somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পতিতা.............

২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:০০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

প্রথমে রুমে ঢুকেই সজল পুস্পিতার দুটি চোখের দিকে তাকিয়ে অবিরাম ভাবে দেখতেছে আর মনে মনে নানা কথা আকঁতেছে। হরিণীর মতই দুটি চোঁখ, নাকটা অনেক লম্বা, মাথার চুলগুলো কাঁলো বটে লম্বাও কম না।
.
পুস্পিতার কাছে গিয়ে সজল বললো, তোমার কি মন নেই......???
পুস্পিতা উত্তরে বললো, না আমার মন নেই, আমার আছে একটা সুন্দর দেহ আর আছে চোঁখ ভরা অবিরাম ঝরণার জলের মত জল।
.
সজল এবার বললো, তুমি কি কারনে এখানে এসেছো, এটাতো অনেক খারাপ জায়গা, পৃথীবির সব থেকে ঘৃর্ণিত জায়গা......?
.
পুস্পিতা উত্তরে বলিলোঃ আজ আমি এই জায়গায় অনেক শান্তিতে আছি, সবার সাথে মিশতে পারতেছি, হাসি আর আনন্দ নিয়েই দিনগুলি পার করতেছি। আমার কাছে আজ এই খারাপ জায়গাটিই সব চেয়ে ভালো জায়গা।
.
সজলের মন ও বিবেককে আঘাত করতে লাগলো কষ্ট আর ভালবাসা। দুই মিনিট পুস্পিতার সাথে কথা বলতে বলতে পুস্পিতার সব দিক থেকে প্রেমে পড়ে গেল। এদিকে আজ পুস্পিতাককে সজল যা বলবে, তাহা পুস্পিতা কিন্তুু মেনে নিততে বাধ্য। কারন পুস্পিতাকে সজল এভাবে দেখতে চায় না।
.
সরাসরি পুস্পিতাকে সজল বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে বিয়ে করে পুস্পিতার জীবনেকে সুন্দর রুপে পরিনত করতে চাইল। প্রথমে পুস্পিতা না উত্তর দিলেও পরে সজলের চেষ্টা আর আকর্ষনের জন্য পুস্পিতা রাজি না হয়ে থাকতে পারলো না।
.
................. দাম্পত্যজীবন শুরু হলো পুস্পিতা আর সজলের। অনেক সুথেই যেতে লাগল তাদের দাম্পত্যজীবন, বাসর রাতে সজল পুস্পিতাকে বলেছিল তুমি তোমার অতীতকে ভুলে যাবা, আর আমিও তোমার অতীতকে মনের কাছে নিয়ে আসতে দিব না।
.
সেদিন কিন্তুু সজলের প্রত্যেক কথাই হুম বলে মাথা ঝাকিয়ে পুস্পিতা নিজেকে প্রমানেই করেছিল সে একজন বউ। ভালবাসার কমতি কিন্তুু ছিল না, দুজনে দুজনকে অনেক ভালবাসে, একে অপর ছাড়া কোথাও বেড়াতে যায় না।
.
সজল অফিসের পার্টিতে পুস্পিতাকে নিয়ে হিয়ে সবার সাথেই পরিচয় করিয়ে দিয়েছে, সজলের মনে একটাই সুন্দর অনুভুতির ছোঁয়া ছিল যে__ আমার বউ কোন দিক থেকে কম না, যেমন রুপ তেমন সব কিছুই। কলিগ থেকে শুরু করে সবাই পুস্পিতাকে অনেক পছন্দ করে।
.
দেখতে দেখতে দাম্পত্যজীবনেরর তৃপ্তি দুই বছর হয়ে গেল। সজল কিছুদিন যাবৎ একটা জীনিস পুস্পিতার খেয়াল করতে লাগলো, আগের মত আর পুস্পিতার সেই ভালবাসা নেই, কেমন যেন হয়ে গেছে পুস্পিতা।
.
সজল অফিসে গেলে পুস্পিতা একাই কোথায় যেন বেড়িয়ে যায়, তা কেউ জানে না। এমন কি সজলও না। কিন্তুু কোথায় যায় পুস্পিতা........??? সেটি সজলের একান্ত দায়িত্ব এবং কর্তব্য।
.
সেদিন সজল অফিসে না গিয়ে একটু পুস্পিতার থেকে দুরে লুকিয়ে থাকলো, আজ সজল দেখবে যে___ পুস্পিতা রোজ দিনে কোথায় যায়।
.
সজলের লাল দেওয়া শাড়িটা পুস্পিতার পড়নে দেখে সজল চমকে উঠলো, কারন সেটি সজল বিয়ের পরে পুস্পিতাকে পড়তে দেখে নি, এবং পড়তে বললেও পুস্পিতা নাকোচ করে দেয়।
.
সজল এবার পুস্পিতার পিছন পিছন চলতে লাগলো, রিক্সা করে পুস্পিতার যেতে শুরু করে দিল, সজলও একটা রিক্সায় উঠে পুস্পিতার রিক্সা অনুসরন করতে লাগলো।
.
............. পুস্পিতার রিক্সাটি একটি জায়গায় থামতে দেখে সজলের মাথায় যেন আকাশ পড়ে গেল।
.
আজ সজল নিজের স্ত্রীর এই রুপ দেখে নিজের মাথা নিজেই আছড়াতে থাকলো আর বলতে লাগলো............
.
পুস্পিতা,, তোমার জীবনে সাজাতে আর তোমার সেই মায়াবী মুখ দেখে তোমাকে জীবনে অনেক ভালবেসেছিলাম, তোমাকে একটি সুন্দর জীবন এ পরিনত করার জন্য আমি তোমাকে বিয়ে করেছিলাম, তোমার অতীতকে ভুলিয়ে রাখার জন্য সব সময় তোমাকে নিজে অনেক অভিনেতা সেজে অভিনয় করে হাসি খুশিতে রাখতাম।
.
আমি নিজে না খেয়ে তোমাকে সুন্দর সুন্দর খাবার খাওয়াতাম, তোমার ইচ্ছেগুলি পূরন করার জন্য অনেক কষ্ট করে তোমার চাদ মুথে হাসি আনতাম। তোমার কেশের শিহরণ পাওয়ার জন্য সব সময় তোমার মুখটি দেখে থাকতাম।
.
এগুলি করার জন্য একটাই কারণ....................... তুমি যেন ওই নষ্টা থেকে একদম ভালো হয়ে যাও। কিন্তুু আজ আমার সব ধারনা ভুল.........!
.
তুমি আজও সেই আগের মতই বিশ্রি মনের একটা পতিতা.................................................
.
-Shaidur Rahman Siddik
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

