কথা দিয়ে কাজ নাকি কাজ দিয়ে কথা? একজন ব্লগারের মন্তব্য : 'আমাদের ইসলামের প্রচারের চেয়ে অণুসরনের বেশী প্রয়োজন' এর পরে আমার কিছু কথা বলার আছে।
পৃথিবীতে আমরা রঙ্গ দেখতে বা রঙ ছিটাতে আসিনি। চলতে থাকা বেগবান স্রোতে গা ভাসিয়ে দেয়া কোন বাহবা পাওয়ার কাজ নয়, তা একজন কাপুরুষও বোঝে। তাই পৃথিবীতে প্রায় 60 বছর আয়ু পাওয়ার বিনিময়ে আমাদের উচিত আল্লাহর প্রতি অন্তত কৃতজ্ঞতা প্রকাশের জন্য হলেও তার কথাগুলো মান্য করা, অর্থাৎ ইসলাম ধর্ম পালন করা।
এবারে মূল প্রসঙ্গ, ইসলামের দাওয়াত দেয়ার ব্যাপার। বিষয়টি সেনসিটিভ, কারন এর মধ্যে সামাজিক-রাজনৈতিক ব্যাপারও এসে যায়। প্রকৃতপ েইসলাম অনুসরনের মধ্যেই এর প্রচার তথা আন্দোলনের বিষয়টি চলে আসে।
এক টুকরা আগুন যেমন কিছুটা হলেও চারপাশ পোড়ায়, আলোকিত করে তোলে, তেমনি মু'মিন ব্যক্তির উপসথিতি পাচ-দশ জনকে আন্দোলিত করে।
একজন মু'মিন সচেতন ব্যক্তি হয়ে কি করে ইসলামি আন্দোলন থেকে নিস্ক্রিয় থাকতে পারে? তার চোখের সামনে যদি শয়তানি নেতৃত্বের আস্ফালন চলে, কুসংস্কৃতির উন্মাদনা প্রতিষ্ঠিত হয়, আর জালিমের অত্যাচার বহাল থাকে তবে সে নিশ্চয় সমাজ পরিবর্তনের আন্দোলনে যোগ দেবে।
আরেকটি বিষয় হচ্ছে, কুরআনে বলা আছে, 'সিবগাতাল্লাহা ওয়া মান আহ সানু মাল্লা সিবগাতা' অর্থাৎ 'আল্লাহর রঙে রঙ্গিন হও। আল্লাহর রঙের চেয়ে উত্তম আর কিছু আছে কি?' মু'মিনের কর্তব্য হচ্ছে এমনভাবে ইসলাম পালন করা যেন তা রঙের মতোই উজ্জলভাবে বোঝা যায়।
'ওয়ামান আহসানু কাওলাম্মিম্মান দা'আ ইলাল্লাহি......' তার চেয়ে আর কে উত্তম হতে পারে যে মানুষকে আল্লাহর দিকে ডাকে। ইসলামের দাওয়াত দেয়া তাই মু'মিনের কর্তব্য যা সামগ্রিক ইসলামি আন্দোলনের প্রাথমিক কর্তব্যও বটে।
ইসলামের অনুসরন ও দাওয়াত এ দুটোর মধ্যে তাই প্র্যাকটিকাল কোন পার্থক্য নেই।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



