এর আগে গত ২রা মার্চ একটা পোস্ট দিয়েছিলাম দেশের সেরা ব্যাটসম্যানদের তালিকা নিয়ে।
বাংলাদেশের সেরা ব্যাটসম্যানদের ক্রমতালিকা -ও.ডি.আই. (এ যাবতকালের সকল ব্যাটসম্যান)
আজ বাংলাদেশ ইংল্যান্ডের সাথে ৩য় ওয়ানডেতে মোকাবেলা করতে যাচ্ছে। এর আগ পর্যন্ত অর্থাৎ ৪ঠা মার্চ অবধি ও.ডি.আই. রেকর্ডের ভিত্তিতে দেখে নেয়া যাক বাংলাদেশের সেরা বোলারদের তালিকা।
যারা মাশরাফি দেশকে কি দিয়েছেন বা কি দেননি দ্বন্দে আছেন তাদের সবাইকেও এখানে একটু চোখ বুলাতে অনুরোধ করছি।
ডাটাবেসটি ক্রিকইনফো-ইএসপিএন সাইট থেকে থেকে নেয়া।
Click This Link
তবে তাদের ডাটাবেস কে সরাসরি ব্যবহার করিনি (আগের পোস্টে বিস্তারিত লেখা আছে।)
তালিকার শেষের দিক থেকে দু একজন কম খ্যাতির বোলারদের বাদ দিয়েছি যারা খুব কম খেলেছেন বা নব্বই এর দিকে খেলেছেন। যদিও সম্প্রতি খেলেছেন এরকম প্লেয়ারদের তালিকায় রেখেছি তাদের সম্ভাবনার কথা মাথায় রেখে। বোলারদের ক্ষেত্রে কয়েকভাবেই তালিকাটি সাজিয়েছি। প্রত্যেক তালিকার নীল অক্ষরের কলামটি হচ্ছে ঐ তালিকার বিবেচ্য বিষয়।
[দেখতে অসুবিধা হলে ব্রাউসার জুম করে নেবেন, যেমন CTRL + মজিলার জন্য]
১. উইকেট প্রতি রান।
১. উইকেট প্রতি রান। এটাই বোলারদের যাচাই করার সবচেয়ে কার্যকর উপায়।
এই তালিকায় দেখা যাচ্ছে- আবদুর রাজ্জাক, মাশরাফি ১ আর ২ নম্বরে। মানজারুল ইসলাম রানা সব এই তালিকায় তিন নম্বরে সহ সকল তালিকাতেই একটা উল্লেখযোগ্য অবস্থানে আছেন। এমনকি ব্যাটসম্যান হিসাবেও। দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমরা তাকে অকালেই চিরতরে হারিয়েছি। বিষ্ময়করভাবে রফিক উইকেটপ্রতি রান খরচার তালিকায় অনেকটাই নিচে। ৩৮ গড়ে ১৫ নং অবস্থানে।
২. ওভার প্রতি রান
২. ইকোনোমিক বোলার হিসাবে দ্বিতীয় যে তালিকাটি দাড় করিয়েছি তাতে সাকিব এক নম্বরে, (মানজারুল ইসলাম রানা ২য়), রফিক তিন এ, আবদুর রাজ্জাক এই তালিকায় কিছুটা পিছিয়ে ৬ আর মাশরাফি ৮ নম্বরে। নতুন বোলার হিসাবে নাঈম দশ নাম্বারে হলেও মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ রান প্রতি একটু বেশি রান দেবার কারনে (৫.২৪) ১৭ নম্বরে অবস্থান নিয়েছেন। ফাস্ট বোলারদের মধ্যে সৈয়দ রাসেলের সাথে ৪.৫৪ রান রেটে অন্যদের থেকে ইকোনোমিক হলেও মাশরাফির কাছ থেকে আরেকটু ভাল আমরা আশা করতেই পারি। বেচারা শুরুর দিকে ইনজুরির কবলে পড়ে বোলিং একশন পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়। সব কিছুর পরেও বোলিং, ব্যাটিং, ফিল্ডিং মিলিয়ে মাশরাফি নিসঃন্দেহে একজন ডাইহার্ড ক্রিকেটার।
৩. সর্ব্বোচ্চ উইকেট শিকারী
৩. সর্ব্বোচ্চ উইকেট শিকারী আবদুর রাজ্জাক সবাইকে ছাড়িয়ে ১ নম্বরে উঠে গেছেন। এমনকি রফিক যেখানে ১২৩ ম্যাচে ১১৯ উইকেট লাভ করেছেন, সেখানে আবদুর রাজ্জাক ৯৫ ম্যাচ খেলেই ১৩৬ উইকেট পেয়ে গেছেন। ১৩৪ উইকেট পেয়ে মাশরাফি ২ নম্বরে। সাকিব যদিও তালিকার চার নম্বরে তবে এবং ৯৪ উইকেট পেয়ে আবদুর রাজ্জাকের থেকে ১১ ম্যাচ কম খেলে ৪২ উইকেট পিছনে। মজার ব্যাপার আমাদের চাচা ৯খালেদ মাহমুদ সূজন কিন্তু পাচ নম্বরে ৬৭ উইকেট পেয়ে। নতুনদের মধ্যে সৈয়দ রাসেল অনেকটা কম খেলেও এগিয়ে আসছেন দ্রুত।
৪. এক ম্যাচে ৫ উইকেট ও ৪ উইকেট
৪. সব শেষে যে তালিকাটি দাড় করিয়েছি তাতে দেখা যাচ্ছে ৫ উইকেট শিকারী বোলার আমদের ৫ জন। এদের মধ্যে আবার আফতাব আর ফরহাদ রেজার মত পার্ট টাইম বোলার দুজন ও আছেন। বাকী দুজন বলাই বাহুল্য রফিক আর মাশরাফি। এই তালিকায় ৪ উইকেট শিকারের ক্রমতালিকাও পাওয়া যাবে যেখানেও আমাদের প্রয়াত রানা দুবার এই কৃতিত্ব দেখিয়েছিলেন।
বস্তুতঃ এটা আমার এক মজার বিষয় হয়ে দাড়িয়েছে। ওয়ার্ড এ ডাটাবেস টাকে নিয়ে এসে নানাভাবে সর্টিং করার ফলে বিভিন্ন ভাবে প্লেয়ারদের শ্রেষ্ঠত্ব বোঝা সম্ভব হচ্ছে।
তবে সাকিবের সাথে মাশরাফি কে নিয়ে আমাদের পত্রিকা গুলো যে প্যাচ লাগাবার চেষ্টা চালাচ্ছে তা আমাদের ক্রিকেটের জন্য নিসঃন্দেহে ক্ষতিকর। কারন দুজনকেই বাংলাদেশের ক্রিকেটের জন্য প্রয়োজন।
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে মার্চ, ২০১১ দুপুর ১:১২