somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, চেতনার মুক্তিযুদ্ধ

১৪ ই নভেম্বর, ২০১১ রাত ২:০৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



শুচি সৈয়দ

‘‘বিএনপিও আওয়ামী লীগের মতো কথামালার রাজনীতি করে। তবে কেউ ‘মণ’ দরে কেউ ‘সের’ দরে।’’
উপরোল্লিখিত উক্তিটি বাংলাদেশের সাবেক অর্থমন্ত্রী সাইফুর রহমানের। যতদূর মনে পড়ে, বিচারপতি লতিফুর রহমানের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের সময় এক জনসভায় তিনি এমন কথাও বলেছিলেন, ‘রাজনীতিবিদরাই দেশের উন্নয়নের প্রধান অন্তরায়।’ স্বাধীনতা অর্জনের ৪০ বছর পর রাজনীতির এই যে চেহারা, সে চেহারা আমাদের কোন ভবিষ্যৎ নির্মাণ করবে? কিংবা আদৌও ভবিষ্যৎ বলে আমাদের কিছু অবশিষ্ট আছে কি? একটি স্বাধীন দেশ, একটি সার্বভৌম জাতির জীবনে ৪০ বছর খুব কম সময় নয়। সর্বোপরি জাতি হিসেবে আমাদের ইতিহাস মাত্র ৪০ বছরেরও নয়Ñ হাজার বছরের। বাঙালি জাতির হাজার বছরের ইতিহাসে ২শ’ বছরের ইংরেজ ঔপনিবেশিক শাসনের পরাধীনতার গ্লানির সঙ্গে প্রায় ২৫ বছরের পশ্চিম পাকিস্তানি শাসনের গ্লানি জড়িয়ে থাকলেও স্বাধীনতার স্পৃহা এ জাতির অদম্য। ১৯৭১ সালে রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মধ্য দিয়ে মুক্তি অর্জন তথা স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের অভ্যুদয় সেই অদম্য প্রাণশক্তিরই প্রমাণ।
প্রায় ২শ’ বছর বিদেশী শোষণ ও শাসন মুক্ত জাতির যেখানে স্বাধীনতার ৪০ বছরে গা ঝাড়া দিয়ে উঠে দাঁড়ানোর কথা সেখানে দেখা যাচ্ছে বারে বারে মুখ থুবড়ে পড়ছে সে। পড়বেই এবং পড়তে বাধ্য; কেননা, যেদেশে রাজনীতিকরা পরিণত হয় দুর্বৃত্তে, সে দেশের উত্থান এক আকাশ কুসুম কল্পনা। জাতি গঠনের মূল্যবান কাজ ফেলে রেখে এদেশের রাজনীতিকরা কথা বিক্রি এবং গল্প বিপণনের কাজে নিমজ্জিত। এদেশের তথাকথিত রাজনীতিকরা কায়িক কিংবা মানসিক কোনও শ্রমের সঙ্গেই জড়িত নন, তারা কেবল দালালি, মধ্যস্বত্ব ভোগ, দখল ও লুণ্ঠনে পারঙ্গম। ফলে রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের ভেতর দিয়ে মুক্ত জাতি কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে প্রায় দাঁড়িয়ে আছে। তার পায়ে ডাণ্ডাবেড়ি পরিয়ে রেখেছে কূপমণ্ডূক ‘রাজনীতি’। যে শর্ষে দিয়ে ভূত তাড়ানোর কথা সেই শর্ষে স্বয়ং ভূত হয়ে বসে আছে, এই ভূতগ্রস্ত রাজনীতি প্রকৃত অর্থে রাজনীতি নয়। যে রাজনীতি দুর্নীতির পৃষ্ঠপোষক, সন্ত্রাসের পৃষ্ঠপোষকÑ তা জাতি গঠনের অন্তরায়। প্রগতির অন্তরায়। একে প্রত্যাখ্যান না করার কোন বিকল্প নেই।
