এক মনিষীর একটি জনপ্রিয় উক্তি দিয়েই লিখা শুরু করছি," যদি তুমি একটি দেশকে ধ্বংস করতে চাও তবে তার সাহিত্য,কৃষ্টিকে ধ্বংস করে দাও"।
না, আমি সেই ধংসের উৎপত্তি, কারন,প্রতিকার,প্রতিরোধ নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণে যাবনা,ইচ্ছে নেই। উক্তিটি দিয়ে লিখা শুরুর হেতু বলছি, আমাদের মিডিয়া আমাদের চারপাশে এমনভাবে কালো ছায়া হয়ে ঘিরে রেখেছে যে,সেই কালো থেকে ধলো আজ উধাও। আমরা না জানি সত্য,না তফাৎ করতে পারি আসল ও মেকির।
বর্তমান বাংলাদেশ মিডিয়ারও অতি সাধারন বুলি যুদ্ধাপরাধ। আমাদের দেশের কাউকে যদি ঘায়েল করার বর্তমানে উপায় থাকে, কারো ঘারে যদি কোন দোষ আমরা লেপে দিতে চাই তবে তার উপর যদি কোন ক্রমে যুদ্ধাপরাধ বিষয়টি যুক্ত করতে পারি এবং মিডিয়া দিয়ে পুনঃপুনঃ প্রচার করতে পারি তাহলেই কেল্লাফতে। যা কাজ করার ঐ মিডিয়া বাবাজিই করবে। আর আমরা জাতি হিসাবে এতই আরাম প্রিয় হয়ে গেছি কিছু আজ আর যাচাই করতে চাইনা,যা কিছু চোখের সামনে আসে মুখ বুজে তা মেনেই ক্যাবল নিইনা মনেও নিই।
ঐতো সেই একদলের মিডিয়া দিয়ে সিল মেরে দেয়া মানবতা বিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত মীর কাসেম আলি মিন্টু। হতেই হবে। এ যে আওয়ামি ও তার মিডিয়ার সৃষ্টি। তো হবে না? অপরাধ তার যে গুরুতর তা কি কেউ জানে???
হ্যাঁ, সেই মানবতা বিরোধী অপরাধী মীর কাসেম আলীর মিন্টুর কিছু মানবতা হত্যার কথা লিখছি,
মাস্টার্স পাশ করতে না করতেই দায়িত্ব নিলেন রাবেতা আলম আল ইসলামী ( মুসলিম বিশ্বে ভাতৃত্ব) নামক একটি এন,জি,ও তে যার অন্যতম কাজ স্বাস্থসেবা,।বিশেষ করে যেখানে মুসলমানরা নির্যাতিত,নিপেরিত,নিষ্পেষিত, শোষিত । তাই প্রথম কাজ হলো জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশে আগত বার্মার নির্যাতিত মুসলমান শরণার্থীদের জন্য (তখন সময় ১৯৭৯ সাল) আশ্রয় , খাদ্য , শিক্ষা , ও সাস্থসেবা প্রদান । সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে গড়ে তুললেন রাবেতা হাসপাতাল, মরিচ্যাপালং, কক্সবাজার। আসবাবপত্র থেকে শুরু করে সব কিছুইতেই দেশী প্রযুক্তি ব্যাবহার করা হয়। তার বড় ভাইসহ একদল সদ্য পাশ করা তরুন ডাক্তার আর নিবেদিত প্রাণ একঝাক যুবকদের নিয়ে গরে তুলেন এই প্রকল্প । সেই শুরু।দেখতে দেখতে সেই হাসপাতালের বড় হলো ।গড়ে উঠল ডায়াগনস্টিক সেন্টার , অপারেশন থিয়েটার (O.T) ,ফার্মেসী, ইনডোর- আউটডোর সার্ভিস সহ সারাক্ষণ ব্যবস্থাপনায় এক পূর্ণাঙ্গ হাসপাতাল । স্থানীয় বাংলাদেশীদের চিকিৎসাও চললো পাশাপাশি । গড়ে উঠলো নিজস্ব বিল্ডিং, চালু হলো নার্সিং প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। তৈরি হল আবাসিক হোস্টেল।

গ্রাম বাংলার জনগন এর চাহিদাকে সামনে রেখে প্রবর্তন করা হলো ‘পল্লী চিকিৎসক প্রকল্প’ – এখানে প্রশিক্ষণ নিয়ে ছড়িয়ে পড়লো তারা গোটা বাংলার প্রাত্যন্ত অঞ্চলে । এরপর শুরু হলো ইমামদের স্বাস্থ প্রশিক্ষণ । যার প্রধান অংশে রয়েছে স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক সবাস্থসেবা প্রদানের প্রশিক্ষণ । এভাবেই মীর কাসেম আলীর মাধ্যমে সারা বাংলাদেশের পৌঁছে যায় প্রাথমিক স্বাস্থসেবা। মীর কাসেম এদেশের জনগণের উন্নতির জন্য যে চিন্তাভাবনা করেছেন তার বাস্তবরূপ প্রকাশ পেয়েছে রাঙ্গামাটির পিছিয়ে পরা পার্বত্য জনগন এর জন্য নির্মিত রাবেতা হাসপাতাল, মাইনিমুখ এর মাধ্যমে। এছাড়াও রয়েছে রাবেতা স্বাস্থ কমপ্লেক্স টেকনাফ এর উখিয়া ও হিলি, রংপুর এর মিঠাপুকুর সহ বিভিন্ন ছোটখাট স্বাস্থ্য প্রকল্প ।

বলা বাহুল্য, স্বাস্থ্য সেবায় তার তত্ত্বাবধানে আইবিএফ গঠন করে ইবনে সিনা, ইসলামী ব্যাংক হসপিটাল, মেডিক্যাল কলেজ ও নার্সিং ইন্সটিটিউট। যেখান থেকে লাখ লাখ লোক ক্যাবল চিকিৎসাই পাচ্ছেনা তৈরি হচ্ছে শত শত চিকিৎসক, সেবক-সেবিকা।
এতসব মানব হৈতষী কাজ!!!!! এগুলো কি মানবতা বিরোধী অপরাধ নয়? তাইতো মীর কাসেমের মানবতা বিরোধী অপরাধ মামলা শেষ, এখন রায়ের অপেক্ষায় ............।
আহ!মানবতা,তুমি কোথায় হারালে?
তুমি কি আজ দৃষ্টিহীন?
তুমি কি আজ বর্ণান্ধ?
নাকি লুকিয়ে গেছ ঐ মুজিব কোটের আড়ালে??

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



