somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

প্রাচীন পারস্যে থেকে আধুনিক ইরান পর্যন্ত সংক্ষিপ্ত যাত্রা

০৯ ই জানুয়ারি, ২০২০ রাত ৯:৫৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


অসিরীয় সাম্রাজ্যের ম্যাপ

প্রাচীন পারস্যের কথা বললে প্রথমেই বলতে হয় এটা ছিল প্রাচীন নিনেভের অসিরীয় সাম্রাজ্যের অধীনে। খ্রিষ্টের জন্মের পাচ/ ছয়শত বছর আগে এই ইরানি বা পারসিকরা তাদের প্রভু অসীরিয়দের হটিয়ে নিনেভ দখল করে নেয়। ইরানীরা জাতিতে ছিল আর্য। এরপর পারস্যবাসী আর্যরা এক বিরাট সাম্রাজ্য স্থাপন করে। আমার আগের পোষ্টে তার কিছুটা বর্ননা দিয়েছি, এই রাজ্যের বিখ্যাত রাজাদের নাম ছিল কাইরাস, দারিয়ুস, জেরোক্সিস। ইতিহাসে এরা একিমেনিড রাজবংশ নামে পরিচিত। দুইশত বিশ বছর এই বিশাল সাম্রাজ্য পারসিয়ান আর্যরা শাষন করে। এরপর মেসিডোনিয়ান সম্রাট আলেকজান্ডার এই সাম্রাজ্য ধ্বংস করে দেয়।

পারস্যবাসী আর্যরাই কিন্তু ভারতে আসা আর্য্য দের পূর্বসুরী (নোটঃ আর্য্য কারা এদের উৎপত্তি এবং বিস্তার নিয়ে একটা পোষ্ট আলাদা ভাবে দেবার জন্য প্রস্ততি নিচ্ছি, হিটলার ও জার্মানীদের আর্য্য হিসাবে দাবী করত)। পারসিয়ান যে আর্য্যরা প্রাচীন কালে ভারত বর্ষে এসেছিল তাদের ধর্ম ছিল প্রাচীন পারসিয়ান ধর্ম জরাথ্রুষ্ট্র (নোটঃ জরাথ্রুষ্ট ধর্ম নিয়ে আলাদা পোষ্ট দেবার ইচ্ছা আছে কারো জানতে ইচ্ছা হলে আপাতত ইমন ভাইর জরথুশত্রবাদী ধর্মের ইতিহাস দেখে আসতে পারেন)। এই জরাথ্রুষ্ট্র ধর্মের সাথে প্রাচীন বেদের সম্পর্কও বেশ ঘনিষ্ট। এটা পরিস্কার বোজা যায় পারসিয়ান আর্য্যদের থেকেই ভারতীয় আর্য্যদের উৎপত্তি।


আলেকজান্ডার দ্য গ্রেট

গ্রীক বীর আলেকজান্ডার (নোটঃ আলেকজান্ডার কে নিয়ে জানতে চাইলে আলেকজান্ডার দ্য গ্রেট লিঙ্কে ক্লিক করুন প্লীজ), দ্যা গ্রেট দারিয়ুস কে পরাজিত করলে পারস্যে একিমেনিড রাজবংশের অবসান হয়। আলেকজান্ডারের মৃত্যুর পর তার রাজ্য তার সেনাপতিরা ভাগ বাটোয়ারা করে নেয়। পারস্য পরে সেলুকাস নামক সেনাপতির হাতে, এই সেলুকাস কে আলেকজান্ডার যখন ভারতবর্ষ দখল করতে আসে তখন ভারতবর্ষ দেখে এক বিখ্যাত উক্তি করে, যে উক্তি হয়ত সবাই জানেন “সত্যি সেলুকাস কি বিচিত্র এই দেশ! তার থেকেও বিচিত্র এই দেশের মানুষ”!! যাই হোক বর্তমান ইরান বা প্রাচীন পারস্য কিছুকাল এই সেলুকাসের বংশ দ্ধারা শাষিত হয়। এই সেলুকাস এবং বংশধররা যখন পারস্য শাষন করতে ছিল তখন ভারতবর্ষে ছিল কুষান সম্রাজ্য। যাই হোক গ্রীকরা এদের শাষন করলেও পারসিয়ানদের ধর্ম কিন্তু জরাথ্রুষ্ট্রই থেকে যায়, খ্রিষ্টের জন্মের তৃতীয় শতাব্দী পর্যন্ত এভাবে পারস্য ধর্মীয় এবং গ্রীক শাষিত ছিল।


