সাগর-
তুমি ঢেউয়ের মতই একটু একটু করে
ভাটা বইয়ে আনলে আপন যৌবনে,
তার প্রকম্পিত আর মন্থর গতিধারা
মোর নবচেতনায় বয়ে এনেছে, জোয়ারের নবআগমন।
তুমি হারালে শশীর কিরণ,
হারালে ঊষার দীপ্তময় নবজাগরণ ;
যার সান্নিধ্যে খুঁজে পেতে-
'এনড্রিয়া ডেল সারটোর' স্বর্গীয় অয়ন।
হঠা্ৎ বিজলীর ঝলকে অস্থির মন তোমার
মিথ্যে অহংকারের অট্রালিকায় পদার্পন,
সে ভুল সুধরাতে যদি হয় নদীর আগমন
বারে বারে দ্বারপ্রান্তে ;
তাকে দুর্বল ভেবে দিয়েছ হীনমণ্যতার পরিচয়।
মনে পড়ে সেই চৈত্রের তীব্র খরায়
পিপাসু হৃদয় আর অনুরোধের ব্যকুল কন্ঠে
বারে বারে বলতে-
"লাঞ্চের টেবিলে একা বসে খেতে অসহায় মনে হয়
অলস দুপুরের ক্লান্তিময় দেহ,
ঘুম ঘুম চোখে তন্দ্রাচছন্ন মায়া
স্পর্শ বুলিয়ে যায়।
বিকেলের কফি হাউজে বন্ধুদের আড্ডায়,
এতো আনন্দ উল্লাসের মাঝেও-
হৃদয় অপূ্র্ণ থেকে যায়,
কি এক মৌন নিঃসঙ্গতায়।
কত রাত নিঃঘুমে কেটে যায়
হৃদয়ের নাবলা কথাগুলো যখন খুঁড়ে খুঁড়ে খায়,
ঠিক তখনই মোবাইলে ডাকি তোমায়-
তুমি কি যাবে বন্ধু মোর সাথে ?
থাকলে না হয় কিছু সময়! "
সেই দৃষ্টির গভীরতায় আমি সরলতা দেখেছি,
দেখেছি ভালোবাসার ব্যাকুলতা,
সুন্দর সেই মুহূর্ত পূর্ণ প্রকৃতির নিস্তব্ধতা ;
গতিশীল এই পৃথিবীর কিছু পরিবর্তন যদি
দান করে তোমা্য চিরন্তন প্রকৃতি,
দোষ-ই বা তাতে কি!
যতটুকু পেয়েছি স্বীকৃতি তাতেই করেছ ঋণী,
ভার তার লাঘবে আজকের এই লিখনী
তোমাকে দেওয়া এ মোর শেষ চিঠি।
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে নভেম্বর, ২০০৯ দুপুর ২:১০