নুরুল হক সাহেবের স্বপ্নের সব চেয়ে বড় খন্ডটা আজ ভেঙ্গে গেলো। মেয়েটা মেডিকেলে চানস পেলো না। কিছু বলতেও পারছেন না যদি মেয়েটা অভিমানে কিছু করে বসে!!!
বাসার সবার মন খারাপ। নুরুল হক সাহেব আগে মেয়েকে বারান্দায় যেতে নিষেধ করতেন। এখন আর করেন না। কারন তিনি লুকিয়ে লুকিয়ে দেখেন বারান্দায় দাঁড়ানোমেয়েটা একটু পর পর কেঁপে কেঁপে উঠছে আর হাত দিয়ে চোখ, গাল মুছছে!!!
সেইদিন অফিসে সেলিম সাহেব বলেছিলো,
- ভাই!! মেয়েকে মেডিকেলে পড়াবেন? তা কোন লিংকে কাজ করাবেন?
- ভাই মেয়েরে প্রাইমেটে পড়াচ্ছি!!!
- হাহাহা!! আরে ভাই এই লিংক সেই লিংক না!!!
- তাহলে?
- এই ধরেন প্রশ্ন দিয়ে কাজ করাইলে আট লাখ; ভেতরে কাজ হইলে DMC এর জন্য ষোল লাখ আর বাকি গুলার জন্য পনেরো লাখ!! ভেতরের কাজের দাম একটু বেশি!!
সেলিম সাহেবের কথা গুলা কিছুই বুঝেননি সেদিন নুরুল হক সাহেব। এত এত টাকা দিয়ে কি কাজ হবে!!!
পরীক্ষার দিন পরীক্ষার হল থেকে তিন-চারটা ছেলে বের হয়েছিল হাসতে হাসতে। নুরুল হক সাহেবের কাছ দিয়ে তারা যাবার সময় তিনি শুনলেন ছেলে গুলা একজন আরেকজনের পেটে গুতা দিয়ে বলছে, "মামা!! কাম হইছে! ! পুরা একশটাই কমন!!! সেরকম পরীক্ষা দিলাম রে মামা!!!"
#নুরুল হক সাহেব অবাক হয়েছিলেন এটা ভেবে যে 'এখানেও কাজ!!!!"
একটু পরেই আরেকটা মেয়ে আসে। নুরুল হক সাহেবের পাশে দাড়িয়ে থাকা মহিলা মেয়েটাকে জড়িয়ে ধরে বলেন, "কিরে মা!! কাজ হয়েছে?"
মেয়েও হেসে উত্তর দেয়, "হ্যা মা!! কাজ হয়েছে!!!"
নুরুল হক সাহেব আজ বুঝতে পারেন কিসের এত কাজ!! কি কাজ!!!
তিনি বিরবির করে শুধু বলেন, "জয় টাকার জয়, ক্ষয় মেধার ক্ষয়!!"
(সত্য ঘটনা অবলম্বনে এবং একজন মেডিকেল পরীক্ষার্থীর পক্ষ থেকে!!!)

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