সাসানিদ সাম্রাজ্যের ম্যাপ

খ্রিষ্টীয় তৃতীয় শতকে পারস্যে আবার জাতীয় জাগরন আসল ক্ষমতায় আসে সাসানিদ রাজবংশ। এরা নিজেদের কে প্রাচীন একিমেনিড রাজাদের উত্তরসূরী ঘোষনা দেয়। এসময় আসে পারসিয়ান উগ্র জাতীয়তাবাদী। এছাড়া তাদের উপায়ও ছিলনা কারন পারস্যের পশ্চিমে তখন রোমান সম্রাজ্য এবং বাইজেন্টিন সাম্রাজ্য ওদিকে পূর্বে তুর্কি উপজাতিদের চাপ। দুইয়ের মাঝে সাসানিদ রাজাদের উগ্র জাতীয়তাবাদী হওয়া ছাড়া রাজ্য টিকিয়ে রাখাই মুশকিল হয়ে পড়ত। এই সব ঝামেলার মধ্যেও প্রায় চারশত বছর ইসলামের আবির্ভাবের আগ পর্যন্ত সাসানিদ সাম্রাজ্য টিকে ছিল। এই সময় জরাথ্রুষ্ট পুরোহিতদের প্রভাব প্রচন্ড বেড়ে যায়। এই সময় জরাথ্রুষ্টদের ধর্মগ্রন্থ “আবেস্তা”র শেষ সংস্করন রচিত হয় বলে মনে করা হয়


মুসলমানদের পারস্য বিজয়

দীর্ঘকাল পারস্য শাষন করে সাসানিদ বংশের গৌরব তখন অস্তমিত প্রায়। ওদিকে বাইজেনটাইনদের সাথে তাদের যুদ্ধ লেগেই ছিল। এত দীর্ঘ যুদ্ধে উভয় পক্ষের অবস্থাই খারাপ হয়ে গেছে। ইতিহাসের নিয়ম মেনে তাদেরও অস্ত যাবার সময় হয়েছে, এমন সময় আরবে ইসলাম নামক এক নতুন সূর্যের উদয় ঘটছে। হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর মৃত্যুর দশ বছরের মাথায় পারস্য মুসলিমদের দ্ধারা বিজিত হয়। আরব বাহিনী তখন এক নতুন আলোয় আলোকিত হয়ে মধ্য এশিয়া থেকে উত্তর আফ্রিকা পর্যন্ত দখল করে নেয়।

পারস্যকে আরবরা জয় করে নিলেও সিরিয়া মিশর যেভাবে আরবদের সাথে মিশে একাকার হয়ে যায়, ইরান কিন্তু তার থেকে ব্যাতিক্রম ছিল। আরবরা ছিল সেমিটিক জাতি আর ইরানিরা ছিল প্রাচীন আর্য্য বংশীয়। ইরানিয়ান সাংস্কৃতির অনেক কিছুই আরবী সাংস্কৃতি দ্ধারা প্রভাবিত হলেও স্বাতন্ত্রতা ছিল দেখার মত। পারসিয়ানদের ভাষাও ছিল ভিন্ন। জাতি হিসাবে ইরানিরা আরবদের থেকে পৃথক হয়ে থাকল। কিন্তু ইসলাম ধর্ম অচিরেই জরাথ্রুষ্ট ধর্মকে কোন ঠাসা করে ইরানে ইসলামের পতাকাতলে নিয়ে আসল। জরাথ্রুষ্টবাদের অবশিষ্টাংশ যারা তখনো প্রাচীন ধর্মমত কে আকড়ে ছিল তারা ভারতে এসে আশ্রয় নিল, ভারতে এরা পারসিক নামে পরিচিত।


