নেই গ্যাস, নেই পানি, নেই বিদ্যুৎ
আর কতদিন ধৈর্য্যরে পরীা দেবো?
পথে নামুন!
প্রতিবাদ করুন!!
যদি মসজিদ থেকে আযান দেয়ার পর পরই মুয়াজ্জিন জানান, সম্মানিত মুসল্লিগণ, মসজিদে ওযু করার পানি নেই। আপনারা যে যার বাসাবাড়ি থেকে ওযু করে আসবেন। এতে নিশ্চই মেজাজ বিগড়ে যাওয়ারই কথা, কারণ নামাজ আদায় করতে আসা ভদ্রলোকটির বাসায়ও পানি নেই। আরও বাস্তব সত্য হলো ভাত রান্না করার পানিটুকুও ঘরে নেই। শুধু কী পানি, গ্যাসের অভাবে চুলা জ্বলছে না। গভীর রাত পর্যন্ত জেগে থাকতে হচ্ছে খাবার রান্নার করার জন্য। আবার ভোর হতেই গ্যাস চলে যাচ্ছে। কোমলমতি শিশুরা খাবারের জন্য মায়ের দিকে তাকিয়ে থাকছে। মায়ের কী কোনো উত্তর দেবার উপায় আছে? পানি আর গ্যাসের সঙ্গে যোগ হয়েছে অসহ্য লোডশোডিং। দিনরাত মিলিয়ে ৭ বা ৮ ঘন্টার বেশি বিদ্যুৎ-র দেখা মেলে না। সকাল, দুপুর, বিকাল, সন্ধ্যা, রাত, মধ্যরাত থেকে, ভোররাত এমন কি ভোরেও লোডশেডিং এর হাত থেকে নিস্তার নেই।
বলা নেই কওয়া নেই, চলে যায় বিদ্যুৎ, নেই পানি, নেই গ্যাস। আমরা যেন নেই রাজ্যের বাসিন্দা হয়ে গেছি। রান্নার চুলা জ্বলছে না, গ্যাসের চুলার বদলে কেরোসিন এবং কাঠের চুলা উঠেছে, কিন্তু হাঁড়িতে কষ্টের টাকার চাল চড়লেও চাল ফুটে ভাত হওয়ার পানিটুকুও যে নেই। মানুষ এখন তিনদিন পর পর একবার গোসল করার সুযোগ খোঁজে। এভাবে আমরা সবাই যেন কারো দয়া-দাক্ষিণ্যে বেঁচে আছি। কিন্তু কে দয়া করে? পাঁচ বছর পর পর যে মহান নেতারা নানা কথার প্যানপ্যানানি দিয়ে এই করবো তো ঐ করবো, সব ঠিক করে দেব, সব বদলে দেব বলে চিল্লায়, আমাদের নাক-মুখের সামনে কলা ঝুলায়, তারা? বলি, যে কোন সরকারই আমাদের জন্য কি এমন করে? শুধু নিজেরা নিজেরা একে অন্যের সঙ্গে কুস্তি, গালাগালি, চৌদ্দগুষ্ঠী উদ্ধার করে আর একে অন্যের উপর দোষ চাপিয়ে নিরীহ জনগণের হাত থেকে পার পাওয়ার কাদায়টা ছাড়া আর কিবা জানে? পত্রিকার খবর মতে মন্ত্রী পাড়ায় বিদ্যুৎ যায় না। যাদের হাতে টাকা আছে তারা সিলিন্ডারের গ্যাস কিনছে, জেনারেটরের বিদ্যুৎ চালাচ্ছে আর মিনারেল ওয়াটার খাচ্ছে। কিন্তু যাদের নুন আনতে পান্তা ফুরায় তাদের অবস্থা কী একবার ভেবে দেখেছে সরকার? দেশে যারা পাঁচ বছর পর পর ক্ষমতায় আসে সেই সব রাজনৈতিক দল? সোজা কথা তারা আমাদের কোনো খোঁজ রাখে না।
ঢাকায় যে সব এলাকাতে নিন্ম আয়ের মানুষ থাকে সেখানে ভদ্রলোকের (রাষ্ট্রের শাসকদের) চোখ পড়ে না। মিরপুর এই দোজখের একটি। সারা ঢাকা শহরের সবচেয়ে বেশি শ্রমজীবী মানুষ মিরপুরে বসবাস করে। এখান থেকে গার্মেন্ট শিল্পের শ্রমিকের ঘামে কোটি কোটি টাকার বৈদেশিক মুদ্রা আয় করে সরকার। অথচ মিরপুর যেনো বিদ্যুৎহীন অন্ধকার এক ভূতুড়ে নগর আর পানিহীন কারবালার প্রান্তর। আঞ্চলিক এই বৈষম্যর পেছনে শাসকশ্রেণীর শ্রেণীদৃষ্টিভঙ্গি অন্যতম। কারণ শাসকশ্রেণীর অধিকাংশ নেতা এইসব অনুন্নত অঞ্চলে থাকে না।
তবে কী সব কিছু বেসরকারি খাতে ছাড়ার পাঁয়তারা?
