দেবীর মুখ ক্রিশ্চান ভিক্টোরিয়ার মতো হবে-এই বিষয়ে আপত্তি জানান পুরোহিতরা। বড় বউয়ের নিকট অপমানিত এক পুরোহিতের প্ররোচনায় পুরোহিতগণ জমিদারকে শাস্ত্রমতে উদ্ধার করার পরামর্শ দেন। অকল্পনীয় সেই প্রস্তাব নিজের স্বার্থ হাসিলের জন্য জমিদার মেনে নেন। নির্দিষ্ট দিনে প্রতিমা উদ্বোধনের পর প্রতিমার চেহারা দেখে সবাই স্তম্ভিত হয়ে পড়েন। তারপর... ... ...
সিনেমাটোগ্রাফি এককথায় চমৎকার। তবে কয়েক জায়গা পুরো ছবির সাথে বিসদৃশ মনে হয়েছে। বিশেষত মূর্তি তৈরি করার সময় অভিষেকের নিজের স্ত্রীকে (রাইমা সেন) কল্পনা করার দৃশ্যসমূহ ব্রজের সাথে ছোট বউয়ের অদৃশ্য সম্পর্ক তৈরিতে বাঁধা সৃষ্টি করেছে।
পুরো ছবিতে সোহা আলি খানের উপস্হিতি স্নিগ্ধ সৌন্দর্যের দ্যুতি ছড়িয়েছে। অত্যাচারী জমিদারের চরিত্রে জ্যাকি শ্রফও অনবদ্য। লোকার্নো ইন্টান্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল'এ বেস্ট এ্যাক্টরের নমিনেশানও পেয়েছেন।
তবে যে চরিত্রটি পরিচালকের সবচেয়ে বেশী মনোযোগ পেয়েছে তা হচ্ছে আফিমাসক্ত বড় বউ যোগমায়া। নানান মাত্রায় তাঁকে পর্দায় উপস্হাপন করা হয়েছে। তাঁর পর্দা উপস্হিতি ছিল প্রচন্ড শক্তিশালী। প্রতিবারই তাঁর চরিত্র ভিন্ন মাত্রায় মোড় নিয়েছে। স্বামীর বঞ্চনা, ছোট বউয়ের প্রতি ঈর্ষা-মমতা, পুরোহিতকে বিভ্রান্ত করা, লাস্যময়ী স্ত্রী, ব্রজকে আকৃষ্ট করার চেষ্টা, মা হবার আকাঙ্ক্ষা নস্যাৎ হয়ে যাওয়ায় তাঁর হাহাকার সবকিছু অতি দক্ষতায় রূপা গাঙ্গুলী পর্দায় উপস্হাপন করেছেন। তাঁর পারফরম্যান্স দুর্দান্ত এবং মনে রাখার মতো।
ঋতুপর্ণ ঘোষের মতে এই প্রথমবার তিনি কিছু করেছেন যা শুধুমাত্র সম্পর্ক বা আন্তঃর্ব্যক্তিক মনস্তাত্ত্বিক রূপান্তর নয় বরঞ্চ যার মধ্যে রয়েছে দৃঢ় সামাজিক ভিত্তি এবং যাতে তুলে ধরা হয়েছে বিভিন্ন স্তরের কলোনিয়াল ভারতের ইতিহাস।
ছবিটি ডিভিডিতে পাওয়া যাবে। দেখে নিতে পারেন। ভাল লাগবে। তবে যেহেতু ছবিটি ছোটদের জন্য নয় তাই দেখার সময় বিষয়টি খেয়াল রাখতে হবে।
ইউটিউবে পুরো ছবিটা ১৯টি অংশে ভাগ করে আপলোড করা আছে।
মুভি রিভিউ: দি কাইট রানার
______________________________________
তথ্যসূত্র: ইন্টারনেট/ডিভিডি