কিছু গল্পের গল্পাংশ উল্লেখ করলাম।
মুসা যে তাপসের কোন শব্দবন্ধে বিরক্ত হবে, তা বোঝা মুশকিল। আমরা তাপসের কথা শোনার পরই মুসার গালি শোনার আশায় থাকি। এই সকল শব্দবন্ধের মানেও তাপস আমাদের সামনে পরিষ্কার করে। তার মতে আমরা যত বড় হতে থাকি অর্থাৎ এই যে এখন যেমন বেকার, চাকরি খুঁজি এমন বয়েস যার আসে সে ক্রমশ মানবসঙ্গবিরল জীবনের দিকে ধাবিত হয়, এই জীবনের শেষ হয় কবরে গিয়া। বা আসলে মিনিপ্যাক-সভ্যতা মানুষের সঙ্গকে ক্রমশ বিরল করে তুলছে গল্প-কররেখায় জমানো গল্প।
আইজ অবশ্য নিজেরে নারী ভাবার কারণও আছে। আমার পিরিয়ড শুরু হইছে। কাইল অমন একটা লম্বা মিছিলের পরে পার্টি অফিসে আইসাই বিপদে পড়লাম। তলপেটে একটা ব্যথা আর প্রস্রবণের চাপ টের পাইলাম। ভাগ্যিস, ব্যাগে টিসু আছিল। তাড়াতাড়ি অফিস ছাইড়া হলে আইসা পড়ি। সারা দিনের ঘামনুন আর রজঃস্রাবের রক্ত ধুয়া সাফসুরত হইতে হইতে শরীরে আর শক্তি পাইলাম না। না খায়াই ঘুম। রাইতে খুব মায়ের কথা মনে হইতেছিল। টাকাও শেষ। এই শুক্রবারেই বাড়ি যাইতে হইব। গল্প-লাল রঙ কৃষ্ণচূড়া।
এই টেক সাপ শেয়ালের আড্ডাখানা। শেয়ালে তেমন ভয় নাই, কিন্তু সাপের বিষে কত যে মানুষ মরল, তার লেখাজোখা নাই। দাঁড়াইশ, কালিপানো, খইয়াপানো, দুধরাজ, সুতানালি, জাইত, গোখরা, আলাজ, বীনরাজ, পীতরাজ, গলাকাটি, পিরপিরে, টিয়াঠুটি, সুতাশঙ্খ, কালিনাগ- কত কিসিমের সাপ। সব সাপের একই ধরন বিষয়। গল্প-সাকিনি।
যারা কিনতে আগ্রহী হইবেন, তারা বইমেলায় গিয়া ভাষাচিত্রের স্টলে যোগাযোগ করবেন। ১০-০২-২০১১ তারিখ থিকা বই পাওয়া যাবে।
বইটা উৎসর্গ করছি জাহাঙ্গীরনগরের বন্ধুদের।
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে অক্টোবর, ২০১৪ বিকাল ৩:৫২