somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

শের শায়রী
অমরত্বের লোভ কখনো আমাকে পায়না। মানব জীবনের নশ্বরতা নিয়েই আমার সুখ। লিখি নিজের জানার আনন্দে, তাতে কেউ যদি পড়ে সেটা অনেক বড় পাওয়া। কৃতজ্ঞতা জানানো ছাড়া আর কিছুই নেই।

শের শায়রী

১৪ ই ডিসেম্বর, ২০১২ সকাল ৭:০০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :




শের শায়রী (এক)

চমনমে ইখতালাতে রঙো বু সে বাত বনতি হ্যায়
হাম ই হাম হ্যায় তো কেয়া হাম হ্যায়
তুমহি তুম হো তো কেয়া তুম হো
--সারসার সালানী

বাগানে যে ফুল ফোটে রঙ আর সুরভীর মিলনেই তার সাথ’কথা। তেমনি আমাদের দুজনের মিলনেই আমাদের চরম মূল্যায়ন, আমাদের জীবনের পূন’তা। একা আমি তো অসম্পূন’ একা তুমি ও নেহায়ত মূল্যহীনা

শের শায়রী (দুই)
ও ঔর হোঙ্গে যো পীতে হ্যায় বেখুদিকে লিয়ে
মুজেসে চাহিয়ে থোরিসে জ়িন্দেগীকে লিয়ে

 জিগর মুরদাবাদী

ওরা আলাদা জাতের লোক যারা সুরা পান করে জীবন কে ভূলে যাবার জন্য, আমার তো সুরার প্রয়োজন হয় জীবনকে ফিরে পাবার জন্য



শের শায়রী (তিন)

ময়নে যো তুমকো চাহা, কায়া ইসমে খতা হ্যয়
এ তুম হো, আ আয়না, ইনসাফ জরা করনা
--- জলীল মানিকপুরী


আমি যে তোমাকে চাইছি এটা অপরাধ কি? এই তুমি এইবার তোমার সামনে এই আয়না রাখছি, দেখে বিচার কোর, হে প্রিয়া তুমি এত সুন্দরি কার সাধ্য তোমাকে না ভালবাসে থাকতে পারে, নিযেকে আয়নায় দ্যাখ বুজতে পারবে এত সুন্দরি কে সবাই চাইতে পারে এতে কারো কোন অন্ন্যায় নাই।

শের শায়রী (চার)

বদল যায়ে আগর মালী
চমন হোতা নেহী খালি
বাহারে ফিরভি আতি হ্যায়
বাহারে ফিরভি আয়েঙ্গে
---দাগ
মালি বদলে গেলে বাগান খালি হয়ে যায়না, শুন্য হয়ে যায় না বাগানের ফলস্মভার। কেন না বসন্ত আবারও আসবে তার ফুল সাজি নিয়ে, মালী আনেক বদলাবে কিন্ত বসন্তের আগ্মন তাতে কোন দিন রুদ্দব হবে না

শের শায়রী (পাচঁ)

ও কৌন হ্যায় জিনহে তওবা কি মিল গই ফুরসত
হামে গুনাহ ভি করনে কি জিন্দেগী কম হ্যায়
--- আনন্দনারায়ন মুল্লা

ওরা কারা যাদের পাপ করার পর প্রায়শ্চিত্ত করার জন্যও সময় জুটে যাছে? আমার তো জীবন এত স্বল্প লাগছে যে, এক আধ-টুকরো যে পাপ করবো, তার ও সময় জুটছে না!

শের শায়রী (ছয়)
জিসনে দিল খোয়া ঊসী কো কুছ মিলা,
ফায়দা দেখো উসী লুকসান মে
---সারসার সালানী

যে হৃদয় হারিয়েছে সেই কিছু পেয়েছে। এটাই পৃথিবীর একমাত্র লোকসান যাতে আসলে লাভই ভাগ্যে জুটে যায়।



শের শায়রী (সাত)

নিকল কে জাউ কহা তেরী আঞ্জুমন সে সিবা
চমন কী বু হুঁ বসুঁ ফির কাহাঁ চমন কে সিবা
---মোমিন

তোমার পৃথিবী, তোমার হৃদয় ছেড়ে কোথায় যাব বল? আমি হচ্ছি ফুলের সুগন্দ। ফুল ছেড়ে কোথায় আর যেতে পারি আমি। তুমি আমার ফুল আর প্রেম আমার হল সেই ফুলের সুরভী। ফুল ছেড়ে সেই সুরভী কি চলে যেতে পারে?

