নিজেকে লক্ষ্য করেছি... মানুষ গুলোকেও দেখছি্...তাদের সুখের পরিমান সবচেয়ে কম... তাদের চাওয়া অনেক বেশি... তাঁরাই সেইসব মানুষ যারা অতিরিক্ত বিত্তবানদের বিত্ত দেখে ঈর্ষাকাতর হতে অভ্যস্ত... সেই বিত্ত দেখে যখন নিজের বাসার সিমেন্ট খসে পড়া দেয়াল দেখে... তখনই এক দীর্ঘশ্বাস বের হয়ে আসে অনেকগুলো না পাওয়ার দুঃখে ...
তারপর সেই দুঃখ মেটানোর একমাত্র উপায় বোধহয় "সেইসব ঘরবিহীন দরিদ্রদের তুলনায় অনেক ভালো আছি" টাইপ কথা ভেবে...
কিন্তু সত্যি সত্যি মধ্যবিত্তদের চাওয়া আর চাহিদার মধ্যে পার্থক্য টা আকাশ পাতাল...যেখানে মাথায় বহুতল ভবনের চিন্তা ...সেখানে মনে কেবল একটা ভালোবাসা ভরা কন্ঠ আর কিছুটা আর্দ্র আদরের ছোঁয়া খুঁজে ফিরে...
আর তাই বোধহয় মধ্যবিত্তদের ভালোবাসার তেজ এত্ত বেশি...
এক ভালোবাসায় কেবল প্রেম বা কাম না... মিশে থাকে কিছু স্বপ্ন... একটা ঘর... হোক না ছোট... হোক না তার দেয়ালে শেওলা পড়া...হোক না বাড়িওয়ালা টা একটু খাটাশ... থাকুক না আরো কিছু সমস্যা...
কিন্তু সবটুকু বাড়িতে থাকবে একমুঠো ভালোবাসা ভর্তি জাদুর কলস... যার মধ্যে রক্ষিত ভালোবাসার কোন শেষ হয় না...
এভাবেই অলস জীবনের নীরস দিনগুলো আলোয় আলোয় আর হাসিতে ভরে দিতে যখন কেউ একজন আসে... স্বপ্নের নকশি কাঁথা বোনা শুরু হয়ে যায়... একে প্রেম বলে... কোন একজনের প্রতি তীব্র আকর্ষন...তাকে নিজের বানানোর একমাত্র সত্যিকারের ইচ্ছা...
কিন্তু ব্যর্থতা তো আসতেই পারে... তাই না?
কিন্তু শুধু আসে না... এসে সবকিছু নিয়ে যায়... যা নিয়ে যায় না তা লন্ডভন্ড করে দিয়ে যায়... ঠিক যেন উপকূল এলাকার সুনামি...
পরিশেষ...?
কিচ্ছু না...কুন্ডলী পাকিয়ে শুয়ে থেকে কেবল ভাবা...
"কেন এমন হলো আমার সাথে? আমার কি ভুল ছিল?
তবে কি আমার মত আরো অনেক আমিই এর প্রাপ্য?
সততার, সত্যিকারের ভালোবাসা কি আজ তবে মুল্যহীন?
বেশ তো......"
চোখ দিয়ে যে দু ফোটা অশ্রু গরিয়ে পড়ে না তার গ্যারান্টী কেউ দিতে পারে না...
এবং এভাবেই সৃষ্টি হয় আরেক পশুর...
রক্তলোভী পশুর...
মনে রেখো...
মানুষখেকো সিংহও কিন্তু একদিন দুগ্ধপোষ্য শিশু ছিলো ...
পাশবিকতার শিক্ষা তার জন্মগত নয়... বেঁচে থাকার জন্য লব্ধ...