কোন বিছিন্ন ঘটনা বা স্মৃতি সবার জীবনে বড় প্রভাব ফেলতে পারে না! প্রভাব কতটুকু পড়বে তা নির্ভর করে মানুষটা কেমন তার উপর । আবেগপ্রবন মানুষ তার বাধভাঙা আবেগের কারনেই তার জীবনের লক্ষ্য থেকে সরে যায়। বাস্তব বাদী লোকদের কথা আলাদা। তাদের সীমাবদ্ধ আবেগের কারনেই তারা পরিস্থিতি সামাল দেবার ক্ষমতা অর্জন করে । ধরুন একজনের খুউব কাছের মানুষ মারা গেছে । আবেগপ্রবন মানুষটি কি করবে ? তার অতি উচ্চমাত্রার আবেগের কারনে সে প্রথম দিন খাবেনা। তারপর তার আত্মীয় - স্বজন তাকে খাবার জন্য অনেকবার বলবে তাও সে খাবেনা । তারপর তার না খাওয়ার খবর আশেপাশে বাতাসের মত ছড়িয়ে পড়বে। লোকজন বলাবলি করবে, "আহারে! ওর অমুক মারা গেছে বলে দুইদিন ধরে খাইনা কিছু ঐ বেচারা/বেচারী।অনেক ভালবাসত তাকে" তারপর তৃতীয় দিনের মাথায় লোকচক্ষুর অন্তরালে চুপি চুপি খাওয়া শুরু করবে । তারপর আস্তে ধীরে ভাল-মন্দ খাওয়া চালিয়ে যাবে। আর বাস্তব বাদী মানুষ রাতের খাবার রাতে , সকালের খাবার সকালে ঠিকঠাক চালিয়ে যাবে। তখন বাতাসের মত ছড়াবে "মানুষ না কসাই! ওর অমুক মারা গেল না আছে কান্নাকাটি না আছে কোন দুঃখ । গপাগপ করে গিলছে...ছিঃ ছিঃ ভালটাল বাসত কিনা কে জানে?আমার তো মনে হয় , ওরই কোন হাত আছে "।
পার্থক্যটা হয়ত বুঝতে পারছেন , আবেগপ্রবন মানুষটি তিনদিন পর খাওয়া - দাওয়া শুরু করল আর বাস্তব বাদী মানুষটি তিনঘন্টা পর । দুইজনেই খাওয়া-দাওয়া করল, কিন্তু তারপরও মানুষগুলোর মতামত ভিন্ন ভিন্ন পাওয়া গেল । কেন??
কারন , দর্শন আর অভিনয় অনেক বড় কিছু । মানুষের সম্পূর্ন বাছ - বিচার এটার উপরেই । এখন যদি আপনি একজন কে মেরে ফেলে আবেগপ্রবন মানুষের মত শুধু অভিনয় করেন , তাহলেও লোকজন আপনাকে সন্দেহ করবেনা । আর আপনি যদি কাছের মানুষটিকে হারিয়েও পরিস্থিতি সামাল দেবার চেষ্টা করেন, সবকিছু সাধারণ ভাবেই গ্রহন করার চেষ্টা করেন । আপনাকেই লোকজন সন্দেহের চোখে দেখবে।
এইজন্যই বলে , অভিনয় হল একটি শিল্প । আর শিল্প চর্চার বিষয় । আর মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি ... থাক । ওসব রূপকথা...
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ৮:৪৭

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




