মধ্যযুগীয় মহাকবি আল্লামা ইকবাল তার বাণীগুলি যদি আপনি এখন গবেষণা করেন তাহলে আপনি হতবাক হয়ে দাড়িয়ে থাকবেন................
.
" ‘আরব হামারা চীন হামারা হিন্দুস্তাঁ হামারা
মুসলিম হ্যায় হাম,–ওতন হ্যায়
সারা জাঁহা হামারা।’"
.
উনি কথাগুলি শুধু মুসলমানদের উদ্দ্যেশ্য করে বলেছিলেন কারন মুসলমান ধর্মের মানুষের মাঝে এমন একটি ভূল দেখতে পেয়েছিলেন যাহা সারাজীবন মুসলমানদের একটা বিষয়ে দ্বী-মত পোষন করতেই হবে।
.
আমাদের মুসলিম ধর্মে শ্লোগান দিয়ে মাযহাব ও বিভিন্ন গোষ্টি দ্বারা পরিচালিত হয়ে যাচ্ছি, কেউ খাজা বাবা, কেউ লেংটা বাবা, আতস বাবা, ভন্ড বাবা ছাড়া অনেক বাবার হাট বাজার।
.
আবার হানেফী মাজহাব, শাফেয়ী মাজহাব, ছাড়া বংশ বিস্তার করে ডান বাম দিয়ে ডালে ডালে আজ মুসলিম বিভক্ত হয়ে গিয়েছে।
.
আজ বেশিরভাগ মুসলমান হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এর উম্মত বলে গণ্যই করে না। ইবাদত করে নাম যপে তাদের পীরের আর মুরীদের।
.
আজ বিশ্বে সব চেয়ে বড় নির্যাতিত ধর্ম হচ্ছে ইসলাম ধর্ম, সেগুলি আমাদের মত পাতি পাক্কানী মৌলভীর জন্য, আজ আমরা মুসলমান মুসলমান বিভক্ত। হিংসুটে ত্যাগী সহ সব দিক দিয়েই আমরা।
।
মহাকবি ইকবাল একটা কথা বলেছিলেন........."বাঘের কপালে বিড়াল নাচবে"
.
আমরা মুসলমান সমাজ এক সময় ছিলাম বিধর্মীদের হাড় কাপাঁনোর বস্তুু, এক সময় মুলমান নাম শুনলেই কাফেরেরা ভয়ে হাগু করে দিতো। কেউ সম্মানের চোখে দেখতো।
.
কারন........তখনকার শাসক ছিল মুহাম্মদ (সাঃ) ও উমর (রঃ) এর মত শাসক। আর তাদের সাহাবীরা ছিল শুধু তাদের হুকুমের পাত্র মাত্র, তাবেয়ীরা ছিল তাদের উত্তরসূরী আর তাবে-তাবেয়ীন রা ছিল তাদেরই উত্তরসূরী।
.
কিন্তুু তাদের শাসনের সুত্রগুলি উমর (রঃ) ও মুহাম্মদ (সাঃ) এর কথা কাজ ও মৌনতার বিশ্বাসকে রেখেই.....যাহাকে হাদীস বলা হয়।
.
আজ কাল নিউজ পেপারের খরবগুলি দেখে মুসলমান সমাজের কি ঘৃর্ণা করে না.....??? লজ্জা করে না....???
.
খুবেই কষ্ট লাগে যখন দেখি বিশ্বে মুসলমানদের দুর্গ্রহ আর আহাজারী, যখন দেখি কাফের মুশরেকের হাতে মুসলমান নির্যাতিত.......................................
.
আর যখন শুনি কোন মুসলমানের কন্ঠে............রাজীবের (থাবা-বাব) রক্ত বৃথা দিতে দিবো না,দিবো না......!
.
মহাকবি ইকবালের কথাগুলি আজ সত্য এবং প্রমানিত হয়ে যাচ্ছে........."বাঘের কপালে আসলেই আজ বিড়াল নাচতেছে, আজ আমরা বড় অসহায় জাতী।
.