চেঙ্গিস খা

ওদিকে ইসলাম ধর্ম গ্রহন করলেও পারস্যবাসীরা নিজেদের ধারা বজায় রাখল। এর ফলে এক মতভেদের কারনে ইসলাম দুভাগে বিভক্ত হয়ে যায় শিয়া আর সুন্নী। পারস্য মুলতঃ হল শিয়া মতাবলাম্বী আর অন্যান্য দেশ গুলো সুন্নী মতাবলাম্বী। এক সময় বাগদাদ হয়ে ওঠে আরব খলিফাদের রাজধানী। নবম শতাব্দীতে বাগদাদ সাম্রাজ্য ভেঙ্গে গেলে, এর টুকরা টুকরা নিয়ে বিভিন্ন রাজ্য গড়ে ওঠে। পূর্ব অঞ্চলের তুর্কি উপজাতিরা পারস্য দখল করে নেয়। তখনো নামে মাত্র বাগদাদের খলিফা টিকে আছে কিন্তু তার কোন প্রভাব ছিল না। এরপর পারস্য সেলজুকদের অধীনে আসে। এদের সাম্রাজ্য টিকে ছিল দেড়শ বছর। এরপর আর এক তুর্কি উপজাতি এসে সেলজুকদের খেদিয়ে পারস্য দখল করে দ্বাদশ শতাব্দীর শেষ দিকে। এরা প্রতিষ্ঠিত করে খোয়ারিশম বা খিভা রাজ্যের। কিন্তু এদের সময়কাল ও ছিল অতি অল্প। কারন খোয়ারিশমের শাহ চেঙ্গিস খার দুত কে অপমান করছিলেন; সেই রাগে চেঙ্গিস খা (চেঙ্গিস খা কে নিয়ে জানতে হলে ইতিহাসের নৃসংশতম যোদ্বারা ( এ পর্ব চেঙ্গিস খান) লিঙ্কে ক্লিক করুন) পুরা পারস্য ছাড় খাড় করে দেয় (১২২০ সালের কাছাকাছি সময়)।


হালাকু খা

চেঙ্গিস খার মৃত্যুর পর তার রাজ্য তার সন্তানদের মাঝে ভাগ করে দেয়া হয়। পারস্য এবং এর আশেপাশ পরে হালাকু খার ভাগে। তাকে দিয়েই ইলখান রাজবংশের সূচনা হয়। এই ইলখান রাজারা প্রথম দিকে মোঙ্গলদের “পৌত্তলিক” ধর্ম থাকলেও পরে মুসলমান হয়। এই ইলখান রাজ বংশ ধ্বংস হয় তৈমুল লং এর হাতে। তৈমুরের ছেলের নাম ছিল শাহরুখ (বলিউডের রাজা শাহরুখ খানের নাম এখান থেকেই আসে)। এর পর ইরান শাষিত হতে থাকে তৈমুর এর বংশধর তাইমুরিদ রাজাদের হাতে। এক পর্যায়ে পারসিয়ানরা এই দখলদার তাইমুরিদ রাজবংশের হাত থেকে মুক্তি পেতে চোরাগুপ্তা হামলা চালায় কিন্তু তাদের নিজস্ব স্বাধীনতা আসতে ষোড়শ শতাব্দী পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়।


সাফাভিদ সাম্রাজ্যের ম্যাপ

তাইমুরিদদের হঠিয়ে এইবার আবার এক পারসিয়ান রাজা সিংহাসনে বসেন। এই রাজ বংশের নাম সাফাভি বা সাফাভিদ। এই বংশের দ্বিতীয় রাজা ছিল তাহমাস্প ; শেরশাহের হাতে পরাজিত হয়ে ভারতের মোগল রাজা হুমায়ুন এই তাহমাস্পের কাছে আশ্রয় নিয়েছিলেন। পারস্যের সাফাভি রাজবংশ ছিল মোটামুটি ভারতের মোগল রাজাদের সম সাময়িক। ১৭২৫ সালের কাছাকাছি এই সাফাভি রাজ বংশের পতন হয়। পারসিয়ান দের অধীনে তখন আফগানরা শাষিত হচ্ছিল। এই আফগানদের হাতেই সাফাভি সাম্রাজ্যের পতন ঘটে এবং আফগানরা ইস্পাহান দখল করে নেয়। কিন্তু অল্পদিন পরই এক পারসিয়ান সেনাপতি নাদির শাহ আফগানদের পরাজিত করে সিংহাসনে বসেন। ভারতীয় ইতিহাসে নাদির শাহ কুখ্যাত হয়ে আছেন বার বার ভারত লুন্ঠনের জন্য অন্য দিকে পারসিকদের কাছে নাদির শাহ একজন জাতীয় বীর হিসাবেই গন্য।

