না ! আর সম্ভব না ! যন্ত্রণাটা সহ্যসীমার বাইরে চলে যাচ্ছে । যন্ত্রণাটাকে সরিয়ে রাখতে হবে অন্তত আজকের জন্য । কাল বাদে পরশু তো অপেক্ষা করছে পরীক্ষা নামক পুলসিরাত ।
রুমের লাইটগুলো বন্ধ করে দরজা এবং জানালাগুলো খুলে দিলাম । করতে লাগলাম অপেক্ষা, আর সেই অপেক্ষার প্রহর যেন শেষ হয় না । ঘণ্টা খানেক পর বন্ধ করা দরজা এবং জানালাগুলো খুলে দিলাম । কিন্তু, না কোন কাজই হল না । বৃথাই চেষ্টা করলাম । বাসায় চলে আসা আমন্ত্রনবিহীন সেই অতিথিদের কিছুতেই তাড়াতে পারলাম না । অসহ্য . . . ।
আমস্ত্রনবিহীন সেই অতিথিদের কেই হয়তো আমার পরিচিত কেউ আবার কেই তা নয় । যাদের যন্ত্রণায় আমি অস্থির থাকি গ্রীষ্মের প্রতিটি রাত । সেই অতিথিরা হলে মহামান্য সবুজ ঘাসফড়িঙ, কালো ঘাস ফড়িং, মাজরা পোকাসহ নাম না জানা সবুজ, হলুদ, কালো আর লাল রঙের অসংখ্য পোকামাকড় । সন্ধ্যার পর নিজের ঘরটিকে আর নিজের মনে হয় না মনে হয় পোকামাকড়ের ঘর-বসতি ।
যাদের যন্ত্রণায় পড়ার টেবিলে বসা যায় না । বেডে ঘুমাতে গেলে একশত একবার ঝাড় দিতে হয় তবুও কাজ হয় না । আর, খাবার খেতে গেলে উড়ে এসে জুড়ে বসে খাবারের মধ্য । এর সেই অতিথিদের মৃতদেহ ভক্ষণ করার জন্য আসে পৃথিবীর সবচেয়ে সামাজিক জীব পিঁপড়া । যারা কিনা সেই অতিথিদের অতি আনন্দে ভক্ষণ করে এবং আমার ঘরে নিজেদের ঘর গড়ে তোলে প্রতি রাতে । তাই, সেই মৃত অতিথিদের এবং পিঁপড়াদের তাড়াতে প্রতি সকালে আমার রুটিন কাজ হল পুরো রুমটি পরিষ্কার করা ।
ব্যাপারটি এমন নয় যে আমিই এই ব্রিশী পোকামাকড় দ্বারা আক্রান্ত । আমার এলাকার সব বাসা-বাড়ি, দোকান-পাট, হোটেল-রেস্টুরেন্ট, এটি এম বুথ এমন কি বাদ যায় নি বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোও । যদিও পোকাগুলো খুবই ছোট কিন্তু তাদের সৃষ্ট যন্ত্রটা কিন্তু তা নয় । আমি জানি না, কেন যেন সিটি কর্পোরেশনের লোকেরা এর বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থাই গ্রহণ করছে না । হয়তো তাদের সেই দামি রুমে আমন্ত্রনবিহীন সেই অতিথিরা টুকতে পারে না ।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




