ধর্ম। যার অন্য নাম হলো বিশ্বাস বা ইংরেজিতে FAITH.
এই বিশ্বাসকে পুঁজি করে সৃষ্টির শুরু থেকে গণ্ডোগোল বেঁধেই আছে। একজনের মতবাদ অন্যজনের পছন্দ নয়। যেহেতু পৃথিবীর আলো-বাতাস-জমিন-পানি সবই আমরা শেয়ার করে বসবাস করছি, সেহেতু একজনের বিশ্বাসের ওপর আরেকজনের বিশ্বাসের আধিপত্য বিস্তার করাটা যেন অত্যন্ত জরুরি হয়ে পড়ে।
"অফেন্সিভ হতে না পারলে যে নিজের বিশ্বাসকে রক্ষা করা যাবে না! সুতরাং বেঁচে থাকতে চাইলে অন্যের বিশ্বাস ভেঙ্গে দাও!"
সেই "প্রয়োজনীয়তা" থেকেই মানবসভ্যতা (নাকি অসভ্যতা?) মানুষ যতটা না নিজের বিশ্বাসকে টিকিয়ে রাখার জন্য কষ্ট করেছে, তার থেকে কয়েকগুণ বেশি কষ্ট করেছে অন্যের বিশ্বাসকে আঘাত করার জন্য।
প্রতিটি বিশ্বাসের উৎপত্তি হয়েছে অনেক অনেক প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে। বিশ্বাসের মধ্যেও নানাসময় প্রাধান্য পেয়েছে অবিশ্বাসের। কারণ আর কিছুই নয়, ঐ যে বললাম, অন্যের বিশ্বাসকে আঘাত করাটাকেই মানুষ ধরে নিয়েছে স্বাভাবিকতা।
এই বিশ্বাসের উপর ভিত্তি করেই যুগে যুগে তৈরি হয়েছে সামাজিকতা। অনেক সমাজবিদই হয়তো সামাজিকীকরণের আগডুম বাগডুম বোঝাতে আসবেন। ভাই থামেন! তর্ক-বিতর্ক করলেই আপনার বিশ্বাস আমার বিশ্বাসের গোড়ায় আঘাত করতে পারবে না! আপনি বললেই আজকে আমি "গণ্ডমূর্খ" হয়ে যাবো না।
আমি ভায়োলেন্সে বিশ্বাস করি না। আমার যা বিশ্বাস তা আমার কাছেই থাক। আমার ধর্ম-কর্ম আমার কাছেই থাক না! আপনি আপনারটা আপনার পকেটে নিয়ে আপন মনে চলাফিরা করেন। প্লিজ!
বিশ্বাসী যদি হয়েই থাকেন, সেটা যে ধর্মেরই হোক, নিশ্চয়ই জানেন, ভাল-মন্দের হিসাব করার জন্য আপনার সৃষ্টিকর্তা আছেন। তার দায়-দায়িত্ব আপনাকে নিজ কাঁধে নেবার প্রয়োজন নাই। আর অবিশ্বাসী যারা আছেন, ভাই! আপনাদের তো ধর্ম নিয়ে চিন্তা করার দরকার নাই। সমাজের কথা চিন্তা করে হলেও পাশ কাটিয়ে চলে যান না!
জন লেননের ইমাজিন গানটা বড্ড সময়োচিত লাগে আজকাল!
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৫ সকাল ১০:১২