নিকট অতীতেই আমরা দেখেছি, এক দলের রাজনীতিক সে দল থেকে মনোনয়ন না পেয়ে অন্য দলে যোগ দিয়েছেন। আবার অন্যদল তাকে মনোনয়নও দিয়েছে। আগে সামরিক শাসকরা যেমন বিভিন্ন দল থেকে লোক ভাগিয়ে এনে দল গঠন করত, এখন তথাকথিত রাজনৈতিক দলগুলোই সে কাজ করছে। দুই দলেরই সর্বোচ্চ নেতৃত্বের বিরুদ্ধে মনোনয়ন লাভে ব্যর্থ নেতারা অভিযোগ তুলেছেন, আসন বিক্রি করে দেয়ার। ছাত্রলীগের এক সময়ের নেতা অভিযোগ করেন, তার নেত্রী সাকা চৌধুরীর কাছে তার আসনটি বেচে দিয়েছেন অনেক আগেই, তাকে ডামি ক্যান্ডিডেট হতে বলা হয়েছিল, তিনি তা হননি বলে দাবি করেন। আরেক আওয়ামী লীগ নেতাও একই অভিযোগ করেন, তার ভাষায়, ‘মনোনয়ন বোর্ডের নেতারা ব্রিফকেসের কাছে বিক্রি হয়ে গেছেন।’ দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হন তিনি এবং জিতে যোগ দেন বিএনপিতে।
অপরদিকে বিএনপি নেতা ফেরদৌস আহমদ কোরেশী অভিযোগ করেন, তার নেত্রীও অর্থের বিনিময়ে আসন বিক্রি করছেন। বিএনপি নেত্রীর বিরুদ্ধে এই একই অভিযোগ করেন স্বয়ং আওয়ামী লীগ নেত্রীও। যদিও নিজের দলের দলীয় কর্মীদের ধমকে তিনি মনোনয়ন দেয়ার সময় বলেছিলেন, ‘নৌকায় কাকে চড়ালাম সেটা তাদের দেখার দরকার নেই।’ এই রাজনৈতিক সংস্কৃতি কি গণতন্ত্র? নাকি নেত্রীতন্ত্র। এই যে নীতিহীনতার সংস্কৃতি তা পক্ষান্তরে রাজনীতিকে জাতির কাঁধে এক দুর্বহ বোঝায় পরিণত করেছে। রাজনীতি এখন সিন্দাবাদের ভূত হয়ে জনগণের ঘাড় মটকে দিতে উদ্যোগী। আদর্শহীন, নীতিহীন, এমনকি নৈতিকতাহীন অন্তঃসারশূন্য এই তথাকথিত রাজনীতির ধ্বজা ধরছে জনবিচ্ছিন্ন বুদ্ধিজীবীরা। ফলে সংকট আরও বাড়ছে। বাংলার হিন্দু, বাংলার মুসলমান, বাংলার বৌদ্ধ, বাংলার খ্রিস্টান এবং বাংলার যে অনেক ছোট ছোট জাতিগোষ্ঠী মিলে রক্তক্ষয়ী লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনল আজ স্বাধীনতার ছত্রিশ বছর পর সেই জনগোষ্ঠীকে ভাগ করা হচ্ছে। ভাগ করা হচ্ছে ধর্মের ভিত্তিতে, ভাগ করছে সেই দুর্বৃত্তপরায়ণ রাজনীতিই। যদিও তা ব্যর্থতায় পর্যবসিত হচ্ছে বলেই মনে হয়। স্বাধীনতার ৪০ বছর পরও রাজনীতি সম্পর্কে রাজনীতিকরাই স্বীকারোক্তি করছেন যে, তারাই উন্নয়নের প্রধান অন্তরায়Ñ সেটাই অনভিপ্রেত রূঢ় বাস্তবতা। কাজ নয়, কথার আবর্তে এদেশের কথাকথিত রাজনীতিকরা ১৬ কোটি মানুষের নিয়তিকে নিয়ত বিপন্ন করছে।
মুক্তিযুদ্ধের চেতনা দেশপ্রেমের চেতনার সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। এদেশের মঙ্গল, এদেশের মানুষের মঙ্গলকে বাদ দিয়ে কোনও তৎপরতা বা বাগাড়ম্বরই কাক্সিক্ষত নয়। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা মানুষকে এক করার চেতনা, মানুষকে ভাগ করার চেতনা নয়। ১৯৭১-এ কিছু লোক চেয়েছিল এদেশের মানুষকে হিন্দু ও মুসলমানের পরিচয়ে ভাগ করতেÑ পারেনি। আজও যারা এদেশের মানুষকে হিন্দু ও মুসলমান এভাবে ভাগ করতে চায় তারা তা পারবে না, ব্যর্থ হবে। বাঙালি জাতির বাঙালিত্বের চেতনার মর্মে রয়ে গেছে অসাম্প্রদায়িক ঐতিহ্য আর সে ঐতিহ্য হাজার বছরের প্রাচীন। এই সত্যকে ইংরেজরা তাদের দু শ’ বছরের শাসনামলেও নিশ্চিহ্ন করতে পারেনি, পারেনি পশ্চিম পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীÑ পারবে না নব্য কোনও স্বার্থান্বেষী, নব্য কোনও সম্প্রসারণবাদী সাম্রাজ্যবাদী শক্তির দোসররাও। বাঙালির হাজার বছরের সংগ্রামে এ সত্যই বারবার বিধৃত হয়েছে। ২০১২ সালে স্বাধীনতার ৪০ বছরে এদেশের মানুষ এখনও কাজের ওপর আস্থা প্রকাশ করে, কথার ওপর নয়। কাজের মধ্য দিয়ে ভাগ্য পরিবর্তনে দেশ ও দেশের মানুষকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবেÑ সূচনা করতে হবে সেই কল্যাণমুখী রাজনীতির। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার অর্থ নয় কেবলমাত্র যুদ্ধের চেতনা, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার অর্থ শান্তির চেতনাও। আমরা যুদ্ধে জিতেছি, অর্জন করেছি স্বাধীন সার্বভৌম দেশ, এখন মুক্তি অর্জন করতে হবে অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক। অর্থনৈতিক মুক্তির যে যুদ্ধ, সাংস্কৃতিক মুক্তির যে যুদ্ধ, সে যুদ্ধ অস্ত্রের নয়, সে যুদ্ধ মেধার, শিক্ষার। সে যুদ্ধ শান্তির! শান্তিপূর্ণ স্থিতিশীলতার মধ্য দিয়ে, কথা নয় কাজ দিয়ে অর্জন করতে হবে সে মুক্তি।
কাজ দিয়ে গড়তে হবে পরবর্তী প্রজšে§র ভবিষ্যৎ। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা অপরিমেয় আÍত্যাগের চেতনা। গত ৪০ বছরে আমরা হারিয়েছি আমাদের অন্যতম প্রধান রফতানি পণ্য স্বর্ণসূত্র খ্যাত পাটশিল্প। পাশাপাশি বিকাশ লাভ করেছিল রফতানিমুখী গার্মেন্টস শিল্প। সম্ভাবনাময় সে শিল্পটিরও আজ বিকাশ রুদ্ধÑ লাগাতার হরতাল ও অসহযোগ ধর্মঘটের শিকার হয়ে সেটি আজ পতনোš§ুখ।
মাত্র কয়েকদিন আগে বিদেশী বিনিয়োগ বিষয়ে একটি মূল্যায়ন ছাপা হয়েছে পত্রিকায়। বাংলাদেশে বৈদেশিক বিনিয়োগের বাধাগুলো কি কি তা উল্লেখ করে। সেখানে উল্লেখ করা হয় : সিদ্ধান্ত গ্রহণে মন্থর গতি, দুর্নীতি, হরতাল, অদক্ষ শ্রমশক্তি এবং সামাজিক স্থিতিশীলতার অভাবই বাংলাদেশে বৈদেশিক বিনিয়োগের বড় বাধা। শুধু বৈদেশিক নয়, দেশীয় বিনিয়োগের ক্ষেত্রেও এই বাধাগুলো বিদ্যমান। স্বাধীনতার ৪০ বছর পরও এসব বাধার অস্তিত্ব কথামালার তথাকথিত রাজনীতির ঔরসজাত। এই বাধাগুলোকে ঝেঁটিয়ে দূর করতে হবে আর তার জন্য প্রয়োজন কাজ। আন্তরিক উদ্যম। ক্রিকেটে টেস্ট স্ট্যাটাস অর্জন, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ‘দিবস’ হিসেবে একুশে ফেব্র“য়ারির অভিষেক, এসবই কাজের মাধ্যমে অর্জিত হয়েছে। কাজ দিয়েই যমুনা সেতুটি তৈরি হয়েছে, কথামালার স্বপ্ন দিয়ে নয়। বর্তমান এবং ভবিষ্যতে কাজ দিয়েই এর চেয়ে আরও বড় অর্জনগুলো বাস্তবায়িত করতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধ্বংস নয়, গড়ার চেতনা। ড. আতিউর রহমান তার অর্থনীতি বিষয়ক গ্রন্থ ‘আরেক বাংলাদেশ’-এ উল্লেখ করেছেন :
