somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

তাজউদ্দীন আহমেদ কেও বঙ্গবন্ধুর কাছে নিয়ে গেলেন

২৪ শে জুলাই, ২০১৩ ভোর ৪:১৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

তাজউদ্দীন আহমেদ কে বলা হয় বঙ্গবন্ধুর সবচেয়ে কাছের মানুষ, সবচেয়ে প্রিয় বন্ধু । তাজউদ্দীনের কাছে তাই । তাজউদ্দীনের চেয়ে মনে হয় বঙ্গবন্ধুকে আর কেও বেশি জানত না, এমনকি তার পরিবারের মানুষজনও । তাজউদ্দীনের কাছে বঙ্গবন্ধু ছিলেন বড় ভাই তার চেয়েও বেশি বন্ধু । হয়ত এ কারণেই তাজউদ্দীন সবসময় খেয়াল রাখতেন বঙ্গবন্ধুর যেন কোন সমস্যা না হয় ।

বঙ্গবন্ধুর একটা বড় সমস্যা ছিল । তিনি মানুষ কে বেশি বিশ্বাস করতেন । তাজউদ্দীন ঠিকই ধরতে পেরেছিলেন মানুষকে বিশ্বাস করাটাই বঙ্গবন্ধুর কাল হয়ে দাঁড়াবে আর তাই বঙ্গবন্ধুকে আগলে রাখার চেষ্টা করতেন তিনি । কিন্তু তিনিও হেরেছিলেন মীরজাফরদের কাছে । মীরজাফরদের অবিরাম চক্রান্তে বঙ্গবন্ধু তাজউদ্দীন কে ভুল বুঝেছিলেন । মনঃকষ্টে তাজউদ্দীন দূরে সরে যান বঙ্গবন্ধুর কাছ থেকে

না দূরে সরে গেলেও মন থেকে বঙ্গবন্ধুকে দূরে ঠেলে দিতে পারেননি তিনি । প্রতিনিয়ত ভাবতেন বঙ্গবন্ধুর কথা । তার সমস্যার কথা । বঙ্গবন্ধুর নেয়া সিদ্ধান্তকে পর্যালোচনা করতেন । কিন্তু ভুলগুলো শুধরে দেয়ার সুযোগ পেতেন না ।

তাজউদ্দীন আহমেদ কখনোই ভাবতেন না তিনি বুঙ্গবন্ধুর থেকে দূরে আসেন । তাজ কন্যা সিমিন হোসেন রিমির লেখা থেকে জেনেছিলাম বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর তাজউদ্দীন ঠিকমত ঘুমাতে পারতেন না । কাছের মানুষদের বার বার একটা কথাই বলতেন

"মুজিব ভাই আমাকে ডাকছেন,মুজিব ভাই আমাকে ডাকছেন, আমাকে ছাড়া উনি থাকতে পারবেন না"

স্রষ্টা হয়ত নিজেও চাননি দুই বন্ধু দূরে দূরে থাকুক । তাজউদ্দীন আহমেদ কেও বঙ্গবন্ধুর কাছে নিয়ে গেলেন ।

মুক্তিযুদ্ধের নয়টি মাস বাংলাদেশকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন । একটা শার্ট পরে ছুটে গেছেন মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে । নিজের কাপড় নিজেই ধুয়েছেন । নিজেই রান্না করেছেন । বিশ্বাসঘতকদের ষড়যন্ত্রে বাংলাদেশ তো ভূমিষ্ট হওয়ার আগেই মরতে বসেছিল । তাজউদ্দীন শক্ত হাতে সেসব ষড়যন্ত্র দমন করেছেন । বাংলাদেশের জয় নিশ্চিত হওয়ার পর বঙ্গবন্ধু ফিরে এলে বঙ্গবন্ধুর কাছেই আবার দ্বায়িত্ব ছেড়ে দেন

বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছেন, তাজউদ্দীন বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন কে নিজ হাতে সত্যি করেছেন । অথচ এই মানুষটি কে যথাযথ মূল্য দেয়নি আমাদের তথাকথিত সরকারগুলো ।

মানুষ ভুল করে কিন্তু ইতিহাস কখনো ভুল করে না । ইতিহাস মানুষ কে প্রাপ্য সম্মান দিতে ভুল করে না । আমরা তাজউদ্দীন কে ভুলে গেলেও ইতিহাস ঠিকই মনে রাখবে তাকে

আজ এই মানুষটার জন্মদিন । যার জন্ম না হলে হয়ত এত তাড়াতাড়ি আমরা বাংলাদেশ পেতাম না ।

কপিড ফ্রম- মেঘ রৌদ্দুর

০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

স্মৃতিপুড়া ঘরে

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৩০



বাড়ির সামনে লম্বা বাঁধ
তবু চোখের কান্না থামেনি
বালিশ ভেজা নীরব রাত;
ওরা বুঝতেই পারেনি-
মা গো তোমার কথা, মনে পরেছে
এই কাঠফাটা বৈশাখে।

দাবদাহে পুড়ে যাচ্ছে
মা গো এই সময়ের ঘরে
তালপাতার পাখাটাও আজ ভিন্নসুর
খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

গরমান্ত দুপুরের আলাপ

লিখেছেন কালো যাদুকর, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৫৯




মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগে কেন আসি? সোজা উত্তর- আড্ডা দেয়ার জন্য। এই যে ২০/২৫ জন ব্লগারদের নাম দেখা যাচ্ছে, অথচ একজন আরেক জনের সাথে সরাসরি কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজীব নূর কোথায়?

লিখেছেন অধীতি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:২৪

আমি ব্লগে আসার পর প্রথম যাদের মন্তব্য পাই এবং যাদেরকে ব্লগে নিয়মিত দেখি তাদের মধ্যে রাজীব নূর অন্যতম। ব্যস্ততার মধ্যে ব্লগে কম আসা হয় তাই খোঁজ-খবর জানিনা। হঠাৎ দু'একদিন ধরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৬



©কাজী ফাতেমা ছবি

মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।

হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।

ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×