শের শায়রী (আট)
মৌৎ কিৎনিহি সংদিল হ্যায় মগর
জিন্দেগী সে তো মেহেরবাঁ হোগী
--- শাহীর লুধীয়ানবী

মৃত্যু যতই নিষথুর হোক না কেন জীবনের চাইতে অনেক বেশী হৃদয়বান হবে

শের শায়রী (নয়)

কেয়া বুরী শয় হ্যায় মুহব্বত কি ইলাহী, তওবা
জুম’ না কর ওহ খতাবার বনে বৈঠৈ হ্যায়।

--- জহীর

ভালোবাসা কি অভিশপ্ত বস্তু হে ঈশ্বর তুমি সৃস্টি করেছো। অন্যায় না করেও সব’দা অপরাধী সেজে বসে থাকতে হয়। সত্যি ভাবলে আশ্চয’ হতে হয়।

শের শায়রী (দশ)

না কোই গাম থা তেরে আষিকি ছে পেহেলে
না থা দুষমনি কিসি সে তেরে দোস্তি সে পেহেলে


তোমার প্রেমের আগে কোন বেদনা ছিলো না
তোমার বন্ধুত্বের আগে কোন শত্রু ছিলো না





শের শায়রী (এগার)

এ তো নহি কি তুমসা জহামে হাসিন নহি
ইশ দিলকা কেয়া করু কি বহলতা কহি নেহি।
--- দাগ


এমন তো কথা নেই যে পৃথিবীতে তোমার চাইতে সুন্দরী আর কোথাও নেই। কিন্তু কি করব আমার এ হৃদয় অন্য কারো কাছে যাবে না। শুধু তোমার জন্যে এ হৃদয় পাগল হয়ে উঠেছে। বোঝালেও এ অবুঝ হৃদয় কিছুতেই বুঝবেনা।

শের শায়রী (বার)

গই থি কহকে লায়েগী জুলফে ইয়ার কি বু
ফিরি তো বাদেসবা কা দিমাগ ভি না মিলা
--- জলাল

যাবার সময় হাওয়া বলে গিয়েছিল যে তোমার চুলের মদির গন্দ্ব সঙ্গে নিয়ে ফিরে আসবে। কিন্তু ফেরার সময় হাওয়ার সে কি গব’ভরা ভাব, সেকি মেজাজ হাওয়ার, আমার দিকে ফিরেও তাকাল না।

শের শায়রী (তের)

খোদাসে হুস্নুনে একদিন এ সওয়াল কিয়া
জাহাঁমে তু মুজে কিউ না লাজওয়াল কিয়া
মিলা জবাব তসবীরখানা হ্যায় দুনিয়া
সবে দরাজে আদম কা ফসানা হ্যায় দুনিয়া
হুই হ্যায় রঙ তগায়ুরসে যব নমুদ উসকি
ওহি হাসিন হ্যায় জাঁহামে হ্যায়, হকিকৎ জিসকি।
কহি করিব থা এ গুফতুগ কমরনে শুনি
ফলগপে আম হুই আখতারে সহরনে শুনি
সহরনে তারোঁসে শুনাই তারোঁনে শবনমকো
ফলগকি বাৎ বাতাদি জমিকে মহরমকো
ভর আয়ে ফুলকে আঁসু পয়ামে শবনমকে,
কলিকা নান্নাসা দিল খুল হো গিয়া গমসে
--- কলীম