‘মুক্তিযুদ্ধের প্রাণভোমরাই ছিল তারুণ্য। তরুণদের আÍত্যাগ এবং সাহসের কারণেই বাংলাদেশ দ্রুত স্বাধীন হয়েছিল। কিন্তু স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশে তাদের সৃজনশীলতা ও আÍত্যাগের ব্যবহার লক্ষ্য করা যায়নি। জাতিগঠনে তাদের ব্যবহার করার প্রাথমিক কিছু উদ্যোগ খুব দ্রুতই পুরনো প্রশাসনিক ফাইলে বন্দি হয়ে যায়। এতে তরুণরাই বেশি করে হতাশ ও বিভ্রান্ত হতে থাকে। স্বাধীনতার শত্র“রা এই তারুণ্যকে ভিন্ন খাতে বইয়ে দেয়। তরুণদের বিভক্ত করে ফেলে। মুক্তিযোদ্ধাদের বিভক্ত করে ফেলে। তারুণ্যের এই বিভক্তিই আসলে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত করে। প্রতিক্রিয়াশীলদের এ চাল আজও অব্যাহত রয়েছে।’ (আরেক বাংলাদেশ/পৃ: ৬৩)
শুধু মুক্তিযুদ্ধেই নয়, বাঙালি জাতির আবহমান সব সংগ্রামের প্রাণভোমরাই তারুণ্য। তারুণ্যের শক্তিই বাঙালি জাতির মূল শক্তি। কায়েমি স্বার্থবাদী শাসক-শোষক, সাম্রাজ্যবাদীরা সব সময়ই বাঙালি জাতির এই শক্তিকে বিপথে বিভ্রান্তির চোরাবালিতে ঠেলেছে। অস্ত্র দিয়ে, অর্থ দিয়ে, মাদক দিয়ে, সর্বোপরি অন্যায় করার উস্কানি দিয়ে, পৃষ্ঠপোষকতা দিয়েÑ ছাত্র-তরুণদের মেধা ও সৃজনশীলতা ধ্বংস করে দেয়ার অব্যাহত চেষ্টা করেছে, করে যাচ্ছে।
বয়স্করা যেখানে দ্বিধায় কালক্ষেপণ করেছেন, ভীরুতা, কাপুরষতায় তারা যেখানে পিছিয়ে এসেছেন, সেখানে তারুণরা ভয়ভীতি পিছু ফেলে এগিয়ে গেছে। ’৫২-র ভাষা আন্দোলনে, ’৬২-র শিক্ষা আন্দোলনে, ’৬৯-র গণ-অভ্যুত্থানে, ’৭১-র মুক্তিযুদ্ধে, ’৮২-র শিক্ষা আন্দোলনে, আশির দশকব্যাপী সামরিক শাসনবিরোধী গণতান্ত্রিক আন্দোলন, ’৯০-এর গণঅভ্যুত্থানে তরুণরাই ছিল অগ্রভাগে। এই সাহসী প্রতিবাদী তারুণ্যকে কাজে লাগালে এ জাতির ললাট লিখন বদলে যেতে বাধ্য। বিশ্বে সগৌরবে মাথা তুলে দাঁড়াবে বাঙালি জাতি, তাতে কোনও ভুল নেই। দরকার কেবল সঠিক রাজনৈতিক নেতৃত্ব। কথামালার রাজনীতি নয়, কাজের রাজনীতি।
তারুণ্য মুক্তিযুদ্ধের চেতনারই আরেক নাম। এই তরুণদের উদ্যম, উদ্ভাবনা, সৃজনশীলতাকে দেশ গঠনের কাজে নিয়োজিত করার উদ্যোগ নিতে হবে। শিক্ষাঙ্গনে ফিরিয়ে আনতে হবে শিক্ষার পরিবেশ, তারুণ্যকে রক্ষা করা এবং বিকশিত করে তোলার অর্থও আরেক মুক্তিযুদ্ধ। যে রাষ্ট্র তার তরুণ প্রজšে§র দায়িত্ব নিতে অক্ষম সে রাষ্ট্র ব্যর্থ প্রতিক্রিয়াশীল। সেই প্রতিক্রিয়াশীল রাষ্ট্র কাঠামোয় পরিবর্তন আনতে হবে।
নতুন মিলেনিয়ামের সূচনা লগ্নে আমাদের তরুণরা যাতে কম্পিউটার প্রযুক্তি, তথ্যপ্রযুক্তির কাজে তাদের মেধাবী অবদান রাখতে পারে সে জন্য দ্রুত প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে হবে। সামনে এগিয়ে যাওয়ার জন্য প্রবীণের প্রজ্ঞা এবং নবীনের উদ্যমের ভেতর যেন থাকে সুদৃঢ় সমঝোতা। যেন নষ্ট রাজনীতির মতো তরুণদের অপব্যবহারের পুরনো ধারা চালিয়ে যাওয়ার অপচেষ্টা কেউ না দেখান। যেন কল্পকথা আর মায়াহরিণের মায়ায় আর বিভ্রান্ত করা না হয় তরুণদের।