অষ্টাদশ এবং উনবিংশ শতাব্দী ছিল পারসিয়ানদের জন্য এক চরম দুর্যোগ ময় সময়, গৃহ যুদ্ধ, ইউরোপীয় উগ্রজাতীয়তাবাদের প্রসারে কখনো ব্রিটেন কখনো রাশিয়ার হাতে এরা পুতুল হিসাবে কাজ করত। পারস্যের শাহরা এই সময় মুলতঃ অকর্মন্য ভোগ বিলাসে মত্ত বিদেশী শাসকদের খেলার পুতুল হিসাবে গন্য হতে থাকে। বিংশ শতাব্দীর গোড়ার দিকে সবার নজর পারস্যের ওপর পরে কারন তেল। তখন শিল্প বিপ্লবের কারনে ইউরোপে তেলের চাহিদা বেড়ে যাচ্ছিল। ব্রিটিশ ডি আর্কি শাহের মাথায় হাত বুলিয়ে ৬০ বছরের চুক্তি করে যাতে পুরা পারস্যের তেল সে “দ্যা এ্যাংলো পার্সিয়ান অয়েল কোম্পানির” নামে বিদেশে নিয়ে যেতে পারে। নামেই পার্সিয়ান ছিল মুলতঃ লাভের সিংহভাগ চলে যেত ব্রিটেনে।

এক পর্যায়ে পুতুল শাহের বিরুদ্ধে দেশের মানুষ খেপে ওঠে তারা চাপ সৃষ্টি করে ১৯০৬ সালে “মজলিশ” তৈরী করে। মানে স্বাধীন শাহ কে একটি নিয়মতান্ত্রিক রাজতন্ত্রের মাঝে নিয়ে আসে। রুশ আর ব্রিটিশরা এই প্রজাতন্ত্র পছন্দ করল না, কারন তাদের স্বার্থে আঘাত লাগছিলো। তার মজলিশ এবং শাহের মাঝে ঝগড়া বাধিয়ে দিল। এক পর্যায়ে শাহ কামান ছুড়ে নিজের ব্যাবস্থাপক গ্রুপ বা মজলিশকে উড়িয়ে দিল। কিন্তু জনগন এবং সৈন্যরা ছিল মজলিশ এবং জাতীয়তাবাদের পক্ষে। শেষ পর্যন্ত রাশিয়া থেকে সরাসরি সেনাবাহিনী এসে পারস্যের নাম মাত্র শাহ কে রক্ষা করে ওদিকে ব্রিটেন ও কোন না কোন ছুতায় তার সেনাবাহিনী সেখানে হাজির করে।

এ অবস্থায় পারস্য আমেরিকার কাছে সাহায্য চাইল আমেরিকা থেকে একজন অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞ মর্গান শুষ্টার এসে পারস্যের অর্থনীতির হাল ধরেন কিন্তু তিনিও বেশী দিন টিকলেন না কারন পারস্যে উপস্থিত রুশ এবং ব্রিটিশরা তার সব কাজে নাক ঢুকিয়ে তাকে কাজ করতেই দিচ্ছিল না বাধ্য হয়ে মর্গান আবার আমেরিকা ফেরত যান। সেখানে গিয়ে তিনি একটা বই লেখেন “The struggling of Persia” পারত পক্ষে তখন পারস্য রাশিয়া আর ব্রিটেন পারস্য কে দুইভাগে ভাগ করে নিয়েছিল।


