somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বাংলাদেশ এখন এক নির্মম সত্যের মুখোমুখি।

১৪ ই নভেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:১১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বাংলাদেশ এখন এক নির্মম সত্যের মুখোমুখি।

একদিকে বৈধতাহীন, দিশেহারা একটি অন্তর্বর্তী সরকার নিজেরাই নিজেদের নাটক সাজাচ্ছে—
অন্যদিকে জনগণ নীরবে কিন্তু কঠিন ভাষায় জানিয়ে দিচ্ছে:
“তোমাদের খেলায় আমরা আর নেই।”

ইউনূসের গণভোট: অজ্ঞতা, অক্ষমতা ও রাজনৈতিক বিদ্রূপ
ড. মুহাম্মদ ইউনূস আজ দেখালেন—
রাজনীতিতে অজ্ঞতা কতটা বিপজ্জনক হতে পারে।

শেখ হাসিনার বিচার নিয়ে তার নীরবতা প্রমাণ করে—
তিনি নেতার ভূমিকায় নেই, তিনি দর্শক।
আর আজ যে গণভোটের নামে হাস্যকর ঘোষণা দিলেন,
তা দেখালো—ক্ষমতার স্বপ্ন দেখতে গিয়ে তিনি বাস্তবতা ভুলে গেছেন।

সংবিধান–সংস্কার–প্রশাসন—সবকিছু একসাথে গণভোটে ছুঁড়ে দেওয়া মানে
গণভোট নয়, রাজনৈতিক ভাঁওতাবাজি।
এটা জনগণকে বোকা ভাবার দুর্বল প্রচেষ্টা।

কিন্তু এই জনগণ আর নোবেল-মায়াজালে আটকে নেই।
তারা চোখে দেখা উন্নয়ন চেনে, মাঠে থাকা নেতৃত্ব চেনে।
ইউনূস সেই বাস্তবতা থেকে বহু দূরে—ভীষণ দূরে।

লকডাউন: নীরব কিন্তু শক্তিশালী জনঘোষণা
আজকের লকডাউনে বোমা ছিল না, আগুন ছিল না—
তবু শহর থেমে ছিল।
কারণ মানুষ নিজেরাই সিদ্ধান্ত নিয়েছে—
“এই সরকারের প্রতি আমাদের কোনো আস্থা নেই।”

এই নীরবতা ছিল আওয়ামলীগের প্রতি সমর্থনের কঠিন প্রমাণ।
ভুল হতে পারে, ক্লান্তি থাকতে পারে—
তবু স্থিতিশীলতা, উন্নয়ন, রাষ্ট্রের ধারাবাহিকতা বলতে
বাংলাদেশ আজও আওয়ামলীগকেই দেখে।

যারা দেশ পরিচালনা করতে পারে, সংকট সামলাতে পারে—
তাদের নাম আওয়ামলীগ।
অন্যরা শুধু শব্দের খেলা খেলে।

বৈধতা-বিহীন সরকারের প্রহসন
এই অন্তর্বর্তী সরকার বৈধতায় শূন্য,
জনসমর্থনে শূন্য,
বিশ্বাসযোগ্যতায় শূন্য।

তাদের প্রতিটি বিবৃতি আজ হাসির খোরাক।
গণভোটের ঘোষণা তাদের দুর্বলতা ও অযোগ্যতাকে
সবার সামনে নগ্ন করে দিয়েছে।

দেশবাসী এখন বুঝে গেছে—
এই সরকার সময় কিনছে, দেশ নয়।

যে কাঠামো নিজের অস্তিত্বই বৈধ করতে পারে না,
সে রাষ্ট্র চালাবে—এটা হাস্যকর।

আজ জনগণই প্রকৃত বিরোধী শক্তি।
আর সেই জনগণ স্পষ্ট বলেছে:
“এই প্রহসন বন্ধ করুন। নেতৃত্ব জনগণের কাছে ফিরিয়ে দিন।”

নীরব বিপ্লব শুরু হয়ে গেছে
আজকের লকডাউন কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি নয়—
এটা ছিল জনগণের silent rebellion।

তারা সংঘাতে যায়নি,
কারণ তারা ধ্বংস চায় না—
তারা চায় পরিবর্তন, চাই প্রমাণিত নেতৃত্ব।

তারা বলছে:
“এই সরকারের সময় শেষ—Enough is enough.”

বাংলাদেশের মানুষ এখন সেই নেতৃত্বকে ডাকছে,
যারা স্বাধীনতা দিয়েছে,
যারা উন্নয়ন দিয়েছে,
যারা বারবার এই দেশকে দাঁড় করিয়েছে।

উপসংহার: সত্য স্পষ্ট, পথ নির্দিষ্ট
ইউনূসের আজকের গণভোট ঘোষণার হাস্যকর নাটক
ইতিহাসে থাকবে রাজনৈতিক বিভ্রান্তির চরম উদাহরণ হিসেবে।

আর আজকের লকডাউন থাকবে
জনতার নীরব কিন্তু কঠিন প্রতিরোধের দিন হিসেবে।

জনগণ আজ স্পষ্ট ঘোষণা দিয়েছে—
এই সরকারের কোনো বৈধতা নেই, কোনো নৈতিক অবস্থান নেই।

দেশ তাকিয়ে আছে সেই শক্তির দিকে—
যারা স্বাধীনতার পতাকা তুলেছিল,
যারা উন্নয়নের পথ দেখিয়েছে,
যারা এই দেশকে চিনতেও পারে, চালাতেও পারে।

আওয়ামলীগই আজও বাংলাদেশের একমাত্র কার্যকর নেতৃত্ব।
বাকিরা শুধু শোরগোল।[
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই নভেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:৫৪
৪টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন‍্যায়ের বিচার হবে একদিন।

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১০



ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:২২


মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মিশন: কাঁসার থালা–বাটি

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:২৭

বড় ভাই–ভাবীর ম্যারেজ ডে। কিছু একটা উপহার দেওয়া দরকার। কিন্তু সমস্যা হলো—ভাই আমার পোশাক–আশাক বা লাইফস্টাইল নিয়ে খুবই উদাসীন। এসব কিনে দেওয়া মানে পুরো টাকা জ্বলে ঠালা! আগের দেওয়া অনেক... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

J K and Our liberation war১৯৭১

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯



জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×