ংযঁপযরংুবফ@মসধরষ.পড়স,
ংযঁপযরথংুবফ@ুধযড়ড়.পড়স
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ইন্টেরিম সরকারের শেষদিন : গঠিত হতে যাচ্ছে বিপ্লবী সরকার ?

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:২২


ইরাক, লিবিয়া ও সিরিয়াকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার আন্তঃদেশীয় প্রকল্পটা সফল হতে অনেক দিন লেগে গিয়েছিল। বাংলাদেশে সে তুলনায় সংশ্লিষ্ট শক্তিসমূহের সফলতা স্বল্প সময়ে অনেক ভালো। এটা বিস্ময়কর ব্যাপার, ‘রাষ্ট্র’... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিচার চাই? না ভাই, আমরা "উল্লাস" চাই

লিখেছেন মাথা পাগলা, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৩৭





দীপু চন্দ্র দাস একটি পোশাক শিল্প কারখানায় চাকরি করতো। সম্প্রতি দীপু দাস তার যোগ্যতা বলে সুপার ভাইজার পদে প্রমোশন পেয়েছিলো।

জানা যায়, সুপারভাইজার পজিশনটির জন্য আরও তিনজন প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

মব সন্ত্রাস, আগুন ও ব্লাসফেমি: হেরে যাচ্ছে বাংলাদেশ?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৩:৫২


ময়মনসিংহে হিন্দু সম্প্রদায়ের একজন মানুষকে ধর্মীয় কটূক্তির অভিযোগে পুড়িয়ে মারা হয়েছে। মধ্যযুগীয় এই ঘটনা এই বার্তা দেয় যে, জঙ্গিরা মবতন্ত্রের মাধ্যমে ব্লাসফেমি ও শরিয়া কার্যকর করে ফেলেছে। এখন তারই... ...বাকিটুকু পড়ুন

তৌহিদি জনতার নামে মব সন্ত্রাস

লিখেছেন কিরকুট, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৪




ছবিঃ অনলাইন থেকে সংগৃহীত।


দেশের বিভিন্ন স্থানে সাম্প্রতিক সময়ে ধর্মের নাম ব্যবহার করে সংঘটিত দলবদ্ধ সহিংসতার ঘটনা নতুন করে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে তৌহিদি জনতা পরিচয়ে সংঘবদ্ধ হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুখ গুজে রাখা সুশীল সমাজের তরে ,,,,,,,,

লিখেছেন ডঃ এম এ আলী, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:০৫


দুর্যোগ যখন নামে আকাশে বাতাশে আগুনের ধোঁয়া জমে
রাস্তা জুড়ে কখনো নীরবতা কখনো উত্তাল প্রতিবাদের ঢেউ
এই শহরের শিক্ষিত হৃদয়গুলো কি তখনও নিশ্চুপ থাকে
নাকি জ্বলে ওঠে তাদের চোখের ভেতর নাগরিক বজ্র
কেউ কেও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×