দাড়াতে হবে।যদি ক্ষমতা,নির্বাচনী এশতেহার পূরণ ও তৃতীয় পক্ষকে সন্তষ্টির লক্ষই যদি এসব রায় কার্যকরের একমাএ কারণ হয় তবে দেশের মানুষ এর বিচার করতে না পারলেও আল্লাহর এশতেহারে এদের বিচার অবশ্যই হবে।
(চলবে …)