somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

★★★ সহি নকলের সহি কাহিনী ★★★ (পর্ব-২)

২৩ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৮:৩৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


পর্ব-২
বিঃদ্রঃ অপর কোন জীবিত ও মৃত ব্যক্তি, ঘটনা ও প্রেক্ষাপটের সাথে আমার সহি (সিগনেচার) নকলের সহি (সত্য) কাহিনীর কোন মিল নাই, যদি কেউ কোন ধরনের মিল খুজিয়া পান তবে ইহা নিতান্তই কাকতালীয় মাত্র।

প্রথম পর্বের পর…(Click This Link)

আমার তো জানে পানি নাই। সহপাঠী কেউ কেউ স্বান্তনা দেওয়ার চেষ্টা করল। কিন্তু তাদের অভয়বানী ও স্বান্তনাবাণী কোন কিছুই আমার সর্বগ্রাসী ভয়কে জয় করতে পারল না। অামার বদ্ধমূল ধারনা আমি টিসি খাবোই। তখনকার দিনে টিসি মানেই ভয়ংকর কিছু। ভয়ংকর ও দাগী ক্রিমিনালরাই টিসি খায়। আর ভালো ছেলেরা টিসি খায় না, টিসি নেয়। আমিও কি সেই দাগী ক্রিমিনালের খাতায় নাম লেখাচ্ছি! নাহ আর ভাবতে পারছি না। স্কুল থেকে যদি টিসিই দেয় তাহলে এলাকার গ্রামের স্কুলে ফিরে যেতে হবে। উহ! কলঙ্কের একশেষ হবে। যাই হোক আর ভাবাভাবির সময় নাই। স্যারের সাথে দুরু দুরু বক্ষে শিক্ষকদের অফিসকক্ষে প্রবেশ করলুম। স্যারের উদ্দেশ্য যে ভয়ংকর সেটা স্পষ্ট। একজন ছাত্রকে টিসি দেয়ার মতো চুড়ান্ত পদক্ষেপ নিতে হলে অন্যান্য শিক্ষকদের সমর্থণ তো দরকার। তাই হয়তো প্রধান শিক্ষকের কাছে না নিয়ে শিক্ষকদের অফিসকক্ষে আমাকে নিয়ে এলেন।

*** ভাগ্য সুপ্রসন্নই বলা চলে। ক্লাস টিচার মাহমুদ স্যারের মুখোমুখি হয়ে কিছুটা স্বস্থি এলো মনে। উজ্জ্বল গৌঢ় বর্ণের দীর্ঘাকায় সুদর্শণ মাহমুদ স্যার কমল স্যারের রুদ্র মূর্তি আর আমার কাচুমাচু ভঙ্গি দেখেই হয়তো কিছুটা আচ করতে পারলেন। সহাস্যে এগিয়ে এসে কমল স্যারকেই জিজ্ঞেস করলেন স্যার কি হয়েছে? আমাকে বলেন। কমল স্যার সিরিয়াস ভঙ্গিতে আমার অপরাধের ফিরিস্তি দিতে শুরু করলেন। মাহমুদ স্যার ঘটনা শুনে একগাল হেসে বিষয়টি হাল্কা করার চেষ্টা করলেন। আমাকে বললেন, এই ব্যাটা তুই তো দেখছি স্যারের ব্যাংক ব্যালেন্স সব সাবাড় করে দিবি! এই কাজ করছিস কেন বল? আমার তো আর বলার মুখ নাই। চুপচাপ দাড়িয়ে টিসি খাওয়ার অপেক্ষা করতে লাগলাম। তবে আমার মৌন অপরাধী ভঙ্গি আর মাহমুদ স্যারের সুপারিশে সে যাত্রা রক্ষা পেলাম। সিগনেচার নকলের ভয়ানক অভিযোগ মাথায় নিয়ে বড় কোন শাস্তি ছাড়াই ক্লাসে প্রত্যাবর্তন করলাম। সে এক অভাবনীয় বিষয় বটে।



23 অক্টোবর 2017 খ্রিঃ, ঢাকা।


সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে অক্টোবর, ২০১৭ সকাল ৮:৩৯
২টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

= দাওয়াত বা কোন অনুষ্ঠানে খাবার গ্রহণের সময় যে কটি বিষয় আপনার বিবেচনায় রাখা দরকার =

লিখেছেন এমএলজি, ১৪ ই অক্টোবর, ২০২৪ ভোর ৪:২৩



১. দ্রুত খাবার গ্রহণের অভ্যাস থাকলে তা কিছুটা ধীর বা প্রলম্বিত করার চেষ্টা করুন যাতে অন্য সবার বেশ আগেই আপনার খাওয়া শেষ হয়ে না যায়।

২. কোন আইটেম খুব সুস্বাদু বা... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ এবং কিছু কথা......

লিখেছেন জুল ভার্ন, ১৪ ই অক্টোবর, ২০২৪ সকাল ১০:৩০

আমাদের ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ এবং কিছু কথা.........

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আমাদের সফলতার চেয়ে ব্যর্থতার বিষাদময় গ্লানির সঙ্গেই বোধকরি বেশি সম্পর্ক। কদাচিৎ কোনো বড় দলকে পরাজিত করার পর আমরা পুরো বাংলাদেশ এখনো আবেগে আপ্লুত... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ্‌ সাহেবের ডায়রি ।। অন্য দেশে চলে যাচ্ছে গার্মেন্টসের অর্ডার

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৪ ই অক্টোবর, ২০২৪ দুপুর ১২:২০




এবার বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের অর্ডারের একটি অংশ প্রতিবেশী ভারত, পাকিস্তানসহ অন্য দেশের বাজারে চলে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। রাজনৈতিক অস্থিরতা, সরকার পতন এবং শ্রমিক অসন্তোষের কারণে দেশের সবচেয়ে বড়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতন ভারতের উদ্বেগ!

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৪ ই অক্টোবর, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩


ভালোভাবেই শেষ হলো সনাতনীদের বৃহৎ উৎসব দুর্গাপূজা কিন্তু দুর্গাপূজা ভালো ভাবে শেষ হওয়ায় অনেকেই বড্ড হতাশ হয়েছে; পূজা নিয়ে তারা ট্রামকার্ড খেলতে চেয়েছিল কিন্তু ট্রামকার্ড খেলার পরও সফল হতে পারেনি।... ...বাকিটুকু পড়ুন

উফ্! কি দারুণ!! WOW!!!

লিখেছেন মন থেকে বলি, ১৪ ই অক্টোবর, ২০২৪ বিকাল ৩:০৬

চোখটা সবে যেই বুঁজেছি, ডাকল হুলো 'মিঁয়াও'।
মাথায় এলো আজিব টপিক - আরি সাবাশ! WOW!!

ল্যাংটাকালে 'আমার বই'-য়ে,
আঁকল ছবি কোন আঁকিয়ে?
তালগাছেতে উলটো ঝোলে কানাবগির ছাও।
সেটাই ছিল প্রথম অবাক, প্রথম বলা - WOW!!

আরও... ...বাকিটুকু পড়ুন

×