ঈশ্বরকে একদিন প্রশ্ন করল রূপ – হে ঈশ্বর, ধরাতে আমাকে তুমি অমর করোনি কেন? ঈশ্বর উত্তর দিলেন, - এ পৃথিবী হল প রিবত’নশিল চলচিত্রের প্রেক্ষাগৃহ, অন্তহীন রাত্রির চলমান কাহীনি হচ্ছে পৃথিবী। স্বল্পস্থায়ী জীবন ই হল রূপের আয়ু, এ সত্যই রুপকে এত আকষ’নীয় করেছে, করেছে মুল্যবান। অনিত্যতাই সত্য, আর সত্যই সুন্দর। অমরত্ব কাউকে আমি দেইনি। জন্ম মানেই মৃত্যু। আদির পর অন্ত। যৌবনের পর জরা। ঈশ্বর ও রূপের কথোপকথন শুনে ফেলল চাদঁ। সে কাছেই ছিল। চাঁদ এসে সারা আকাশকে শুনিয়ে দিল সে কথা। সারা আকাশে রটে গেল রূপ ও জীবনের স্বল্পয়ুর কঠিন সত্য। ঊষার প্রথম তারা সে খবরটা শিশিরের কানে কানে বলে ছিল। শিশির সে খবর নিয়ে এল পৃথিবীর বুকে। শিশিরের কাছে সে দুঃসংবাদ শুনে ফুলের চোখ জলে ভরে গেল। কাছেই ছিল কলি। এ খবর শুনতেই দুঃখে হৃদয় ফেটে তার লাল হয়ে গেল। মানে ফুল হয়ে ফুটে উঠল সেই বিদীণ’হৃদয় কলি।


শের শায়রী (চৌদ্দ)

কভি ব্যয়ঠে বৈঠয়ে দিলকি হালত এয়সি হোতি হ্যায়
তড়গকর চ্যয়নে মিলতা হ্যায়, খুশি রোনসে হোতি হ্যায়
--- সারসার সালানী

কখনও কখনও মনের অবস্থা এম্নও হয় যে কৃচ্ছতায়ই শান্তিলাভ হয়, অঝোর অশ্রুপাতেই শান্ত হয় চিত্ত।



শের শায়রী (পনের)
আপকে বিসরী তো হাম খোয়াবোঁমে মিলে
যিসতারা শুখি হুই ফুল কিতাবোঁমে মিলে
--- ফৈজ

বিচ্ছেদের পর আমাদের দু’জনের মিলন কোথায় হবে? কোথায় তোমায় পাব? জানি পাব সুধু স্মৃতিস্বপ্নের আকাশে। যেমন পুজোর পবিত্র শুকনো ফুল অনেকদিন পরে মানুষ হঠাৎ খুঁজে পায় বইয়ের পাতার ভাঁজে। তোমার পবিত্র সুখস্মৃতির ফুল তেমনি হঠাৎ খুজে পাব আমার স্বপ্নায়নের পাতার ভাঁজে। কালগ্রাসে বিবন’ শুষ্ক। কিন্ত পবিত্র, সংরক্ষিত।


শের শায়রী (ষোল)

তেরা মিলনা, তেরা নেহি মিলনা
ঔর জিন্নাত হ্যায় কেয়া, জাহান্নাম কেয়া
--- গালিব

স্বগ’ আর নরক কি আমি জানতাম না। হে প্রেয়সী তোমার সাথে আমার মিলনই হল স্বগ’ আর তোমার সাথে বিরহই হল নরক। এখন আমি জেনেছি স্বগ’ আর নরক এর সংগা কি


শের শায়রী (সতের)
মেরে তসবিকে দানে হ্যায় এ সারে হাসিন চেহরে,
নিগাহ ফিরতে যাতি হ্যায়, এবাদত হোতি যাতি হ্যায়
--- সারসার সালানী


এই যে এত সুন্দরীদের মুখ এরা হল আমার পুজোর মালার এক একটি পুতি। একটার পর একটা মুখ দেখি আর আমার দৃস্টির আঙ্গুলি দিয়ে নীরবে পুজো সেরে চলি।



শের শায়রী (আঠার)
আচ্ছা হ্যায় দিল কে পাস রহে পাসবানে-অকল
লেকিন কভি কভি ইসে তনহা ভী ছোড়িয়ে
--- ইকবাল

হৃদয়ের কাছে বুদ্ধির বাস ভাল কথা। কিন্তু মাঝে মঝে হৃদয়ের ওপর থেকে বুদ্ধির শাসন তুলে দিতে হয়, হৃদয়কে স্বাধীন করে দিতে হয়, মুক্ত করে দিতে হয়। স্বাধীন মুক্ত হৃদয়ের ধর্মকে সব সময় বুদ্ধি দিয়ে বিচার করতে নেই