সরকার পানি দিতে পারছে না, পারছে না গ্যাস-বিদ্যুৎ দিতে। এসব না দিতে পারলেও তো দেশ চলছে। কারণ যাদের হাতে টাকা আছে তারা এইসব প্রয়োজনীয় বিষয়গুলি দ্বিগুণ দামে কিনে ব্যবহার করছে। সরকার এই সুযোগে পানি, বিদ্যুৎ গ্যাস বেসরাকরিখাতে ছেড়ে দেয়ার অশুভ পাঁয়তারা করছে বলে, আমরা মনে করি। গ্যাসের সংকট দেখিয়ে সাগরের ব্লকগুলো মার্কিন কোম্পানিকে ছেড়ে দেয়াসহ বিদ্যুৎ সংকট বলে দিনাজপুরের ফুলবাড়ির কয়লা ব্রিটিশ বহুজাতিক কোম্পানি এশিয়া এনার্জিকে ছেড়ে দেয়ার পাঁয়তার করছে। জনগণের নামে লুট, পাচারের আয়োজন চলছে। আমরা এইসব যড়যন্ত্র সম্পর্কে দেশবাসীকে সজাগ থাকার অনুরোধ করছি। আমরা মনে করি দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার মাধ্যমে পানি, গ্য্যস ও বিদ্যুৎ সমস্যার সমাধান সম্ভব। বিদেশি কোম্পানিকে ছেড়ে দিয়ে কিংবা বেসরকারি খাতে ছেড়ে দিয়ে এইসব সমস্যার সমাধান এদেশে কখনোই সম্ভব নয়।
আসছে সিটি করপোরেশনের ভোট। নানা দলে নানা মানুষ আসবে ভোট ভিক্ষের ঝুলি নিয়ে। ভোট শেষ ডাষ্টবিনে ফেলে দেবে সব নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি। ফলে আমাদের ঘরে বসে হায়-হুতাশ করা ছাড়া কোনো বিকল্প থাকবে না। অতিষ্ট হতে হতে আমরা কি এখন বশ মানবো, আফোসস করবো, আর কত দিন, আর কতদিন ধৈর্য্যরে পরিক্ষা দিবো?
এখনই সময়। বিদ্যুৎ-গ্যাস-পানি, যেহেতু আমাদের নাগরিক অধিকার, তাই আমরা আমাদের কর্তব্য নিজেরাই ঠিক করবো। সময় এসেছে রাস্তায় দাঁড়িয়ে একদিন প্রতিবাদ করার। এসব সমস্যার সমাধানের জন্য সোচ্ছার হওয়ার হিম্মত আমাদের অবশ্যই আছে। তাই আসুন, জাতি, ধর্ম, বর্ণ, লিঙ্গ নির্বিশেষে সকলেই একদিন প্রতিবাদে শামিল হই। নয়ত কখনোই এসব সরকারেরা একটুও নড়েচড়ে বসবে না।
১. নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ-পানি-গ্যাস দিতে হবে।
২. গ্যাস পানি বিদ্যুৎ বেসরকারিকরণ নয় বরং পরিকল্পিতভাবে রাষ্টীয় প্রতিষ্টানের মাধ্যমে জনগণকে সেবা দিতে হবে।
লিঙ্গ ধর্ম বর্ণ শ্রেণী নির্বিশেষে আসছে ৯ এপ্রিল
মিরপুর এক নম্বর গোলচক্করের মাবনবন্ধনে যোগদিন
...........................................
...ইচ্ছুক সকলেই এ কর্মসূচীর সঙ্গে যোগদিতে অতিসত্ত্বর যোগাযোগ করুন। আসছে ৯ এপ্রিল মিরপুর এক নম্বর গোলচক্করের মানববন্ধনে যোগ দিন। আপনি আপনার মিরপুরবাসী বন্ধুকে, স্বজনদের এ কমসূচীর খোঁজ দিন, যোগ দিতে আহ্বান জানান। পাড়ায়/ মহল্লায় প্রচার করুন। এ ছাড়া অন্যান্য এলাকায়ও সংগঠিত হওয়ার তৎপরতা গড়ে তুলুন। যোগাযোগ করুন:
০১৭১২৭৬৮৯৫৫, ০১৯১১৫৮৪৩৮০, ০১৯১৩৮০০৬৩২, ০১৭১১-২৮৫ ২৩৫, ০১৬৭২৬০১৩১৩, ০১৯১৮৯৩৭৮৪৯

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




