somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আসুন আমরা নিজেই আগে পাল্টাই

২১ শে আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৪:৫৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

একটা মানব দেহ যখন পৃথিবীতে ভুমিষ্ট হয়ে যায়, তখন সেটা নিষ্পাপ আর নিস্পাপ মনুষ্যত্ব হিসেবেই সমাজের সাথে মিশতে থাকে। বাল্য কৈশোর আর যৌবন বৃদ্ধকাল এই চারটি সময়ে সব চেয়ে যে সময়টিতে তার মনুষ্যেতর রুপ পাল্টায় সেটি হলো প্রায় ৩ কালের মধ্যেই।
.
কৈশোরে যখন পদার্পণ করে তখন সে দেখতে পায় সমাজের আশে পাশের কাজ কর্ম আর অন্য মানুষের আহাজারি আর আর্তনাদ অ-বিচার আর স্বু-বিচার সমূহ, আর অভ্যাসে পরিনত হয়ে যায় তার যৌবের দিকে হেটে যাওয়ার।
.
যৌবনে যখন পদার্পণ করে তখন তার গায়ের মাংস আর রক্তের গরমে নিজেই সমাজের সাথে তাল মিলিয়ে অন্যায় অবিচার আর অসালিন কাজ কর্মে লিপ্ত হয়ে যায়, যেটা সে তার কৈশোরে আদি লোকদের কাছ থেকে শিখে এসেছে......তার মত এমন কাজ তার পরবর্তী প্রজন্মের কৈশোরেরা শিক্ষা গ্রহন করতেছে।
.
বৃদ্ধকাল চলে এলে মোটা মুটি সমাজ তাকে সম্মানের দিকেই দৃষ্টিগোচর করে থাকে,কেউ হয় গ্রামের মাতবর,আবার কেউ হয় কোন রাজনৈতিক নেতা। আবার কেউ হয় অনেক শিক্ষায় শিক্ষিত ভূষিত হয়ে একজন দামি মানুষ।
.
মানুষ কিন্তুু সবাই....সেটা আবার পাগল হোক,আবার সুস্থ মস্তিস্কের হোক কিন্তুু মানুষ আর মনুষ্যত্বের মাঝে রাত আর দিন পার্থক্য রয়েছে।
.
একজন সুস্থ মানুষ এই সমাজে কখনই সুস্থ মস্তিস্কের সন্ধান পাবে না, আর একজন পাগল মানুষও সুস্থ মস্তিস্কের সন্ধান পাবে না।
.
আদি সমাজের হাল-চাল ধরে যদি সমাজ আর মনুষ্যত্বকে পাল্টানোর কথা চিন্তা করা হয়_____তাহলে এটা কথা ভেবে বলতেবোকামির পথটা নিজের হাত দিয়েই নিলেন।
.
যাই হোক, একজন বৃদ্ধ যখন সমাজের নেতা হিসেবে বিরজমান থাকে তখন কিন্তুু আমরা তার কমান্ড অনুযায়ী সমাজের সাথে চলাচল করে থাকি।
.
কিন্তুু আমরা কখনই ভাবি না তার মনুষ্যালয় কোন পর্যায়ে গিয়েছে, আর দোষত্রুটি ধার চেষ্টাই করি না। কারন আমার আজ কৈশোরে অবস্থান একদিন যৌবন আসবে আবার আসবে বৃদ্ধকাল।
.
চক্রের খেলায় আমরা ঘূর্ণিজলের মত বার বার ঘুরে আসতেছি......সমাজ তাহাকে আজ মাথায় নিয়ে বেড়াচ্ছ......কারন সমাজকে সংস্কর কার মত কাউকে খুজে পাওয়া মানে আকাশের চাদ হাতে পাওয়া।
.
আবার দেখা যায়.....গোত্রের চাহিদা বর্তমানে অনেক বেশিই, কেউ হিন্দু ধর্ম,কেউ মুসলমান আবার কেউ বৌদ্ধ খৃষ্টীয় ধর্মের অনুশারী।
.
হিন্দুরা মনে করে যে___ওরা খৃষ্টান তাই ওর হাত দিয়ে সমাজকে উন্নয়ন করা মোটেও সম্ভব না। আবার মুসলমানরা মনে করে ওরা হিন্দু ওদের হাত দিয়ে সমাজ সংস্কর করা সম্ভব না, এভাবেই কিন্তুু প্রায় সব ধর্মের মানুষেরা সমাজ গোছাতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে.........আর এতেই হয়ে যায় মারামারি আর কাটাকাটি।
.
এই দন্ডগুলোয় নিন্তুু ধর্মের উপর আঘাত যকটুকু পড়ে, তার চেয়ে আঘাত বেশি হয় সমাজ আর মনুষ্যত্বের উপর।
.
আমরা চাই না কোন বৃদ্ধ,আর চাই না কোন ধর্মের বেড়াজাল। আমরা চাই আমাদের চারপাশের পরিবেশকে স্থিতিশীল করার জন্য ভাল মানুষের দ্বারা শাসিত সমাজ।
.
আর আমাদের জীবনকে আরও সুন্দর ভাবে বাচিয়ে রাখতে চাই সুস্থ আর ভাল মনুষ্যত্বের শাসক................... কিন্তুু আমরা কখনই তাহা পাবো না, যতক্ষণ না আমরা নিজেরাই নিজেকে না পাল্টিয়ে নেই।
.
আসুন আমরা আমাদের পরিবেশকে ভালো রাখার চেষ্টা করি, যাতে সমাজ চক্রে গনণা করে আমরা আগামীর সমাজ আর ভালো মনুষ্যত্বের দিকে অগ্রস্বর করিয়ে দেই..................
.
........................আসুন নিজে আগে পাল্টিয়ে যাই।
.
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে আগস্ট, ২০১৫ বিকাল ৪:৫৬
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্মৃতিপুড়া ঘরে

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৩০



বাড়ির সামনে লম্বা বাঁধ
তবু চোখের কান্না থামেনি
বালিশ ভেজা নীরব রাত;
ওরা বুঝতেই পারেনি-
মা গো তোমার কথা, মনে পরেছে
এই কাঠফাটা বৈশাখে।

দাবদাহে পুড়ে যাচ্ছে
মা গো এই সময়ের ঘরে
তালপাতার পাখাটাও আজ ভিন্নসুর
খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

গরমান্ত দুপুরের আলাপ

লিখেছেন কালো যাদুকর, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৫৯




মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগে কেন আসি? সোজা উত্তর- আড্ডা দেয়ার জন্য। এই যে ২০/২৫ জন ব্লগারদের নাম দেখা যাচ্ছে, অথচ একজন আরেক জনের সাথে সরাসরি কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজীব নূর কোথায়?

লিখেছেন অধীতি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:২৪

আমি ব্লগে আসার পর প্রথম যাদের মন্তব্য পাই এবং যাদেরকে ব্লগে নিয়মিত দেখি তাদের মধ্যে রাজীব নূর অন্যতম। ব্যস্ততার মধ্যে ব্লগে কম আসা হয় তাই খোঁজ-খবর জানিনা। হঠাৎ দু'একদিন ধরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৬



©কাজী ফাতেমা ছবি

মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।

হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।

ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×