হিন্দি সিনেমা "ফ্যাশন"। অভিনেত্রী ছিলেন যতদূর মনে পড়ে প্রিয়াঙ্কা চোপড়া। যেখানে দেখানো হয় টিভি পর্দায় আসতে মেয়েদের কত কাঠ খড় পোড়াতে হয়। সেই কাঠ খড়ের একটা উপাদান হল, নারী দেহ। প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার মিডিয়ায় আসতে বিভিন্ন পরিচালকের সাথে দেহ বিনিময়ে কোন সমস্যা ছিলনা। কিন্তু মানসিক ভাবে সে ভেঙ্গে পরে তখনই যখন সে মদ্যপ অবস্থায় শয্যাশায়ী হয় এক "কালো মানুষের"
যাই হোক,আজ ফেসবুকের টাইমলাইনে এসে অনেক দিন পর পত্রিকার বিনোদনের পাতায় পড়া সিনেমার খবরের সেই "ফ্যাশন" এর কথা মনে পরে গেল ।
হায়!!! গতকালের এক বিয়ের খবরে অনলাইন গরম ( যার বিয়া তার খবর নাই আর পাড়া পরশির ঘুম নাই )
বাই দ্যা ওয়ে, যা বলছিলাম, আমিও কালো, কুচকুচেই কালো। এর জন্য আমার একবিন্দু পরিমানও আফসোস নাই বরং ওটি টেবিলে ডাকা সেই ছেলেটার "ঐ কালো মহিষ" নামটা আমার এখনো কানে লেগে আছে। বিভিন্ন যায়গায় গল্প করেও বলি, এক পিচ্চি ছেলে খত্না করার সময় আমাকে "কালো মহিষ" বলেছিল
শিমু আপুর সাথে আমার প্রথম দেখা হয়েছিল আমাদের বাসাতেই। এসেছিল "চেতনা" অডিটোরিয়ামে কি যেন একটা নাটক করতে। আমি তখন ক্লাস টেনে পড়ি। শিমু আপুর তুলনায় সেসময় বাচ্চা ছেলেই ছিলাম ভাবি এখন আমি ডাক্তার হয়েছি তাহলে শিমু আপুর বয়স কত হল ???
যাক সেসব, মসজিদে নামায পড়ে বের হবার সময়, তাবলীগের লোকেরা এভাবে কোরাস করে বলে, " বাকী নামায বাদ ঈমান ও আমল নিয়ে জরুরী বয়ান হবে, আমরা সকলে বসি। বহুত ফায়দা হবে"
এবেলায় আমিও তাদের মত বলি," কার বয়স কত, কে কালো আর ধলো,কার ইনকাম কত, এগুলো নিয়ে না ভাবি, নিজের চরকায় তেল দেই। সকলে নিজেকে দেখি। বহুত ফায়দা হবে"
রাখার আগে একটা কথা মনে পড়ল, সেটা লিখেই ইতি টানি, আমি কালো ছিলাম বলে আমার মায়ের ঘুম পারানি গান ছিল,"আমার কালাই জগতের মালা। ধলা ধুতুরার ফুল,ভিতরে কিছু না থাকলে বাহিরের সব ভুল"
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ১১:৫৮