পাড়া-পড়শী অনেকের বাড়িতেই মেয়ে-জামাই বেড়াতে এসেছে দেখে, আবুলের স্ত্রী একদিন আবুলকে বলল- তুমি কি গা! জামাই আনার নাম পর্যন্ত কর না। দু’বছর হয়ে গেল, একবারটি জামাইকে আনলে না?
স্ত্রীর কথা শুনে আবুল বলল- জামাই আনা কি চাট্টিখানি কথা! কত খরচ বলতো?
আবুলের কথা শুনে তার স্ত্রী বলল- তুমি দেখছি হাড় কেপ্পন হয়ে গেলে গো। রাজবাড়ি থেকে এত টাকা-পয়সা আনছ- সে টাকা-পয়সায় ছাতা পড়ে গেল। আমি ক...োন কথা শুনতে চাইনে- আজকালের মধ্যে জামাই না আনলে আমি বাপের বাড়ি চলে যাব।
আবুল ভাবল, এবার আর জামাই না এনে উপায় নেই, তাই সে বিকেল বেলায় জামাই নিয়ে ফিরল।
জামাই আসবার পরও প্রায় একমাস হ’তে চলল, জামাই শ্বশুরবাড়ি ছেড়ে নড়তে-চায় না। বসে বসে এমন চর্ব্য-চূষ্য-লেহ্য-পেয় পাবে কোথায়?
জামাই শাশুড়ীকে বলল- মা, এখানে এসে আমার শরীরটা বেশ ভাল হয়েছে, ভাবছি আরও কিছুদিন থাকব।
জামাইয়ের কথা শুনে শাশুড়ী বলল- তা তোমার যতদিন ইচ্ছা থাক না। তোমার শ্বশুর তো এখন দু’হাতে টাকা আনছে। যতদিন ইচ্ছে থাক।
শাশুড়ী ও জামাইয়ের কথোপকথন শুনে গোপাল মনে মনে প্রমাদ গুনল। না, আর নয়। যেভাবেই হোক, বুদ্ধি করে জামাই বাবাজীকে তাড়াতে হবে, নইলে যে জমানো টাকা ভাঙতে হবে। জামাই পোষা না হাতী পোষা!
মনে মনে ফন্দি এঁটে সে জামাইকে বলল- বাবাজী, এ পাড়ায় ভীষণ ছিঁচকে চোরের উৎপাত। এই যে দেখছ লেবুগাছটা, এতে হাজার হাজার লেবু এলেও- আমি সময়মত দেখতে পাই না, বেচলেও বেশ পয়সা হ’তো। তুমি বাপু একটু লেবু গাছটার দিকে নজর রেখো। সব সময় নজর রাখতে হবে না, বিশেষ করে সন্ধ্যের পরে একটু নজর রেখো। বাতি নিভিয়ে দু’চারদিন গাছের দিকে নজর রাখলে নিশ্চয় চোর ধরতে পারবে।
শ্বশুরের কথা শুনে জামাই বলল- আপনি কিছু ভাববেন না, চোর আমি ধরবই।
সেদিন সন্ধ্যেবেলা আবুল রাজবাড়ি থেকে ফিরে বাড়ির ভেতর গিয়ে বলল- ওগো, পেটটা ভাল নেই। কি রকম ভুটভুট করছে। গাছ থেকে দুটো লেবু এনে একটু লেবুর সরবৎ করে দাও তো।
ঘরে আর অন্য কোন বাতি না থাকায় আবুলের স্ত্রী অন্ধকারেই লেবু আনতে গেল। জামাই চোর ধরার অপেক্ষায় আগে থেকেই ওৎ পেতে বসেছিল। চোর ভেবে শাশুড়ীকে জাপটে ধরল।
চীৎকার চেঁচামেচি শুনে আবুল সঙ্গে সঙ্গে বাতি নিয়ে ছুটে গেল। তখনও জামাই শাশুড়িকে জড়িয়ে ধরে আছে।
আবুল তাই দেখে বলল- তাই তো বলি, শাশুড়ীর এত জামাই আনার ধূম কেন?
আবুলের স্ত্রী ভীষণ লজ্জা পেয়ে রান্নাঘরে চলে গেল, জামাইও ভীষণ লজ্জা পেয়ে রাতের অন্ধকারে শ্বশুরবাড়ি ত্যাগ করল। আবুল মনের সুখে বারান্দায় বসে তামাক টানতে লাগল.....
ঠিক এভাবেই.......
-নাস্তিকতার কুলুপ এটে শাহবাগকে ভিন্ন পথে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে..
-সাধারন মানুষের আন্দোলনকে বস্তাপচা লীগের তকমা লাগানো হচ্ছে....
-জামাই তাড়ানোর নাম করে হরতালের সিরিজ-জলসার আয়োজন করা হচ্ছে....
-লেবু আনার নাম করে পিচ্চি ছেলেদের ব্রেইন ওয়াশ করে ধর্মের নামে লেবু আনানো হচ্ছে....
-আমার দেশ, নয়াদিগন্তকে পাঠানো হচ্ছে শাশুড়িকে ধরার জন্য......
আর আমরা, চুশীল সমাজ....বইসা বইসা আঙ্গুল চুষতেছি। কেউ কেউ আবার আস্তিকতার সার্টিফিকেটও দিচ্ছি।
ভাই থামেন.....অনেক প্রলাপ বকছেন....এবার দয়া কইরা পাকিস্তানে ফিরে যান।