কবর হতে উঠে আসা সব
নরকঙ্কাল আর অসান্ত আত্না,
এই নিরয় করে তোলে কোলাহলময়,
হাসিতে তাদের ধ্বংসের গান----
সমস্ত এলাকায় তোলে ঝড়
তাদের দীর্ঘশ্বাস।
প্রেত ভূমির এই বন্দী শিবিরে
যতক্ষণ তাদের বাস।
বিস্তৃত এই ভূমি
যতদূর চোখ যায় কেবল
ধূসর মাটি, বালি আর গ্রানাইট,
আর বিকট-দর্শন তমসাতল।
মাথার খুলি হয়তো পড়ে আছে
ধূসরে, হয়তো বিলয়মান।
আসে পাশে আছে আরো
হাড় কঙ্কাল আর রুদ্ধ প্রাণ।
হয়তো সবুজ প্রান্তরে
পড়ে আছে নবীন কোন লাশ।
তাকে ঘিরে উৎসুক কঙ্কাল-দল।
জেনেছে প্রেতের মহারাজ।
রয়েছে সেথায় তপ্ত রুধিরে
সিক্ত বালি আর ভয় চিহ্ন
ধ্বংসের মেলা করছে বিরাজ,
মৃত্যু আছে কিন্ত নাই মৃত্যুর ত্রাস।
গ্রানাইটের পাহারে স্তুপকৃত
মানব মাংশপিন্ড,
রয়েছে হাজার কাল ধরে
হয়েছে সাদা মন্ড।
এখানে ওখানে ছড়িয়ে আছে
রক্ত মাংশের স্তুপ।
তার উপর ফুটেছে ফুল
বীভৎস রক্তকূপ।
অপূর্ব ফুলের বিকট গন্ধে
হেসে উঠে প্রেত ভূমি
বহুদিন পর একটি কঙ্কাল
হেসেছে আজ বুঝি।
ক্ষুদ্র গুল্মের দ্বিতীয় ডাটায়
ফুটেছে প্রসূন সুনীল,
পাঁচ টি পাপড়ি ছড়িয়ে আছে
বিস্ময় পায় খুজি।
প্রতি পাপড়ির মধ্য জমিনে
একটি মানব লোচন,
চেয়ে আছে তারা নিঠুর দৃষ্টিতে
কবে হবে দুঃখ মোচন।
নবীন লাশের হৃদপিন্ড, বিচ্ছিন্ন শরীর
গুল্মনগিজ অঞ্চলেতে----
আছে। হঠাত উজ্জ্বল পাঁচ টি লোচন
করল অশ্রু বর্ষন
লাশের দর্শন পেতে।
কপিরাইটঃ আবু মোহাম্মদ রইসউদ্দিন,২০০৩
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ১২:১৭

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