গরমান্ত দুপুরের আলাপ

লিখেছেন কালো যাদুকর, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৫৯




মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগে কেন আসি? সোজা উত্তর- আড্ডা দেয়ার জন্য। এই যে ২০/২৫ জন ব্লগারদের নাম দেখা যাচ্ছে, অথচ একজন আরেক জনের সাথে সরাসরি কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজীব নূর কোথায়?

লিখেছেন অধীতি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:২৪

আমি ব্লগে আসার পর প্রথম যাদের মন্তব্য পাই এবং যাদেরকে ব্লগে নিয়মিত দেখি তাদের মধ্যে রাজীব নূর অন্যতম। ব্যস্ততার মধ্যে ব্লগে কম আসা হয় তাই খোঁজ-খবর জানিনা। হঠাৎ দু'একদিন ধরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৬



©কাজী ফাতেমা ছবি

মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।

হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।

ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মৃত্যুর আগে ইবলিশ ঈমান নিয়ে টানাটানি করে

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:০২



ইউটিউব হুজুর বললেন, মৃত্যুর আগে ইবলিশ ঈমান নিয়ে টানাটানি করে। তখন নাকি নিজ যোগ্যতায় ঈমান রক্ষা করতে হয়। আল্লাহ নাকি তখন মুমিনের সহায়তায় এগিয়ে আসেন না। তাই শুনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×