আজ নোবিপ্রবি আন্ত:বিভাগ ফুটবল টুর্নামেন্ট-২০১১ এর ফাইনাল খেলায় ট্রাইব্রেকারে হেরে গেলাম (যদিও এটা গত বছরের টুর্নামেন্ট, কিন্তু অনিবার্য কারন বসত গতবার শেষ না হয়ে এবার এসে শেষ হলো)। পুরো খেলায় তুলনামুলক ভালো খেলে এবং অনেক বেশী গোল এর সু্যোগ পেয়েও ট্রাইব্রেকারে হেরে যাওয়াটা দুঃখ জনক। কিন্তু আমাদের সব হতাশা দূর হয়ে গেল পুরষ্কার বিতরণ এর সময় (বলে রাখা ভালো যে এবার একসাথে গত ৩টা টুর্নামেণ্ট এর পুরষ্কার দেওয়া হয়েছে যার মধ্যে ছিলো ক্রিকেট টুর্নামেন্ট ২০১১ ও ২০১২ এবং ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০১১ ), কারন মোট ৬টা ট্রফির ৩টাই পেয়েছি আমরা (ফুটবল টুর্নামেন্ট-২০১১ রানার্স-আপ, টি-টুয়েন্টি ক্রিকেট টুর্নামেণ্ট-২০১১ রানার্স-আপ, এবং ক্রিকেট টুর্নামেণ্ট-২০১২ চ্যাম্পিয়ন), বলা-বাহুল্য আর কোন ডিপার্টমেন্ট একের অধিক ট্রফি পায়নি, তাই এবার হেরে গিয়েও আমাদের খেলোয়ার এবং দর্শক সবাই ছিলো আনন্দিত । প্রতিটি টুর্নামেন্ট এ সি.এস.টি.ই দলের সদস্য এবং উভয় ক্রিকেট টুর্নামেন্টে অধিনায়ক হিসেবে খেলতে পেরে আমি গর্বিত । সেই সাথে ভাবতেই ভালো লাগছে এই ভেবে যে, আজ থেকে আরো ১০/১৫ বছর পর ভার্সিটিতে এলে চির চেনা অনেক কিছুই হয়ত তখন আর থাকবে না, হয়তো তখন গর্ব করার মতোও কিছু থাকবে না, কিন্তু সি.এস.টি.ই ডিপার্টমেন্ট এ গিয়ে সেলফে সাজানো এই ট্রফি গুলো দেখে তখন আমি বলতে পারবো এগুলো আমার অতিপরিচিত, এগুলোতে লেগে আছে আমার হাতের-ঠোটের স্পর্শ, এগুলো আমার অনেক চেনা, গর্ববোধ করবো এই ভেবে যে এই ট্রফি গুলো অর্জন এর পেছনে আমারও অবদান আছে। এই ট্রফি গুলোই এই ভার্সিটিটে আমার অস্তিত্বকে ধারন করবে, এর চেয়ে বড় পাওয়া আর কি হতে পারে..........।।
বিঃদ্রঃ আগামি সাপ্তাহ থেকে আন্ত-বিভাগ ফুটবল টুর্নামেন্ট-২০১২ শুরু হবে আশা করি আমরাই চ্যম্পিয়ন হবো এবং যাওয়ার আগে হয়তো সি.এস.টি.ই কে আরো একটি উপহার দিয়ে যেতে পারবো ।
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে নভেম্বর, ২০১২ রাত ১:৩২