আমাদের স্কুলের লাইব্রেরী ছিল। কিন্ত সেই লাইব্রেরী রুমের দরজার উপর বাংলায় নাম রাথা হয় পাঠাগার। তাই আমরা আমাদের লাইব্রেরীয়ানকে পাঠাগার স্যার বলেই সবাই ডাকত। কিন্ত ক্রমেই সেই পাঠাগার স্যারের নাম হয়ে যায় পাঠা এবং ক্রমে তা পাডা এ রুপ নেয়

। তো এখন সেই পাডার এক কাহিনীর কথা বলব

। ছাত্রদের মুখে মুখে একরকম কাহিনী থাকে যেটা যুগ যুগ ধরে চলতে থাকে। সেই রকম কাহিনী এটা। ক্লাস এইট থেকে স্টুডেন্টরা পিকনিকে যাবার পারমিশন পায়। আমরা তখনও ছোট ক্লাসে। সেই সময় এক পিকনিকে আমাদের পাডা গেছে

। তার হঠাৎ বাথরুম ধরছে

। সেই পিকনিক স্পটে একটা মাত্র বাথরুম ছিল এবং সেটার দরজার কোন ছিটকিনি ছিলনা

। কিন্ত আমাদের পাডার তো বাথরুমে যেতে হবে। উনি কি করলেন। আশেপাশে ঘোরাফেরা করছে এমন কয়েকজন স্টুডেন্টকে বললেন যে, 'এই শোন আমি বাথরুমে গেলাম, যদি কেউ বাথরুমে যেতে চায় তো তাকে বলবি যে ভেতরে লোক আছে

।' তো ছাত্ররা সম্মতি দিয়ে বলল যে ঠিক আছে আপনি যান স্যার। এমন সময় আমাদের স্কুলের এক ম্যাডামেরও বাথরুমে যাবার দরকার পড়ল

। তো সেই ম্যাডাম ঘোরাফেরা করা স্টুডেন্টদের বলল যে, এই ছেলেরা বাথরুমে কেউ আছে

? কি বলব ছেলেরা আমাদের অনেক সিনিয়র ছিল তাদের বুদ্ধিও ছিল তাদেরই মত

। তারা আর কি বলবে, তারা বলল যে, 'জ্বিনা ম্যাডাম কেউ নেই আপনি যান"। তারপরের ঘ্টনা তো ইতিহাস

। ম্যাডাম দরজাটা খুলে দেখলেন যে পাডা নীচু হয়ে কি যেন করছিলেন যখন তিনি ম্যাডামকে দেখলেন তখন হেঃ হেঃ করে একটা হাসি দিয়ে দুহাত দিয়ে সামনের অংশ ঢেকে ফেললেন

। ম্যাডাম তৎক্ষনাত দরজা ধ্রাম করে লাগিয়ে দিলেন এবং তারপর ঘোরাফেরা করা ছাত্রদের খুজতে লাগলেন

। কিন্ত তখন তিনি তাদের কোথায় পাবেন তারা তো তখন দেশছাড়া হয়ে গেছে

। (চলবে)
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই মে, ২০১১ সকাল ১০:০৭