ছাগুছানা আজ বড় চিন্তিত। মহাগ্রন্থে বলা হইয়াছে কাফেররা নির্বোধ। তাহাদিগের অন্তর অন্ধ। ইহারা সত্যকে চিনিতে পারে না। মহাগ্রন্থ পড়িবামাত্র ছাগুছানা পরিস্কার বুঝিয়া যায় কাফেরদিগের কোন বুদ্ধিশুদ্ধি নাই। তাহারা বড়ই নির্বোধ। ছাগুছানা বড়ই ভাবনায় পড়ে। ছানা তো বহু বিদ্বানকে দেখিয়াছে যাহারা মহাস্রষ্টায় বিশ্বাসী না। তাহা হইলে মহাগ্রন্থের সাথে মিলিলো কেমনে?
ছানা তাহার ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র মস্তিষ্ককে আরো গভীর ভাবনায় নিয়োজিত করে। ভাবিতে ভাবিতে সে লেজ নাড়ায়। লেজ নাড়ায় আর ভাবে। ভাবে আর লেজ নাড়ায়। ভাবিতে ভাবিতে সে দিশেহারা হয়। গুগলে করিয়া সে বিশ্ব ভ্রমায় সমাধানের আশায়। চকিতে সে পাইয়া যায় তাহার মহাসমাধান। মহাসমাধানের আনন্দে তাহার ছাগদন্ত বিকশিত হয়। আনন্দে ছাগুছানা লাফাইতে লাফাইতে হাসে।
সমাজবিজ্ঞানীরা বলেন নাই গীবত অপরাধ। তাই তাহারা নির্বোধ। সমাজবিজ্ঞানীগণকে নির্বোধ প্রমাণ করিয়া ছানা আনন্দে লেজ নাড়ায়। অর্থনীতিবিদরা জানে না যাকাতই অর্থনীতির ভিত্তি। তাই তাহারা নির্বোধ। অর্থনীতিবিদগণকে নির্বোধ প্রমাণ করিয়া ছাগুছানার ছাগদন্ত বিকশিত হয়। ডাক্তারগণ অদ্য পর্যন্ত ছাগলের বিষণ্নতা দূর করিবার কোন মহৌষধ আবিস্কার করিতে পারেন নাই। তাই তাহারা নির্বোধ। ডাক্তারগণকে নির্বোধ প্রমাণ করিয়া ছাগু আনন্দে কাঠাল পাতা চিবোয়। এইবার ছাগুছানা তাহার ক্ষুর প্রসারিত করে রাষ্ট্রযন্ত্রের দিকে। গণতন্ত্র নামক হাস্যকর ব্যবস্থা দেখিয়া ছানা লেজ নাড়াইয়া হাসে। তখনি ছাগুছানা মহা চিন্তায় পড়ে। ছাগু বুঝিয়া পায় না কেন হাজার খুন আর শত খুনের শাস্তি সমান হইবে। হাজার খুনের শাস্তি হইবে হাজারবার মৃতূদন্ড আর শত খুনের শাস্তি হইবে শতবার মৃতূদন্ড। সমাধান পাইয়া ছাগু নিশ্চিন্ত হয়।নিজের জ্ঞানে ছাগু বিচলিত হয়। আনন্দে সে আরও কাঠাল পাতা চিবোয়। আনন্দের আতিসয্যে ছাগুছানা ভোর ৬টা ৩৪ মিনিটে ব্লগে আসিয়া লাদি ছাড়ে।
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ সকাল ১০:০৩