দুনিয়ার সব কিছুতেই তো অতিরিক্ত আবেগ গ্রস্থ হয়ে চোদ হয়ে যান। এইবারও তার ব্যতিক্রম কিছুই হবে না আশা করা যায়। ত্রুটি যুক্ত নির্মানের কারনে বহুতল বিল্ডিং ভেঙ্গে শতোর্ধ মানুষ মারা গেছে এবং হাজারও মানুষ আহত হয়েছে। ব্যাপারটা শুধুমাত্র মর্মান্তিকই না এইটা একটা দুসপ্নের চেয়েও লোমহর্ষক। ত্যানা না প্যাচায়া আসল কথায় আসি। অনেকেই ডান বাম না বুঝে ফেস...বুকে ব্লাসফেমি শুরু করে দিছে অলরেডি। তারা লাশের বিভত্স ছবির নিচে বেশ আবেগ ঘন বক্তব্য দিয়ে বেশ একটা পাবলিক অ্যাটেনশন ও বাহবা নেয়ারও পায়তারা শুরু করে দিয়েছেন। ঘটনা আরো রোমাঞ্চকর যখন দেখলাম দু'একজন আবার আন্তর্জাতিক পোশাক ক্রেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে নানা স্লোগান দিয়ে বক্তব্য ও ছবি দিচ্ছেন ফেসবুকে।
এইবার আসেন আপনারা কয়েকটা প্রশ্নের উত্তর দেন ....
১। ভুল নকশা বা অননুমোদিত দালান করার পারমিশন কারা দেয় ?
২। পারমিশন না পেলে কিভাবে দালান খাড়া হয় ?
৩। দালান খাড়া হলেও কেনো কর্তিপক্ষের চোখে সেটা পড়ে না ?
৪। কর্তিপক্ষের চোখে পড়লেও কর্তিপক্ষ কেন সেটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয় না?
৫। এই ঢাকার ৭৫% দালান ত্রুটিপূর্ণ নকশা ও নির্মান সামগ্রী দিয়ে তৈরী? তোমরা কারা কারা তা জেনেও ঘরের বাইরে রাস্তায় ঘুমাও ?
৬। এ শহরে তো এর আগেও নানা ধরনের দালান ধ্বসে গেছে, সেই ঘটনা গুলির পরিসমাপ্তি এবং তা থেকে প্রশাসন কি ব্যবস্থা নিয়েছিল?
যে কাজ গুলি আপাত করণীয়:
১। মাথা ঠান্ডা রাখা। এরে ওরে দোষ না দিয়ে এসব ক্রিমিনালদের আইনের আওতায় নিয়ে আসুন। প্রধান ৩ টি ক্রিমিনাল এখানে। বিল্ডিং মালিক ও বিল্ডিং নির্মান প্রকৌশলী ও সকারের নির্দিষ্ট দপ্তর যারা এই দালান এর অনুমোদন ও তদারকির সাথে যুক্ত ছিল।
২। জরুরি সেবা/পরিসেবা চালু রাখা
৩। আন্তর্জাতিক মিডিয়াতে যাতে কোনো ভাবেই আমাদের গার্মেন্টস শিল্পের সম্পর্কে কোনো ভুল তথ্য না দেয়া হয়। এ রকম কিছু পেলেও যে যার স্থান থেকে প্রতিবাদ করুন
৪। সরকার কে বাধ্য করুন সর্বোচ্চ সহযোগিতার জন্য
৫। রাজনীতিবিদ রা যাতে এই ইসু নিয়ে কোনো সুযোগ নেয়ার পায়তারা না করে সে ব্যাপারে সজাগ থাকুন
৬। ক্ষতিগ্রস্থ পরবার গুলির পাশে দাঁড়ান
৭। বিপর্যয় পরবর্তিতে কিভাবে এই "জাতীয়" সমস্যাটিকে সারাজীবনের জন্য সমাধান করা যায় তাই নিয়ে সমাজের সর্বস্তর থেকে সরকারের মুখোমুখি দাঁড়ান। দাবি আদায়ে হাত মুষ্ঠি বদ্ধ রাখুন
একটা কথা মনে রাখবেন আপনার আবালচোদা ইমোশন কনো কাজেই আসবে না আমাদের দীর্ঘমেয়াদী পুটকি মারা খাওয়া রাস্তা বানানো ছাড়া। ২০০ লাশের শোক সামলানো যাবে কিন্তু ৩০ লক্ষ পরিবারের না খেয়ে থাকার শোক সামলানো যাবে না। এরা রাস্তায় নামবে আর তোমার চামড়া কেটে খাবে। ফেসবুকে বালছাল পিক শেয়ার না দিয়ে সোজা সরকারের দিকে আঙ্গুল তুলে দাও। আমরা না হয় জানলাম গার্মেন্টস মালিকেরা খারাপ। এই খারাপ লোক গুলা বাংলাদেশ কে বিশ্বের ১ নাম্বার পোশাক রপ্তানি কারকে পরিনত করছে। তো দেখি এইবার তোমরা কতটা ভালো। আরো মনে রাখো আমরা একদিন ফরেন L/C নেয়া বন্ধ করলে পরের দিন বাংলাদেশ ব্যাংক বিচি চুলকাবে।