somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

রোম যখন পুড়ছিলো নিরো তখন বেহালা বাজাচ্ছিল

০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২০ রাত ১০:৪২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



এই লেখাটি পড়ার আগে এই লিঙ্কটি ইহুদী থেকে খ্রিষ্টান ধর্ম পড়লে ধারাবাহিকতার আমেজ পাবেন

রোমানদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য চরিতার্থ আর ইহুদীদের ধর্মীয় উদ্দেশ্য চরিতার্থ করার জন্য যীশুকে ক্রশ বিদ্ধ করা হল। ইহুদী ধর্ম সে সময় জুডিয়ায় আর সীমাবদ্ধ ছিল না। ইহুদীরা রাজ্যের বিভিন্ন দিক বিশেষ করে পূর্ব দিকে গিয়ে থাকা শুরু করল। এমনকি রোমের ভেতরও তারা এক বিশাল কলোনী গড়ে তুলল। এক সময় জুডিয়ার বাইরে অবস্থানরত ইহুদীদের সংখ্যা বেড়ে যাওয়া শুরু করল।


Philo of Alexandria (c. 20 B.C.E.—40 C.E.)

এক পর্যায়ে ইহুদীরা হিব্রু ভাষা ভুলে গিয়ে গ্রীক শেখা শুরু করে কিন্তু তাই বলে তারা তাদের ধর্ম ভুলে গেল না। তারা তাদের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ ওল্ড টেষ্টামেন্ট গ্রীক ভাষায় অনুদিত করল যেন তারা তা পড়তে পারে। এটা অবশ্য যীশুর ক্রুশবিদ্ধ হবার সময় না, তারো অনেক আগে থেকেই শুরু হয়েছিল। সে সময় অনেক শিক্ষিত ইহুদী গ্রীক ভাষায় নিজেকে শিক্ষিত করে তুলছিল যেন গ্রীকদের সাথে নিজেদের ধর্ম নিয়ে তর্ক করতে পারে। এদের মাঝে অন্যতম ছিলেন জুডাইয়াস (ফিলো দ্য জিউ)। ফিলো জন্ম গ্রহন করে খ্রিষ্টপূর্ব ২০ সালে আলেকজান্দ্রিয়ায়। তরুন বয়সে তিনি রোমে এসেছিলেন তৎকালীন রোমান সম্রাট ক্যালিগুলার সাথে যেন ইহুদীদের ঝামেলা মিটে যায়।

জুডিয়া স্বাধীনতা হারানোর পর এমন কি রোমান সাম্রাজ্যর অধীনে চলে যাবার পরো ইহুদী ধর্ম রোমে কিছুটা প্রসার লাভ করে এমন কি সমাজের উচু স্থানে থাকা কিছু নাগরিকও এই ধর্ম গ্রহন করে। সেকালে ইহুদীরা ছিল ভীষন রকম গোড়া মনোভাবের অধিকারী যদি তারা তাদের কিছু গোড়ামির সাথে কিছুটা আপষ করত সেক্ষেত্রে হয়ত এই ধর্ম আরো অনেক বেশী প্রচারিত হত সে সময়ের রোমে।

যাই হোক এর মধ্যে ইহুদীদের মাঝে বিভিন্ন দলাদলি শুরু হয়েছে আবার কিছু ইহুদী তাদের কঠোর ধর্মীয় অনুশাসন ছেড়ে স্থানীয় ধর্মের সাথে কিছু অংশ গুলিয়ে ফেলে। এদের মধ্য থেকে আবার এক দল ইহুদী যীশুর আদর্শে অনুপ্রানিত হয়ে গেল, যীশুকে ক্রুশবিদ্ধ করার পর মনে হয়েছিল তার অনুসারীরা তার আদর্শ থেকে বের হয়ে আসবে, অন্তত তার মৃত্যুর পর এইটুকু প্রমানিত হবে যে আসলে খুব সাধারন একজন মানুষ যার মাঝে মসিহা জাতীয় কিছু ছিল না। সে জন্যই সে মৃত্যু বরন করছে। কিন্তু ততদিনে একটা গল্প চারিদিকে ছড়িয়ে গেছে। মৃত মানুষ কখনো কখনো জীবিত মানুষের থেকে অধিক শক্তিশালী হয়।


