বর্তমানে বাংলাদেশের য়ে কয়জন মন্ত্রী সবচেয়ে আলোচিত সমালোচিত তার মধ্যে সৈয়দ আবুল হোসেন অন্যতম। যাকে সবাই আবুল নামেই চিনে। ১৯৭৪ সালে একজন দ্বিতীয় শ্রেনীর কর্মকর্তা হিসেবে পেশা জীবন শুরু করেন। শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে অল্প কিছুদিনের মধ্যেই তার চাকরি চলে যায়। পরবর্তীতে ১৯৭৫ সালে তিনি গড়ে তুলেন তার পারিবারিক ব্যবসা সৈয়দ আবুল হোসেন কোম্পানী (SAHCO)। অবশ্য তার সাকোর উত্থান শুরু হয় এরশাদের আমলে। তখন তার এই ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ছিল বাংলাদেশের প্রভাবশালী প্রতিষ্ঠানের মধ্যে অন্যতম। কিন্তু স্বৈরাচারী এরশাদের পতনের পর গিরগিটির মতো রং পাল্টিয়ে আবুল যোগ দেন আওয়ামী লীগে। ১৯৯৬ সালে আওয়া লীগ সরকার গঠন করলে তিনি সরকারের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পান। কিন্তু পাসপোর্ট কেলেংকারীতে অল্প কিছুদিনের মধ্যে তিনি পদত্যাগ করতে বাধ্য হন। ৯/১১ এর সময় তিনি আওয়ামী লীগ থেকে পদত্যাগ করেন এবং পদত্যাগ পত্রে তিনি আওয়ামী লীগের সভানেত্রীকে নানা ভাবে দোষারোপ করেন। যদি ও পরবর্তীতে হাওয়া বুঝে আওয়ামী লীগে আবারও যোগ দান করে এম পি এবং পরবর্তীতে যোগাযোগ মন্ত্রনালয়ের দায়িত্ব গ্রহন করেন। এই মন্ত্রনালয়ের দায়িত্ব গ্রহন করার সময় তাকে পদ্মা সেতুর কাজ যেন দ্রুত সম্পন্ন করা হয়, সেই নির্দেশ দেন প্রধান মন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রীর এই নির্দেশ পালনে তিনি এতটাই বিভূর ছিলেন য়ে বাংলাদেশের সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা যে প্রায় সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছে এই দিকে তার কোন নজর ছিল না। এমনকি পরীক্ষা ছাড়া ২৪ হাজারের বেশী লাইন্সেস প্রদানের একটা ব্যবস্থা তখন তিনি করেন। কিন্তু প্রভাবশালী একটি দৈনিকে এই নিয়ে খবর প্রকাশ হলে প্রচন্ড সমালোচনার মুখে তিনি এই পদক্ষেপ নেয়া থেকে বিরত থাকতে বাধ্য হন। এদিকে দেশের রাস্তার প্রয়োজনীয় সংস্কার না করার কারনে প্রায় রাস্তায় মৃত্যু কূপে পরিণত হয়। এ কারনে গত রমজানে ঢাকার সাথে দেশের প্রায় সব জেলার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। তাই বাধ্য হয়ে নাগরিক সমাজ ঈদের দিন শহীদ মিনারে মানব বন্ধন করে তার পদত্যাগ চান। যেই সেতুর চিন্তায় আবুল সাহেব অন্য সব গুরুত্বপূর্ন কাজ করার সময় পান নি, সেই পদ্মা সেতুর প্রধান ঋণদাতা বিশ্ব ব্যাংক তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কাজ পাইয়ে দেয়ার জন্য ঘুষ চাওয়ার অভিয়োগ আনে এবং তার কারনেই পরবর্তীতে বিশ্বব্যাংক ঋণ সহায়তা প্রত্যাহার করে নেয়।
বড়ই আচানক, এই উদ্ভট চরিত্রের অধিকারী ব্যক্তিকে অবশ্য আমাদের প্রধানমন্ত্রী একজন প্রকৃত দেশ প্রেমিক হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। এই আবুল যদি দেশ প্রেমিক হয় তাহলে আমি নিজে যে একটা গাব গাছ এ ব্যপারে কোন সন্দেহ নেই।