শের শায়রী (ঊনিশ)
আপকে বিসরী তো হাম খোয়াবোঁমে মিলে
যিসতারা শুখি হুই ফুল কিতাবোঁমে মিলে
--- ফৈজ

বিচ্ছেদের পর আমাদের দু’জনের মিলন কোথায় হবে? কোথায় তোমায় পাব? জানি পাবো শুধু স্মৃতিস্বপ্নের আকাশে। যেমন পুজোর পবিত্র শুকনো ফুল অনেকদিন পরে মানুষ হঠাৎ খুঁজে পায় বইয়ের পাতার ভাঁজে। তোমার পবিত্র সুখস্মৃতির ফুল তেমনি হঠাৎ খুজে পাব আমার স্বপ্নায়নের পাতার ভাঁজে। কালগ্রাসে বিবন’, শুষ্ক। কিন্ত পবিত্র, সংরক্ষিত।

শের শায়রী (বিশ)

খোদাসে হুস্নুনে একদিন এ সওয়াল কিয়া
জাহাঁমে তু মুজে কিউ না লাজওয়াল কিয়া
মিলা জবাব তসবীরখানা হ্যায় দুনিয়া
সবে দরাজে আদম কা ফসানা হ্যায় দুনিয়া
হুই হ্যায় রঙ তগায়ুরসে যব নমুদ উসকি
ওহি হাসিন হ্যায় জাঁহামে হ্যায়, হকিকৎ জিসকি।
কহি করিব থা এ গুফতুগ কমরনে শুনি
ফলগপে আম হুই আখতারে সহরনে শুনি
সহরনে তারোঁসে শুনাই তারোঁনে শবনমকো
ফলগকি বাৎ বাতাদি জমিকে মহরমকো
ভর আয়ে ফুলকে আঁসু পয়ামে শবনমকে,
কলিকা নান্নাসা দিল খুল হো গিয়া গমসে
--- কলীম

ঈশ্বরকে একদিন প্রশ্ন করল রূপ – হে ঈশ্বর, ধরাতে আমাকে তুমি অমর করোনি কেন? ঈশ্বর উত্তর দিলেন, - এ পৃথিবী হল প রিবত’নশিল চলচিত্রের প্রেক্ষাগৃহ, অন্তহীন রাত্রির চলমান কাহীনি হচ্ছে পৃথিবী। স্বল্পস্থায়ী জীবন ই হল রূপের আয়ু, এ সত্যই রুপকে এত আকষ’নীয় করেছে, করেছে মুল্যবান। অনিত্যতাই সত্য, আর সত্যই সুন্দর। অমরত্ব কাউকে আমি দেইনি। জন্ম মানেই মৃত্যু। আদির পর অন্ত। যৌবনের পর জরা। ঈশ্বর ও রূপের কথোপকথন শুনে ফেলল চাদঁ। সে কাছেই ছিল। চাঁদ এসে সারা আকাশকে শুনিয়ে দিল সে কথা। সারা আকাশে রটে গেল রূপ ও জীবনের স্বল্পয়ুর কঠিন সত্য। ঊষার প্রথম তারা সে খবরটা শিশিরের কানে কানে বলে ছিল। শিশির সে খবর নিয়ে এল পৃথিবীর বুকে। শিশিরের কাছে সে দুঃসংবাদ শুনে ফুলের চোখ জলে ভরে গেল। কাছেই ছিল কলি। এ খবর শুনতেই দুঃখে হৃদয় ফেটে তার লাল হয়ে গেল। মানে ফুল হয়ে ফুটে উঠল সেই বিদীণ’হৃদয় কলি।

শের শায়রী (একুশ)
দুশমনি জমকর করো, এ গুঞ্জাইশ রহে
যব কভি হাম দোস্ত হো যায়েঁ তো শরমিন্দা না হো।
--- জগন্নাথ আজাদ

