ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের মধ্যে ব্যাপকভাবে প্রচলিত আছে যে, টিম বার্নার্স লী ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েবের প্রথম আবিস্কারক। এ প্রচারণার কিছু কারণ ছিল। গত কয়েক শতক ধরে খ্রিস্টানদের মধ্যে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির একটা জোয়ার এসেছিল। গোড়া খ্রিস্টান টিম লী এক সময় খ্রিস্টান ধর্ম ত্যাগ করে নাস্তিক্যবাদ গ্রহণ করেন। নাস্তিক্যবাদ সেই সময় ছিল একটি নতুন মতবাদ। তাই এই মতবাদ আপামর জনসাধারণের মধ্যে প্রচারের জন্য টিম লী নিজে উদ্যোগী হলেন। কিন্তু অর্থকড়ির তো প্রয়োজন। সেটা আসবে কোত্থেকে? তিনি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে পন্ডিত ছিলেন। মুসলিম প্রযুক্তিবিদদের থেকে টাকা বের করার জন্য বেশ কিছু প্রোগ্রাম লিখলেন এবং সেই সাথে ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব প্রযুক্তি বের করলেন। মুসলিম প্রযুক্তিবিদরা সেটা গ্রহণও করলো বেশ। ফলে মুসলিম প্রযুক্তিবিদ যারাই ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েবের সাহায্য নিতে চাইলো তাদের হাতে আসলো তার আবিস্কৃত প্রযুক্তি। এ ব্যাপারে তাকে নাস্তিকরা, নাসারা খ্রিস্টানরা এমন কি ধুরন্ধর ইহুদিরাও যথেষ্ঠ সহযোগিতা করেছে। ফলে মানুষ মনে করেছে ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েবের প্রথম আবিস্কারক টিম বার্নার্স লী। আসলে ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েবের প্রথম আবিস্কারক যে মৌলবী আবদুল হালীম খা সে কথা অল্প কিছু লোক জানলেও ব্যাপকভাবে প্রচার করার সুযোগ আসেনি। টিম লী ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব প্রযুক্তি বিক্রি করে যে অর্থ লাভ করতেন তা ব্যয় করতেন নাস্তিক্যবাদ প্রচার কাজে।ফলে নাস্তিক্যবাদ প্রচারের মিশনের সাথে ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েবের একটা গভীর সম্পর্ক ছিল।
মৌলবী আবদুল হালীম খা ছিলেন একজন মুসলমান। তিনি স্বত:প্রণোদিত হয় ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব আবিস্কার করেছিলেন। তা প্রচারের জন্য টিম লীর মতো কোন মিশন ছিলো না। যার কারণে তার প্রচার প্রসার সীমিত। এমনি করেই ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েবের প্রথম আবিস্কারক হয়েও মৌলবী আবদুল হালীম খা নাস্তিক টিম লীর মতো প্রচার পেতে পারেননি
অনুপ্রেরণা
বি.দ্র: কোন ধরনের প্রশ্ন করে আমাকে লগআউট করতে বাধ্য করবেন না।