আমি জেগে জেগেই স্বপ্ন দেখছিলাম
অথচ আজ তোমাকে লেখার কথা :
তাইতো ক্লান্ত-শ্রান্ত, এলোমেলো মনটি
বিছানায় ছটফট করেও ঘুমাতে পারেনি।
তোমার ছবিটির দিকে তাকিয়ে-
যে কথাগুলো লিখতে চাই,
ভয়ে বাধাঁর দ্বিধায় বারে বারে পিছিয়ে যায় ;
তবু ছুতে ইচ্ছে হয় স্বীকৃতির দ্বার উন্মোচন করে
ব্যকুল চোখের গভীরতায়,
সুদূর হতে যে কথার ঝর্ণা ব্যহত হৃদয়ে
বইয়ে দিল যে মেঘনার ঢল
বিলম্বিত বসন্তের আগমন যেমন
কোকিলার কন্ঠ করে শান্ত-মন্থর ;
তেমনি মোর আকুতি নিবিড় চিত্তে তোমার,
অতিশয় আনন্দের তীব্র স্বাদটুকুর নিস্তব্ধতা
আমি বুঝতে পেরেছি,
সেতারের সূক্ষ্ম্ম কম্পনের মত নিঃশব্দ অভিযোগ
বইয়ে এনেছে এ ফোনের তার।
নতুন করে মোর দায়ভার উপস্থাপন করার
কি প্রয়োজন বল !
জীবনের প্রতিটি বাঁকই নতুনত্বের মিশ্রপ্রকাশ,
যেথায় প্রতিনিয়ত চলছে ভাঙ্গা-গড়ার খেলা
আর একটি স্বপ্নকে রেখেছ গভীর অন্তরালে
জানতে পারিনি আমি।
জানার সব দ্বার যখন উন্মুক্ত
বাধাঁ অতিক্রম করে আসতে পারেনি সে আমাতে।
নিস্তব্ধ গোধূলীর ক্ষীণ আলো আর নিঃসঙ্গ হৃদয়খানি
এ হৃদয়ে যে দাগ কেটেছে,
অশ্রুর ভারে যে আত্মপ্রকাশ ;
সেতো নয় করুনা নয় হৃদয়ের হতাহত কান্না
এ জীবনে নতুন ঝড়ের মাত্র পূর্বাভাস।
এর সতর্কীকরণ বিজ্ঞপ্তি জানতে চাওয়াটাই
মোর ভুলের কারন হবে হয়ত,
বলেছিলে তুমি ভালবাসা কোন নিয়ম মানে না
কোন সময় বোঝে না-
সময়ের কাছে আমি আবদ্ধ নই
তবে নিয়মের বাইরে যেতে পারিনা,
এ মোর অক্ষমতা এ মোর দুর্বলতা।
তোমার ছবিটির পেছনে সন্ধ্যা
আর সম্মুখে বরফের শুভ্রতার আভাসে
ভাবনাগুলো স্পষ্ট হয়ে ধরা দেয়,
সকালের সতেজতা আর নতুনত্বের আবির্ভাব
তারে ছুঁয়ে যাবে না।
মোর জীবনের ছয়টি ঋতু যেন ছয়টি বহমান ধারা,
ভোরের আবেশ ভরা লগ্নে -
কেন রাতের হাতছানি ভরে রয় ?
কেন তোমার মত করে ভালোবাসতে পারিনা !