আমার বিরুদ্ধে ব্লগে অপপ্রচারের জোয়ার চলছে। আমি যাই লিখি তাতেই কয়েকজন ব্লগার অশ্লীল গালাগালি করে কমেন্ট দেন। অনেক মেয়ের পক্ষেই এ ধরণের অশ্লীল গালাগালি হজম করে ব্লগে থাকা সম্ভব নয়। তবে, আমি একটু ত্যাদড় প্রকৃতির। তাছাড়া এই ধরণের আচরণ মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ করে। ভিন্নমত প্রকাশের অপরাধে ফাসি দেয়া, গুপ্তহত্যা করা আর এ ধরণের আচরণ অনেকটাই কাছাকাছি। সামহোয়ারের নিকট অনেকে দাবি করেছেন, আমাকে ব্যান করার জন্য। এটি সামহোয়ারের ব্যাপার। এই জনপ্রিয় ব্লগটিকে তারা যদি বাংলাদেশের একটি বিশেষ দলের মুখপাত্র হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করতে চান, তাহলে তাদের জনপ্রিয়তা কতটুকু থাকবে, তা নিশ্চয় তারা বোঝেন। বাংলাদেশে জনকন্ঠ, দিনকাল কিংবা সংগ্রাম পত্রিকার জনপ্রিয়তা থেকে তারা শিক্ষা নিতে পারেন।
এখন আসি আমার বিরুদ্ধের অভিযোগগুলোর ব্যাপারে। মূল অভিযোগ হচ্ছে, আমি একজন হিন্দু মেয়ে হয়ে কিভাবে এমন কিছু লিখি যা আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে যেতে পারে। আমার বাবার এ বিষয়ে একটি ব্যাখ্যা রয়েছে। যখন কোন দেশের সংখ্যালঘূ সম্প্রদায় কোন একটি বিশেষ রাজনৈতিক শক্তিকে নিঃশর্ত সমর্থকে পরিণত হয়, তখন তাদের দর-কষাকষির ক্ষমতা কমে যায়। বাংলাদেশে হিন্দু মানেই আওয়ামী লীগের সমর্থক - এই ধারণাটি হিন্দুদের রাজনৈতিক ক্ষমতায়নের প্রধান বাধা। সেদেশের জনগণের ১০-১২% হিন্দু। অথচ, পার্লামেন্টে তাদের সিট কয়টা? কয়জন মন্ত্রী হিন্দু? এর কারণ, আওয়ামী লীগকে হিন্দুদের জীবন-মন সবকিছু নিঃশর্তভাবে শপে দেয়া। আওয়ামী লীগ ভাবে তার ছাড়া হিন্দুদের গতি নেই। অন্য দলেরা ভাবে, হিন্দুরা হচ্ছে আওয়ামী লীগের। ফলে আমাদের কোন দর-কষাকষির ক্ষমতা থাকে না।
বাংলাদেশে আমি জীবনের একটি বড় অংশ কাটিয়েছি। সেখানে আবার ফিরেও যেতে পারি। আমাদের অনেক আত্মীয় জানিয়েছেন, বিভিন্ন সময়ে তাদের জমা-জমি দখলে আওয়ামী লীগের মাস্তানেরা অগ্রণী ভূমিকা পালন করে। ১৯৯৬-২০০১ সালে হিন্দুরা সবথেকে বেশী নির্যাতিত হয়েছে। কিন্তু, শেষ ভরসা আওয়ামী লীগের ভয়ে তারা কিছু বলতে পারে নি।
হিন্দু মানেই আওয়ামী লীগ - এই ধারণা ভাঙ্গতে হবে।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