Jesus' Resurrection

যীশু মৃত্যুর তিন দিন পরে ফিরে এসেছে। যীশু কোন সাধারন মানব মসিহা ছিল না, তিনি স্বয়ং রাজা যিনি ইহুদী রাজ্যে শান্তি ফিরিয়ে আনবেন। তিনি একজন স্বর্গীয় মসিহা, ঈশ্বরের পুত্র। তিনি মৃত্যুর পর পুনুরুত্থান ঘটিয়েছেন, তিনি আবার ফিরে এসেছেন, এখানকার কাজ শেষ করে আবার স্বর্গে ফেরত যাবেন। খ্রিষ্টানরা (এভাবেই যীশুর আদর্শে বিশ্বাসী অনুসারিদের ডাকা হত) প্রথম দিকে ইহুদী আচার অনুষ্ঠানে বিশ্বাসী থাকলেও ধীরে ধীরে নিজেদের আলাদা করে ফেলে বিভিন্ন আচার অনুষ্ঠানের মাধ্যমে।



ওদিকে যেসব ইহুদী কড়া জুডিয়ার জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসী ছিল তারা কোনভাবেই এই মসীহাকে মেনে নিতে পারলনা, তারা চেয়েছিল একজন অলৌকিক মসীহা যে তাদের ঈশ্বর প্রতিশ্রুত প্রমিজ ল্যান্ড ফিরিয়ে দেবে। তারা চেয়েছিল এমন একজন মসীহা যে কিনা রোমানদের বিরুদ্ধে দাড়িয়ে যুদ্ধে তাদের নেতৃত্ব দেবে। এই ধরনের অবস্থায় রোমান সাম্রাজ্যের মাঝে অবস্থান করেও ইহুদীরা রোমানদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করে বসে।

ইহুদীদের সাথে বাস করেও খ্রিষ্টানরা কিন্তু ইহুদীদের সাথে রোমানদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহে অংশ গ্রহন করেনি। কারন তারা তাদের মনমতো মাসিহা পেয়ে গেছে, এবং ইহুদীদের মাঝে প্রচলিত ঈশ্বর প্রদত্ত “প্রমিজড ল্যান্ড” কে তারা ততদিনে গালগপ্প ভাবতে শুরু করছে। ওদিকে উগ্র ইহুদী জুডিয়ার জাতীয়তাবাদ এবং ধর্মীয় মৌল বাদের থেকে খ্রিষ্টানদের ধর্ম ছিল বিপরীত। যীশু শত্রুকে ভালোবাসতে শিখিয়েছে, এক গালে চড় দিলে আর এক গাল পেতে দিতে বলেছে, যা সে সময়ের সম্পূর্ন ইহুদী বিশ্বাসের বিপরিত

যাই হোক সেই ইহুদী বিদ্রোহ রোমানরা কঠোর হাতে দমন করে এবং ইহুদীদের মাঝে বসবাস করেও খ্রিষ্টানরা তাদের সাথে এই বিদ্রোহে অংশ না নেয়ায়, ইহুদীরা তাদেরই পূর্বের জাত ভাই যারা খ্রিষ্টান নাম ধারন করেছে তাদের প্রচন্ড ঘৃনা করতে শুরু করে, সে ঘৃনা এর তীব্র ছিল যে ইহুদী ধর্মে আজ পর্যন্ত যীশুকে কোন মাসিহা হিসাবে স্বীকৃতি দেয়া হয় নাই। কিন্তু ইহুদীদের মাঝে খ্রিষ্টান ধর্মের প্রসার হয়নি বলে যে অন্যান্য কোথাও খ্রিষ্টান ধর্ম বাড়ছে না এমনটি কিন্তু না, আশে পাশের রোমান দের মাঝে অল্প বিস্তর প্রসারিত হচ্ছিল।



