প্রথমে রুমে ঢুকেই সজল পুস্পিতার দুটি চোখের দিকে তাকিয়ে অবিরাম ভাবে দেখতেছে আর মনে মনে নানা কথা আকঁতেছে। হরিণীর মতই দুটি চোঁখ, নাকটা অনেক লম্বা, মাথার চুলগুলো কাঁলো বটে লম্বাও কম না।
.
পুস্পিতার কাছে গিয়ে সজল বললো, তোমার কি মন নেই......???
পুস্পিতা উত্তরে বললো, না আমার মন নেই, আমার আছে একটা সুন্দর দেহ আর আছে চোঁখ ভরা অবিরাম ঝরণার জলের মত জল।
.
সজল এবার বললো, তুমি কি কারনে এখানে এসেছো, এটাতো অনেক খারাপ জায়গা, পৃথীবির সব থেকে ঘৃর্ণিত জায়গা......?
.
পুস্পিতা উত্তরে বলিলোঃ আজ আমি এই জায়গায় অনেক শান্তিতে আছি, সবার সাথে মিশতে পারতেছি, হাসি আর আনন্দ নিয়েই দিনগুলি পার করতেছি। আমার কাছে আজ এই খারাপ জায়গাটিই সব চেয়ে ভালো জায়গা।
.
সজলের মন ও বিবেককে আঘাত করতে লাগলো কষ্ট আর ভালবাসা। দুই মিনিট পুস্পিতার সাথে কথা বলতে বলতে পুস্পিতার সব দিক থেকে প্রেমে পড়ে গেল। এদিকে আজ পুস্পিতাককে সজল যা বলবে, তাহা পুস্পিতা কিন্তুু মেনে নিততে বাধ্য। কারন পুস্পিতাকে সজল এভাবে দেখতে চায় না।
.
সরাসরি পুস্পিতাকে সজল বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে বিয়ে করে পুস্পিতার জীবনেকে সুন্দর রুপে পরিনত করতে চাইল। প্রথমে পুস্পিতা না উত্তর দিলেও পরে সজলের চেষ্টা আর আকর্ষনের জন্য পুস্পিতা রাজি না হয়ে থাকতে পারলো না।
.
................. দাম্পত্যজীবন শুরু হলো পুস্পিতা আর সজলের। অনেক সুথেই যেতে লাগল তাদের দাম্পত্যজীবন, বাসর রাতে সজল পুস্পিতাকে বলেছিল তুমি তোমার অতীতকে ভুলে যাবা, আর আমিও তোমার অতীতকে মনের কাছে নিয়ে আসতে দিব না।
.
সেদিন কিন্তুু সজলের প্রত্যেক কথাই হুম বলে মাথা ঝাকিয়ে পুস্পিতা নিজেকে প্রমানেই করেছিল সে একজন বউ। ভালবাসার কমতি কিন্তুু ছিল না, দুজনে দুজনকে অনেক ভালবাসে, একে অপর ছাড়া কোথাও বেড়াতে যায় না।
.
সজল অফিসের পার্টিতে পুস্পিতাকে নিয়ে হিয়ে সবার সাথেই পরিচয় করিয়ে দিয়েছে, সজলের মনে একটাই সুন্দর অনুভুতির ছোঁয়া ছিল যে__ আমার বউ কোন দিক থেকে কম না, যেমন রুপ তেমন সব কিছুই। কলিগ থেকে শুরু করে সবাই পুস্পিতাকে অনেক পছন্দ করে।
.
দেখতে দেখতে দাম্পত্যজীবনেরর তৃপ্তি দুই বছর হয়ে গেল। সজল কিছুদিন যাবৎ একটা জীনিস পুস্পিতার খেয়াল করতে লাগলো, আগের মত আর পুস্পিতার সেই ভালবাসা নেই, কেমন যেন হয়ে গেছে পুস্পিতা।
.
সজল অফিসে গেলে পুস্পিতা একাই কোথায় যেন বেড়িয়ে যায়, তা কেউ জানে না। এমন কি সজলও না। কিন্তুু কোথায় যায় পুস্পিতা........??? সেটি সজলের একান্ত দায়িত্ব এবং কর্তব্য।
.
সেদিন সজল অফিসে না গিয়ে একটু পুস্পিতার থেকে দুরে লুকিয়ে থাকলো, আজ সজল দেখবে যে___ পুস্পিতা রোজ দিনে কোথায় যায়।
.
সজলের লাল দেওয়া শাড়িটা পুস্পিতার পড়নে দেখে সজল চমকে উঠলো, কারন সেটি সজল বিয়ের পরে পুস্পিতাকে পড়তে দেখে নি, এবং পড়তে বললেও পুস্পিতা নাকোচ করে দেয়।
.
সজল এবার পুস্পিতার পিছন পিছন চলতে লাগলো, রিক্সা করে পুস্পিতার যেতে শুরু করে দিল, সজলও একটা রিক্সায় উঠে পুস্পিতার রিক্সা অনুসরন করতে লাগলো।
.
............. পুস্পিতার রিক্সাটি একটি জায়গায় থামতে দেখে সজলের মাথায় যেন আকাশ পড়ে গেল।
.
আজ সজল নিজের স্ত্রীর এই রুপ দেখে নিজের মাথা নিজেই আছড়াতে থাকলো আর বলতে লাগলো............
.
পুস্পিতা,, তোমার জীবনে সাজাতে আর তোমার সেই মায়াবী মুখ দেখে তোমাকে জীবনে অনেক ভালবেসেছিলাম, তোমাকে একটি সুন্দর জীবন এ পরিনত করার জন্য আমি তোমাকে বিয়ে করেছিলাম, তোমার অতীতকে ভুলিয়ে রাখার জন্য সব সময় তোমাকে নিজে অনেক অভিনেতা সেজে অভিনয় করে হাসি খুশিতে রাখতাম।
.
আমি নিজে না খেয়ে তোমাকে সুন্দর সুন্দর খাবার খাওয়াতাম, তোমার ইচ্ছেগুলি পূরন করার জন্য অনেক কষ্ট করে তোমার চাদ মুথে হাসি আনতাম। তোমার কেশের শিহরণ পাওয়ার জন্য সব সময় তোমার মুখটি দেখে থাকতাম।
.
এগুলি করার জন্য একটাই কারণ....................... তুমি যেন ওই নষ্টা থেকে একদম ভালো হয়ে যাও। কিন্তুু আজ আমার সব ধারনা ভুল.........!
.
তুমি আজও সেই আগের মতই বিশ্রি মনের একটা পতিতা.................................................
.
-Shaidur Rahman Siddik