তোমার পা ধুলোকে চুমু দেয়, চুমু দেয় সবুজ কিংবা শুকনো ঘাসকে,
তোমার চুল ক্ষুধার্ত অন্ধকারের সাথে গল্প করে, কবিতা শোনায় আমাবস্যার রাতকে,
তোমার ছায়া লুকোচুরি খেলে ল্যাম্পপোস্টের হলদে আলোর সাথে,
তোমার শাড়ি বাতাসকে দোলনা বানিয়ে ঝুলতে থাকে বারান্দায়,
তোমার চোখ ধ্রুবতারার মতন পথ দেখায় জীবন-সায়রে ভেসে পড়া নাবিককে,
তোমার নাক-ফুল ফুটে থাকে পৃথিবীর শেষ রক্ত-গোলাপ হয়ে,
তোমার অবহেলা পৃথিবীর সবচেয়ে সংসারী মানুষকে বাধ্য করে সন্ন্যাস গ্রহণে,
তোমার নাম ধরে শিষ দিয়ে অসময়ের কোকিল বুকে কাঁপন ধরায়,
তোমার চোখের জল জ্যৈষ্ঠের দাবদাহে বন্যা ডেকে আনে দেশ জুড়ে,
তোমার ঠোঁট প্রেমিকের বুকে ফুলকি ছোটানো আগুন হয়ে দাউদাউ জ্বলে,
তোমার মুখনিঃসৃত বাণী শোনার অপেক্ষায় থাকে নগরীর দায়িত্বপ্রাপ্ত দেবদূত,
তোমার কানে ফিসফিস করে গান শুনিয়ে যায় প্রজাপতি পরীরা বিষণ্ণ প্রহরে,
তোমার প্রতিটা ছবিই ঢাকা থাকে মোনালিসার মত রহস্যের অবগুণ্ঠনে,
তোমার হাত হাসের পালকের কোমলতায় স্পর্শ করে সুন্দরী-তম শরীর,
শুধু আমিই সে ভাগ্যহত যার হাত তোমাকে শত চেষ্টাতেও ছুঁতে পারে না।
-----------------------------------------------------------------------------
কাব্যিকতা - কবি ও কবিতার আলোচনা
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:২২