শ্ত্রুতা করার সময় হে বন্দ্বু, একটু ভেবেচিন্তে কর। দেখো এত নিষ্ঠুর ভয়ংকর শত্রুতা কর না যে পরে যদি বন্দ্বু হয়ে যাই তখন লজ্জিত হতে হয়। তোমার শত্রুতার মধ্যে একটু ছেদ রেখ, সুযোগ রেখ বন্দ্বু। যতির পর পুরানো বন্দ্বুত্ব ফিরে পেলে লজ্জা নেই, কিন্তু শ্ত্রুতার চরমে যদি আজ বন্দ্বুত্ব ছিন্ন করে ফেল, পুন’মিলনের সময় লজ্জায় মুখ তোলা যাবে কি করে। সুতারাং হে বন্দ্বু, শ্ত্রুতা করবার সময় সম্পকে’ ছেদ রেখ, ছিন্ন করে ফেল না



শের শায়রী (বাইশ)
বড় শওকশে শুন রাহা যা জমানা
হামই শো গয়ে দাস্তাঁ কহতে কহতে
---নাকব লাখনবী

সময় বড় মনযোগ দিয়ে আমার জীবন কাহিনী শুনে যাচ্ছিল। আমিই কাহিনী বলতে বলতে ঘুমিয়ে পড়েছি। জীবন তো তাই, অসমাপ্ত কাহিনী। সময় চলছে চলবে। আর অসমাপ্ত কাহিনী নিয়ে এক একটি জীবন ঘুমিয়ে পড়ছে, শেষ হয়ে যাচ্ছে। সময় শুনছে এরকম কতো অসমাপ্ত কাহিনী, শুনবে আরো কত।

শের শায়রী (তেইশ)
ইস এতিয়াত কি ক্যা বরখ দাও দেতা হুঁ
কে তিনতা তিনতা বাচাঁ মেরে আশিয়াঁকা সিবা
--- সারসার সালানী

হে ঈশ্বর, তোমার নিপুন সতক’তার জন্য বাহবা দিতে হয়। তুমি এমন বিদ্যুৎবহ্নি বজ্রবান নিহ্মেপ করেছো আমার ঘর লহ্ম্য করে যে শুধু আমার ই ঘরটা জ্বলে খাক হয়ে গেল, বাকি কুটোকাঠির এতটুকু ও হ্মতি হলনা।

শের শায়রী (চব্বিশ)
ও ঔর হোঙ্গে যো পীতে হ্যায় বেখুদিকে লিয়ে
মুজেসে চাহিয়ে থোরিসে জ়িন্দেগীকে লিয়ে

 জিগর মুরদাবাদী

ওরা আলাদা জাতের লোক যারা সুরা পান করে জীবন কে ভূলে যাবার জন্য, আমার তো সুরার প্রয়োজন হয় জীবনকে ফিরে পাবার জন্য




শের শায়রী (পচিশ)
ময়নে পুছা চাদসে ফলগ ইয়া হো জমি
মেরে ইয়ারসা হাসিন
চাঁদ হ্যায় কাহি?
চাদনে কহা চাঁদনী কি কসম, নেহি, নেহি, নেহি।

খুবসুরৎ তুনে যো পাই
লু্ট গই খুদাকি সব খুদাই
মীর কি গজল কহুঁ ইয়া তুমে
কহু ম্যায় খৈয়াম কি রুবাই
ম্যায়নে পুছা শায়েরোঁসে এইসি দিলকসি
শের হ্যায় কাঁহি ?

শায়েরোঁনে কহা শায়েরেকি কসম নেহি নেহি নেহি।

চাল হ্যায় কি মৌজ কি রওয়ানি
আঁখ হ্যায় কি ময়কাদোঁকি রানী
হোঁট হ্যায় কি পাখড়ি গুলাবকি
জুলফ হ্যায় কি রাত কি কাহানি
ম্যায়নে পুছা বাগসে কি এইকি দিলখুশি
ফুল হ্যায় কি কাঁহি

