আমার এ কবিতার -
যতটুকু অধিকারের দাবিদার
সবই দিয়ে দিলাম তোমায়,
তুমি শূন্য হাতে ফিরিয়ে দিওনা আমায়।
আমার চিন্তাযুক্ত দূরদৃষ্টি যখন
তোমার দুয়ারে আঘাত হানে,
তুমি তখনও ঘুমের নেশায়
দেহটি এলিয়ে দিয়েছ নিশ্চিন্তে।
তোমার পৃথিবীটা এমন কেন-
নিঃশব্দ নিশাচর "অপু"!
আমার ক্ষিপ্র কলমের অশান্ত বাক্যন্ত্রে
যতবারই আঘাত হেনেছে,
ততবার চিৎকার করে কেঁদেছি,
বুক ফুপড়ে ফুপড়ে-কত রজনী কাটিয়েছি'
তবু চোখের পাতা এক হয়নি;
ওপার থেকে কোন সাড়া আসেনি-
কোন প্রতিচ্ছবি আসেনি।
আমি তো চেয়েছিলাম তোমায় মাধ্যম বানাতে,
জীবনের স্বচ্ছ মাধ্যম;
পেয়েছি তোমায়-
তবে যেভাবে চেয়েছি, সেভাবে নয়।
কবিতার উপাদান সংগ্রহে
তুমি অভাবনীয়, শিল্পীর মনন সাধনা-
হেয়ালীর ছলে সাধতে গিয়ে
কখন যে হৃদয়ে সেধেছি, এতো মিথ্যে নয়।
আমার জীবনই আজ একটি অনবদ্য কবিতা,
তুমি তার একমাত্র উপমা তার প্রতিটি ভাষা।
আমি চাইনি জীবনের শূন্য স্বাদ
নিশ্চিত অপূর্ন আকাক্ষা,
বার বার জেগে উঠুক কবিতায়।
পুরানো পথের ধূলিমাখা-
দুব্বা ঘাসের খুব চেনা গন্ধে ;
ছুটতে গিয়ে যদি পথ বেঁকে যায়
নতুন পথের নতুন যাত্রায়,
তুমি কি ডেকে নেবে না আমায় ?
নতুন ঘরের সিংহদ্বার খুলে
নিরালায় বাতায়নে এ কবিতা পড়ব যখন-
তখন তুমি অনেক দুরে;
আজ যা সত্য কাল তা মিথ্যে হয়ে যাবে।
আমার এ আবেগ, অস্তিত্ব, গভীর অনুভূতি
সব মিথ্যে, সবই ছিল ভূলের পশরা
একটি মিথ্যে স্বপ্নের কাল্পনিক ইশারা,
সেই স্বপ্নকে জীবনে জড়িয়ে
আমি নিঃস্ব হয়ে গেছি;
ভূলের এ অপূর্নতাকে আর সুধরাতে বোলনা,
আমা্য় ফিরে আসতে বলোনা।
আমি যে বড় একা
জীবনের দায়ভার লাঘব করার মত
নেই অবলম্বন, নেই কোন লিখিত খড়সা।
বিফলে যে স্বপ্ন হারায়
তাকে ফিরে পেতে চাওয়া শুধুই নিরাশা,
শুধুই যন্ত্রনা বাড়ায়।
ভাগ্যের নির্মম লিখন বল, কে করিবে লঙ্ঘন!
এরই শিকার হয়ে বিতৃষ্ঞার অবলীলায়
পৌঁছায় যে জন, আমি সেই জন।