ওদিকে যে ইহুদীরা খ্রিষ্টানদের জানের শত্রুতে পরিনত হয়েছে তাদের একজনের কাছেই খ্রিষ্টান ধর্মের ব্যাপক প্রসারে খ্রিষ্টানরা কৃতজ্ঞ যার নাম ছিল সাওল। রোমান উচ্চারনে যাকে বলা হত পল। বর্তমানে যাকে আপনারা “সেইন্ট পল” নামে চেনেন। এশিয়া মাইনরের সমুদ্র তীরবর্তী টারসাস নামক স্থানে পলের জন্ম। ইহুদী সাওল বা পলের বাবা ছিলেন একজন রোমান, তাই জন্ম সূত্রে তিনি ছিলেন একজন রোমান ইহুদী। তিনি জেরুজালেমে ইহুদী শিক্ষায় শিক্ষিত একজন গোড়া ইহুদী জাতীয়তাবাদী। তিনি এতটাই গোড়া ছিলেন যে তখন যে সব খ্রিষ্টান জেরুজালেমে খ্রিষ্টান ধর্ম প্রচার করছিলো তিনি তাদের “নাস্তিক” আখ্যা দিয়ে তাদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নিচ্ছিলেন রাষ্ট্রের মাধ্যমে। খ্রিষ্টান বিরোধী আন্দোলনের নেতা হিসাবে তিনি দামেস্কে রওনা হন। কিন্তু বাইবেলের বর্ননা অনুযায়ী, তিনি যখন দামাস্কাসের পথে তখন তার মাঝে কিছু একটা ঐশ্বরিক শক্তির উপস্থিত হয় তিনি সব কিছু যীশুর চোখ দিয়ে সব কিছু দেখতে থাকেন। তিনি হয়ে ওঠেন একজন গোড়া খ্রিষ্টান।

তিনি ইহুদীদের মাঝে প্রানপনে যীশুর বানী ছড়িয়ে দিতে চাইলেন। পল অনুভব করলেন ইহুদী ধর্মের অন্তর্নিহিত জটিল নিয়ম কানুন গুলো ধর্ম পালনের জন্য বাড়াবাড়ি ছাড়া কিছুই না, বরং মানুষ ধর্ম পালন করতে গিয়ে খুটিনাটি বিষয়ে এত ব্যাস্ত হয়ে যায় যে তা স্বাভাবিক ধর্ম পালনের অন্তরায়। (বাইবেলের ভাষায়ঃ ফর ফ্য লেটার কিলেথ বাট দ্য স্পিরিট গিভেথ লাইফ)।



প্রায় হঠাৎ করে খ্রিষ্টান ধর্মের জীবনমুখী আচার গুলো সাধারন মানুষের মাঝে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়, রোম, এশিয়া মাইনর এমন কি গ্রীসেও এই ধর্ম ব্যাপক ভাবে প্রসার লাভ করে। যীশুর পুনুরুত্থান পুরা ব্যাপারটিকে একটি অনন্য আধ্যাত্মিক মাত্রা দেয়। এই ভাবনাটির সাথে “ষ্টয়িক” ভাবনার সাথে মিলে যায় (গ্রীক দার্শনিক জেনো এই ষ্টয়িক ভাবনা প্রতিষ্ঠাতা, সেখানেও একজন দেবতার কথা বলা হয় অনেকটা একেশ্বরবাদীদের মত, এ বিষয় অন্য কোন দিন পোষ্ট দেব)।


The Roman cult of Mithras

সে সময় প্যাগান ধর্মাবলাম্বীদের একটা শাখা মিথরেইজম ছিল খ্রিষ্টান ধর্মের সব থেকে বড় প্রতিদ্বন্দ্বী। মিথরেইজম এক ধরনের সুর্য উপাসনাকারী ছিল। ডিসেম্বরের ২৫ তারিখ সুর্য নিরক্ষরেখা থেকে দূরবর্তী অবস্থানে চলে যায় বলে সেই দক্ষিনায়নের সময় তারা তাদের উৎসব শত শত বছর পালন করত। দুপুর বেলা সুর্য নামতে নামতে শেষ প্রান্তে চলে যায় আবার ধীরে ধীরে উত্তরের দিকে হেলতে থাকে, এটা যেন তাদের নিশ্চয়তা দিত প্রবল শীত শেষ হয়ে বসন্তের আগমন হবে। এই বসন্ত তাদের কাছে নতুন জীবনের পরিচায়ক। প্যাগান রোমানরা এই সময় কৃষি দেবতা স্যাটার্নকে স্মরন করত, আর উৎসবটির নাম ছিল “স্যাটার্নালিয়া”। এটা ছিল সে সময়ের সব থেকে বড় উৎসব।

নতুন ধর্মান্তরিত খ্রিষ্টানরা কিন্তু ২৫ ডিসেম্বর সুর্যের এই পুর্নজন্মকে ফেলে দিতে পারল না, বাইবেলে যেহেতু যীশুর জন্ম নিয়ে নির্দিষ্ট করে কিছু বলা নেই, তাই তারা ২৫শে ডিসেম্বরকে তার জন্ম দিন হিসাবে পালন করে প্যাগান “স্যাটার্নলিয়া” প্রথাকে বড় দিনের মাঝে ঢুকিয়ে নেয়।

