লবি শব্দটি বেশ আগেই তার 'চাটুবাজ' অর্থ হারিয়ে অন্য এক অর্থ নিয়েছে যা হচ্ছে শক্তসামর্থ হয়ে অবস্থান নেয়া। আমেরিকায় তাই ইহুদী লবি, ভারতে মাফিয়া লবি, পাকিস্তানে তালেবান লবির মতো বাংলাদেশে বহুদিন ধরে আসন জাকিয়ে বসেছে বামপন্থিদের লবি।
বামদের মুখে সর্বহারার স্লোগান, বিপ্লবের বুলি, নিপীড়িতের অধিকার আদায়ের প্রতিজ্ঞা। কিন্তু বর্তমানে বামপন্থিরাই বাংলাদেশে সাম্রাজ্যবাদের সবচেয়ে বড় চেলা এবং পূজিবাদের অংশীদার।
প্রথম আলো ও ডেইলী ষ্টার কাদের আস্খা ও বিশ্বাসের প্রতীক? মেনন, রব, খান, সেলিমদের দেখা যায় বিদেশী উপরওয়ালাদের সাথে হোটেলের চকচকে রুমে বসে ঝকঝকে ফোরে আয়েশী ভঙ্গীতে বসে আড্ডা দিতে। কোথায় ভাসানীর গ্রামমুখী রাজনীতি আর সিরাজ শিকদারের শ্লোগান-- 'আর কয়েকটা শ্রেনীশত্রু খতম হলেই গ্রামগুলো আমাদের' ?
বামপন্থীদের ব্যবসা আজকে কোটি টাকার। 'নিত্য উপহারের' ফতুয়া, লালনের গানের সিডি, বিকল্প ধারার চলচিত্র, শাহবাগে বইয়ের বিপণী, চারূকলায় উদ্ভট আঁিকবুকি আর অনেকদিনের দ, অভিজ্ঞ ও প্রতিষ্ঠিত---সাংবদিকতা। প্রথম আলোতে, যায়যায়দিনে, ভোরের কাগজে, নিউ এইজে নির্ভাবনায় আপনার চাকরি হয়ে যাবে যদি আপনি ছাত্র ইউনিয়ন সভাপতি সামসুল আলম সজ্জনের রেফারেন্স চিঠি নিয়ে যান।
ডোনারদের অর্থে চালিত প্রতিদিন পল্টনে দশজন লোকের বিশাল মিছিল আর সম্পুরক হিসেবে পরদিন পত্রিকায় তার চতুর কভারেজ তো আছেই।
দেশে বামপন্থীরা আজ টিভিতে, অ্যাডভারটাইজিংএ, নিউজে, ফ্যাশনে, ময়দানে আবার চকচকে সরাইখানায়ও। বহুদিনের এই বামপন্থী লবি। একসময় তারা ছিল অগ্রসরমান একটি রাজনৈতিক শক্তি। এখন একটি কূটকৌশলকারী, স্বার্থান্বেষী, ভন্ড অপশক্তি।
আওয়ামী লীগ, বিএনপির শয়তানী সবাই দেখে, বামদেরটার তালাশও পাওয়া যায়না। দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অধিকাংশ েেত্র সহিংসতা, বন্ধের পেছনে সর্বদাই তাদের অবদান থাকে। রাজনীতিতে হেরে গিয়ে তারা আজ হয়ে গেছে প্রতিহিংসাপরায়ন।
সাবধান হন দেশবাসী। রূখে দাড়ান।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


