somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

দুই শুঁড়ওয়ালা হাতির গল্প

২৩ শে জুন, ২০১৮ দুপুর ১:৪৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

যে গল্পই বলি, প্রিয় বলে
- বাবা, সুন্দর; কিন্তু এর চেয়েও সুন্দর তুমি গল্প বলতে পারবা, চেষ্টা করো।
ঘুমে চোখ জড়ায়ে যাচ্ছে, বললাম
- প্রিয় একটু ঘোড়া টগবগ করে হাঁটতেছে, ওকে কিছুক্ষণ হাঁটতে দাও...

ভাবলাম, একটু রেষ্ট নিবো এই ফাঁকে। ওমা! আমারে বলে কি
- আচ্ছা ঘোড়াটা হাঁটুক, এই ফাঁকে তুমি অন্য একটা গল্প বলো।
নাছোড় বান্দা, মা'র স্বভাব পাইছে। বললাম
- মজা'র একটা গল্প বললেই শেষ। ঠিক আছে?
বললো
- ওকে।

চিন্তা করলাম, একটা ব্যাতিক্রম কিছু বলি। বললাম
- একটা হাতি'র দুইটা শুঁড়...
দেখি নড়েচড়ে উঠলো, কান খাড়া করে কয়
- তারপর, তারপর!
পাশেই তিনি মোবাইলে কী যেন শাড়ী, হেন তেন দেখতেছেন। ভাবলাম, কানে কানে বলি বরং। প্রিয়'র কানে কানে বলা শুরু করলাম
- হাতিটার যেহেতু দুইটা শুঁড়, ওর বন্ধুরা ওকে খুব গুরুত্ব দেয়। একদিন বন্ধুদের সাথে খেলতে গিয়েছে। গিয়ে মজা করে কলাগাছ খাচ্ছে। একটা কলা গাছের সাথে কাঁটাওয়ালা একটা গাছ ছিলো। এই কাঁটা লেগে একটা শুঁড়ে হাতিটা অনেক ব্যাথা পেলো।

গল্প জমে উঠতেছে, টানটান উত্তেজনা নিয়ে কয়
- তারপর বাবা! তারপর?
কী বলবো, কিছুই ঠিক করি নাই। গল্প দেখি কোন দিকে যায়। বললাম
- তারপর হাতিটা আর খেতে পারছে না। ওর পেটও ভরে নাই। পেটে অনেক খুধা।
প্রিয় কয়
- বাবা ওর'তো আরেকটা শুঁড় আছে, ঐটা দিয়ে খাবে!
বললাম
- হুমম, ওর বন্ধুরাও তাই বললো। কিন্তু হাতিটা বলে, না ঐটা দিয়ে এখন খেতে পারবো না।
বলে থামলাম। প্রিয়'র তখন টানটান উত্তেজনা। কানে কানে ফিস ফিস করে বাপ-বেটা গল্প করতেছি। কানের কাছে ফিসফিস করে বললো
- বাবা কেন! কেন? খেতে পারবে না কেন? একই'তো শুঁড়!
বললাম
- হাতিটা তখন বললো, আমার'তো গুড়া ক্রিমি হয়েছে পেটে, তাই ঐ শুঁড়টা দিয়ে একটু আগে পাছু চুলকেছি...

সাথে সাথে খিলখিল করে হাসতে হাসেত শুয়া থেকে বসে পড়লো। ওর মা অবাক হয়ে কয়
- কী হয়েছে প্রিয়?
চট্ করে কয়
- কিছু না মাম্মা, এমনি হাসতে ইচ্ছা হয়েছে। দেখো হা হা হা, এই যে হাসছি, দেখো হা হা হা...
তিনি মোবাইল নিয়ে আবার বিজি হয়ে গেলেন। প্রিয় এবার মুখ চাপা দিয়ে হাসতেছে। ছোট্ট শরীর আমার বুকে ক্ষণে ক্ষণে কেপে কেপে উঠছে। আহা জীবন এত সুখের ক্যানে!

তো আমরা কী শিখলাম। শিখলাম, শিশুরা হাতির গল্প পছন্দ করে।
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে জুন, ২০১৮ দুপুর ১:৪৭
৪টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা ও পদ্মশ্রী পুরস্কার

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৫৬



এ বছরের পদ্মশ্রী (ভারতের চতুর্থ সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মাননা) পদকে ভূষিত করা হয়েছে, বাংলাদেশের রবীন্দ্র সংগীত এর কিংবদন্তি শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যাকে।

আমরা গর্বিত বন্যাকে নিয়ে । ...বাকিটুকু পড়ুন

কষ্ট থেকে আত্মরক্ষা করতে চাই

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৯



দেহটা মনের সাথে দৌড়ে পারে না
মন উড়ে চলে যায় বহু দূর স্থানে
ক্লান্ত দেহ পড়ে থাকে বিশ্রামে
একরাশ হতাশায় মন দেহে ফিরে।

সময়ের চাকা ঘুরতে থাকে অবিরত
কি অর্জন হলো হিসাব... ...বাকিটুকু পড়ুন

রম্য : মদ্যপান !

লিখেছেন গেছো দাদা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৩

প্রখ্যাত শায়র মীর্জা গালিব একদিন তাঁর বোতল নিয়ে মসজিদে বসে মদ্যপান করছিলেন। বেশ মৌতাতে রয়েছেন তিনি। এদিকে মুসল্লিদের নজরে পড়েছে এই ঘটনা। তখন মুসল্লীরা রে রে করে এসে তাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

= নিরস জীবনের প্রতিচ্ছবি=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৪১



এখন সময় নেই আর ভালোবাসার
ব্যস্ততার ঘাড়ে পা ঝুলিয়ে নিথর বসেছি,
চাইলেও ফেরত আসা যাবে না এখানে
সময় অল্প, গুছাতে হবে জমে যাওয়া কাজ।

বাতাসে সময় কুঁড়িয়েছি মুঠো ভরে
অবসরের বুকে শুয়ে বসে... ...বাকিটুকু পড়ুন

Instrumentation & Control (INC) সাবজেক্ট বাংলাদেশে নেই

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৫




শিক্ষা ব্যবস্থার মান যে বাংলাদেশে এক্কেবারেই খারাপ তা বলার কোনো সুযোগ নেই। সারাদিন শিক্ষার মান নিয়ে চেঁচামেচি করলেও বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরাই বিশ্বের অনেক উন্নত দেশে সার্ভিস দিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×