রেজা শাহ পাহলভি

এদিকে প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়ে গেছে, দূর্বল পারস্যে ঘোষনা দিল তারা নিরপেক্ষ থাকবে কিন্তু পারস্যের কথা শোনার মত বা শোনানর মত অবস্থায় পারস্য ছিল না তাই তার দেশের মাঝে ঢুকেই বিদেশীরা যুদ্ধ করতে লাগল। এক পর্যায়ে প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শেষ হল। ব্রিটেন উদ্যেগ নিল পারস্য কে তার “রক্ষনাধীন এলাকা” হিসাবে ঘোষনা দিতে। কিন্তু নানা কারনে তা আর হয়ে ওঠে না। এ অবস্থায় ১৯২১ সালে রেজা খা নামক একজন সাধারন পারসিক সৈন্য বিখ্যাত হয়ে উঠলেন, আকস্মাৎ তিনি পুরা সেনাবাহিনীর ওপর কর্তৃত্ব করে প্রভাব বিস্তার করেন। এবং নিজে প্রধানমন্ত্রী হন। ১৯২৫ সালে তিনি প্রাচীন নামে মাত্র শাহ কে ক্ষমতাচ্যুত করেন। একটি শাষন ব্যাবস্থা পরিষদ গঠিত হয়। এই পরিষদই রেজা খাকেই নতুন শাহ নির্বাচিত করেন এবং তিনি নিজে রেজা শাহ পাহলভি নাম ধারন করেন

এই রেজা শাহ এক সরকারী প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে “পারস্য” কে “ইরান” নামে নাম করন করেন। এই হল আধুনিক ইরানের ইতিহাস। এর পর যা ঘটছে সেগুলো লিখতে গেলে পোষ্ট অনেক বড় হয়ে যাবে আর তাছাড়া এর পরবর্তী ইতিহাস অনেকেই জানেন তাই ওদিকে আর না যাই।

পারস্য নিয়ে লিখতে গেলে “শাহনামা”র রচয়িতা ফেরদৌসী (৯৩২-১০২১)র কথা যার সৃষ্টি সোহরাব রুস্তম সহ অসংখ্য গাথা উপগাথা, পারস্যের নিশাপুরের জ্যোতিষি কবি ওমর খৈয়াম, সিরাজের কবি শেখ সাদী যার লেখা “গুলিস্তান” এবং “বুস্তান”, ইবনে সিনা, বলখ শহরের আধ্যাত্মিক সুফী জালালুদ্দীন রুমি সহ আরো অনেকের নাম উচ্চারন না করলে অন্যায় হবে।

অনেক কিছুই বাদ দিয়ে আমি শুধু পারস্যের ইতিহাসের নির্যাস টুকু তুলে দিলাম শুধু জানার জন্য।।

সম্পর্কিত পোষ্টঃ পারস্য অথবা আধুনিক ইরান ইতিহাসের উল্টো ভুমিকায়

সুত্রঃ অন্তর্জালের বিভিন্ন সাইট, এবং ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরুর Glimpses of World History
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই জানুয়ারি, ২০২০ দুপুর ২:৫৯
২৪টি মন্তব্য ২৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমার প্রফেশনাল জীবনের ত্যাক্ত কথন :(

লিখেছেন সোহানী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:৫৪



আমার প্রফেশনাল জীবন বরাবরেই ভয়াবহ চ্যালেন্জর ছিল। প্রায় প্রতিটা চাকরীতে আমি রীতিমত যুদ্ধ করে গেছি। আমার সেই প্রফেশনাল জীবন নিয়ে বেশ কিছু লিখাও লিখেছিলাম। অনেকদিন পর আবারো এমন কিছু নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

একটি ছবি ব্লগ ও ছবির মতো সুন্দর চট্টগ্রাম।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৮:৩৮


এটি উন্নত বিশ্বের কোন দেশ বা কোন বিদেশী মেয়ের ছবি নয় - ছবিতে চট্টগ্রামের কাপ্তাই সংলগ্ন রাঙামাটির পাহাড়ি প্রকৃতির একটি ছবি।

ব্লগার চাঁদগাজী আমাকে মাঝে মাঝে বলেন চট্টগ্রাম ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×