রোমানদের কাছে যীশুর জন্মের অর্ধ শতাব্দী পরেও কিন্তু খ্রিষ্টান ধর্ম ইহুদীদের একটাই শাখা ধর্ম হিসাবে বিবেচিত হত এর বেশী কিছু না, তবে ধীরে ধীরে এই শাখাটির ওপর কিছুটা বিরক্ত ছিল কারন দলে দলে এতে মানুষ যোগ দিচ্ছিল। যেহেতু খ্রিষ্টানরা রোমান দেব দেবীদের স্মরনে রাষ্ট্রীয় আচার আনুষ্ঠানে যোগ দিত না তাই তাদের নাস্তিক মনে করা হত। ধীরে ধীরে রোমানদের মনোভাব খ্রিষ্টানদের বিরুদ্ধে কঠোর থেকে কঠোরতর হতে লাগল।


64 AD Rome Burns- The city of Rome was nearly destroyed

৬৪ সাল নাগাদ, এই রেষারেষি এমনভাবে মাথাচাড়া দিয়ে উঠল যে, রোম প্রায় ধ্বংস হতে চলছিলো। ছয় দিন ব্যাপী হানাহানিতে রোম প্রায় ধ্বংসস্তুপে পরিনত হয়েছিল। রোমের দরিদ্র জন গোষ্ঠী মুলতঃ খ্রিষ্টানরা কতগুলো কাঠের পাচিলের মত বানিয়ে তার পেছনে আশ্রয় নিয়েছিল, সেই পাচিলে আগুন ধরিয়ে দেয়া হয়, কারা দিয়েছিল তা যদিও কোথাও নির্দিষ্ট করে উল্লেখ্য নেই কিন্তু এটা বুজতে অসুবিধা হবার কথা না কারা এই কাজ করছিলো। সে সময় আধুনিক আগুন প্রতিরোধ ব্যাবস্থার কিছুই আবিস্কার হয় নি, তাই দেখতে দেখতে সে আগুন পুরা রোমকে গ্রাস করে ফেলে, সে আগুন থেকে বিভিন্ন উপাসনালয় থেকে শুরু করে রাজ প্রাসাদ কেউই রক্ষা পায় না। এর আগে পরে অনেক বার বিভিন্ন আগুন দুর্ঘটনা রোমে ঘটেছিল কিন্তু ৬৪ সালের দূর্ঘটনা ছিল ইতিহাসের ভয়াবহতম।



শহরে যখন আগুন লাগছিলো সম্রাট নিরো তখন রোম থেকে তিরিশ মাইল দক্ষিনে অ্যান্টিয়াম সমুদ্র বন্দরে (বর্তমানে অ্যানজিও)। রোমের আগুন লাগার খবর যখন তার কাছে পৌছে তিনি হতবুদ্ধি হয়ে তার পাশে পড়ে থাকা প্রিয় বাদ্যযন্ত্র “লাইর” হাতে তুলে নেন। তার মনে তখন ট্রয় শহর ধ্বংসের সময় যেভাবে চারিদিকে আগুন লেগেছিল সেই ভাবনা উদয় হয়েছিল। অনেকটা শিল্প মানসিকতা আবার প্রচন্ড নিষ্ঠুর নিরোর মাঝে দ্বৈত সত্ত্বা বাস করত। যাই হোক আগুনের লেলিহান শিখা দেখে নিরোর সেই বাদ্য যন্ত্র বাজানো আজো অমর হয়ে আছে, কোন বিপরিত মুখী দুটো জিনিস কেউ করলে এখনো অনেকে বলে “রোম যখন পুড়ছিলো নিরো তখন বেহালা বাজাচ্ছিল” (যদিও সেটা বেহালা হবে না কারন বেহালা আবিস্কার হয় তার কয়েক শতাব্দী পর)।

রোমের মানুষরা মনে করছিলো এই আগুন নিরোর লোকজনই লাগিয়েছে কারন খ্রিষ্টানদের সংখ্যা বেড়ে যাওয়া দেখে তিনি দিশেহারা হয়ে এই কাজ করেছেন, তাদের আগুন পুড়িয়ে মারার ফন্দি করছেন, কিন্তু বুদ্ধিমান নিরো পুরো দোষটা উল্টো খ্রিষ্টানদের ওপর চাপিয়ে দিলেন। এমনিই রোমানদের রাগ আগে থেকেই এই খ্রিষ্টানদের ওপর ছিল, নিরো সেটাকে উস্কিয়ে দিলেন। শুরু হল খ্রিষ্টানদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক বিচার।



