তখন আমরা মাত্র ক্লাস নাইনে উঠেছি। নাইনে আমি আমার সাবজেক্ট নিলাম সায়েন্স। সেই সায়েন্সে আমার যে সাবজেক্টগুলো ছিল তা হল ফিজিক্স, কেমিস্ট্রি, বায়োলজি ও ইলেকট্রিক ম্যাথ। এই সব ক্লাস করতে গিয়ে আমি অনেক মজার অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হয়েছিলাম

। তবে এখানে আমি শুধুমাত্র কেমিস্ট্রি ও বায়োলজি সাবজেক্ট্ সম্পর্কে বলতে পারব কারন ফিজিক্স এবং ইলেকট্রিক ম্যাথ সাবজেক্ট ছিল খুবই নিরস(তবু্ও আমি এসএসসিতে ইলেকট্রিকম্যাথ সাবজেক্টে ৯৮ পেয়েছিলাম জেনারেল ম্যাথে ৯২) তারপরও সেগুলোতেও কিছু রসালো অভিজ্ঞতা আমার আছে

। আমাদের কেমিস্ট্রি ক্লাস নিতেন যিনি উনারও কিন্ত একটা ছদ্মনাম ছিল

। সেই নামে আমাদের স্কুলের পত্রিকাতে একটা কবিতাও বেডিয়েছিল। উনি সব সময় সোডিয়াম না বলে বলতেন ছোডিয়াম, ছিলভার এই রকম

। তো আমরা সবাই ক্লাস করা বাদ দিয়ে শুধু তার এই ধরনের শব্দগুলো নিয়েই ঠাট্টা তামাশা করতে করতেই আমরা বেশ কেমিস্ট্রির উপর অভিজ্ঞ হয়ে উঠলাম

। উনি প্রায়ই একটি কথা বলতেন 'যদি তোমরা ঠিক ভাবে পড়াশোনা না কর তাহলে ঝড়ে পড়ে মড়ে যাবে

।' তো আমরা বলতাম স্যার বলেন কি, আমরা ঝড়ে পড়ে মড়ে যাব

। তো এই স্যারের এক অদ্ভুত রকমের কাজ ছিল সেটা অবশ্য আমার এক বন্ধুর কাছ থেকে শোনা। তখন এসসি পরীক্ষার পূর্বে স্কুলে আমাদের কোচিং করানো হচ্ছে। কোচিং ক্লাসে পরীক্ষার সময় স্যার আমাদের এক বন্ধুর লোহার স্কেল নিয়ে ষবাইকে ভয় দেখালেন যে কোন দেখাদেখি নয় দেখাদেখি করলে স্কেল দিয়ে তিনি খুব মারবেন

। তো এতে সবাই কোন নড়াচড়া না করে পরীক্ষা দিতে লাগল

। তো তবলা মানে আমাদের স্যার তখন এদিকে সেদিকে তাকিয়ে তারপর আস্তে করে স্কেলটি দিয়ে তার পিঠ চুলকাতে লাগলেন

। অনেকক্ষন যাবৎ তিনি এই কাজ করে এক রকম পৈশাচিক আনন্দ পেলেন

। পুরো ব্যাপারটি কিন্ত আমার সেই বন্ধু লক্ষ করেছে কিন্ত কিছু বলেনি

। তারপর পরীক্ষা শেষ হলে তিনি স্কেলটি রেথে সবার সব থাতা নিয়ে বের হয়ে গেলেন

। আমার বন্ধুটিও একটি কাগজ দিয়ে স্কেলটি ধরে তার বাসায় নিয়ে গেল

। তারপর সে তার বাসায় স্কেলটি গরম পানির পাত্রে ফেলে দিল

। একঘন্টা কি আরও বেশী সময় তা ফোটার পর সে তার স্কেলটি নিয়ে ছাদে ফেলে আসল। এরপর দীর্ঘ সময় রোদে শুকানোর পর তা আবার সে ব্যবহার করতে শুরু করে দিল

। (চলবে)
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে এপ্রিল, ২০১১ সকাল ৮:২৫