বাগ কি কহা হর কলি কি কসম নেহি নেহি নেহি।
---আনন্দ বক্সী

আমি চাঁদ কে প্রশ্ন করলাম, বলো তো আকাশে বা পৃথীবীতে আমার প্রিয়ার মত চাঁদ আছে কি? চাঁদ জবাব দিল চাঁদনির দিব্যি খেয়ে বলতে পারি নেই নেই নেই। রুপ তুমি যে পেয়েছো মনে হচ্ছে ঈশ্বরের সব রুপ লাবন্যের জোলা চুরি হয়ে গেছে। মীর এর রচিত গজল বলব কি তোমায়? নাকি বলব ওমর খৈয়াম এর কোন রুবাই? কবিদের আমি প্রশ্ন করলাম আমার প্রিয়ার মত কবিতা আছে কোথাও? কবিদের জবাব এল- যেন ঢেউ এর ঊচ্ছলতা, তোমার চোখ যেন সুরাবিপনীর রানীর মদির নেত্র, তোমার ঠোট যেন গোলাপের পাপড়ি আর তোমার চুল দেখে যেন মনে হয় এ যেন চুল নয়, এ যেন শ্ত শত রহস্যঘন রাত্রির কাহিনী। বাগান কে প্রশ্ন করলাম, আমার প্রিয়ার মত হৃদয় মনোহরক ফুল আছে কি কোথাও? বাগান বলল প্রতিটি কলির দিব্যি খেয়ে বলতে পারি, নেই নেই নেই।।


শের শায়রী (ছাব্বিশ)
আদম কা জিসম যব কি আনাসর সে মিল বনা
কুছ আগ বাচ রহী থী সো আশিককা দিল বনা
--- সৌদা

মানুষের শরীর ঈশ্বর তৈরী করেছেন পঞ্চভূত দিয়ে। কিন্ত খানিক্টা আগুন তখনও বেচেঁ গিয়েছিল। সে আগুন টা কোথায় গেল? সেই আগুন দিয়েই তৈরী হয়েছে প্রেমিকের হৃদয়। সেজন্যি প্রেমিকের হৃদয়ে সব সময় ধিকি ধিকি আগুন জ্বলে।



সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে মার্চ, ২০২০ রাত ১১:৪৪
৪টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

জীবনের গল্প

লিখেছেন ঢাকার লোক, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:৩৫

মাত্র মাস দুই আগে আমার এক আত্মীয়ের সাথে দেখা আমার এক বোনের বাড়ি। তার স্ত্রী মারা গেছেন তার সপ্তাহ দুই আগে। মক্কায় উমরাহ করতে গিয়ে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অভিমান

লিখেছেন জিনাত নাজিয়া, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১০:১২

" অভিমান "

তোমার ঠোঁটে বোল শিখেছি
তুমি আমার মা, কেমন করে
ভুলছ আমায় বলতে
পারিনা। এমন করে চলে
গেলে, ফিরে ও এলেনা। হয়তো
তোমার সুখেই কাটছে দিন,
আমায় ভাবছ না।

আমি এখন সাগর... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার কিছু ভুল!

লিখেছেন মোঃ খালিদ সাইফুল্লাহ্‌, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:৪৮

১। ফ্লাস্কে চা থাকে। চা খেতে টেবিলে চলে গেলাম। কাপে দুধ-চিনি নিয়ে পাশে থাকা ফ্লাস্ক না নিয়ে জগ নিয়ে পানি ঢেলে দিলাম। ভাবছিলাম এখন কি করতে হবে? হুঁশ ফিরে এল।... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশের লোকসংস্কৃতিঃ ব্যাঙের বিয়েতে নামবে বৃষ্টি ...

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:০০



অনেক দিন আগে একটা গল্প পড়েছিলাম। গল্পটা ছিল অনেক এই রকম যে চারিদিকে প্রচন্ড গরম। বৃষ্টির নাম নিশানা নেই। ফসলের মাঠ পানি নেই খাল বিল শুকিয়ে যাচ্ছে। এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশি ভাবনা ও একটা সত্য ঘটনা

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:১৭


আমার জীবনের একাংশ জুড়ে আছে; আমি চলচ্চিত্রাভিনেতা। বাংলাদেশেই প্রায় ৩০০-র মত ছবিতে অভিনয় করেছি। আমি খুব বেছে বেছে ভাল গল্পের ভাল ছবিতে কাজ করার চেষ্টা করতাম। বাংলাদেশের প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

×