তাদের একে একে হত্যা করা হল, কাউকে কাউকে নিরস্ত্র অবস্থায় কলোসিয়ামে সিংহের খোরাক হবার জন্য পাঠানো হল। ভয়ংকর সব মৃত্যু খ্রিষ্টানদের জন্য অপেক্ষা করতে লাগল। খ্রিষ্টান নেতা পল তখন রোমে আরেক নেতা পিটার সেও রোমে। এই পিটার কে রোমের প্রথম বিশপ নির্বাচন করা হয় সে হিসাবে তিনি খ্রিষ্টান ধর্মের প্রথম পোপ “সেইন্ট পিটার”। পল এবং পিটার দুজনকেই রোমানরা হত্যা করে।


Crucifixion of Saint Peter (Caravaggio) - Wikipedia

তাদের দুজনের শাস্তি এত কঠোর হয়েছিল যে অখ্রিষ্টানরাও তাদের জন্য প্রার্থনা করেছিলো, তাদের শাস্তি মওকুফের আবেদন করছিলো। এই ভয়াবহ শাস্তি খ্রিষ্টানদের জন্য সুফল বয়ে আনে কারন যীশুর অহিংসা নীতি সেইন্ট পল এবং পিটার জীবন দিয়ে প্রমান করে যাওয়ায় মানুষ দলে দলে খ্রিষ্ট ধর্মে দীক্ষিত হতে লাগল।


এই লেখাটায় পাবেন বাংলায় প্রথম স্বেচ্ছায় ধর্মান্তরিত খ্রিষ্টানের ইতিকথা প্রথম স্বেচ্ছায় বাঙ্গালী ধর্মান্তরিত খ্রীষ্টান

সুত্রঃ আইজ্যাক আসিমভের “দ্যা রোমান এমপায়ার” এবং অন্তর্জালের বিভিন্ন ফিচার। ছবি নেট থেকে গৃহীত।
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২০ সকাল ৯:৪৮
১৫টি মন্তব্য ১৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

সবুজের মাঝে বড় হলেন, বাচ্চার জন্যে সবুজ রাখবেন না?

লিখেছেন অপলক , ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:১৮

যাদের বয়স ৩০এর বেশি, তারা যতনা সবুজ গাছপালা দেখেছে শৈশবে, তার ৫ বছরের কম বয়সী শিশুও ১০% সবুজ দেখেনা। এটা বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থা।



নব্বয়ের দশকে দেশের বনভূমি ছিল ১৬... ...বাকিটুকু পড়ুন

আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে লীগ আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে জামাত

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৪৬


বাংলাদেশে রাজনৈতিক ছদ্মবেশের প্রথম কারিগর জামাত-শিবির। নিরাপত্তার অজুহাতে উনারা এটি করে থাকেন। আইনী কোন বাঁধা নেই এতে,তবে নৈতিক ব্যাপারটা তো অবশ্যই থাকে, রাজনৈতিক সংহিতার কারণেই এটি বেশি হয়ে থাকে। বাংলাদেশে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঙ্গালির আরব হওয়ার প্রাণান্ত চেষ্টা!

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১০



কিছুদিন আগে এক হুজুরকে বলতে শুনলাম ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে নাকি তারা আমূল বদলে ফেলবেন। প্রধানমন্ত্রী হতে হলে সূরা ফাতেহার তরজমা করতে জানতে হবে,থানার ওসি হতে হলে জানতে হবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সেকালের পাঠকপ্রিয় রম্য গল্প "অদ্ভূত চা খোর" প্রসঙ্গে

লিখেছেন নতুন নকিব, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৪৩

সেকালের পাঠকপ্রিয় রম্য গল্প "অদ্ভূত চা খোর" প্রসঙ্গে

চা বাগানের ছবি কৃতজ্ঞতা: http://www.peakpx.com এর প্রতি।

আমাদের সময় একাডেমিক পড়াশোনার একটা আলাদা বৈশিষ্ট্য ছিল। চয়নিকা বইয়ের গল্পগুলো বেশ আনন্দদায়ক ছিল। যেমন, চাষীর... ...বাকিটুকু পড়ুন

অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১



এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×