স্বাধীনতা পূর্ব ততকালীন পাকিস্তানে অর্থাৎ আজ থেকে প্রায় ৫২ বছর আগে দেশের জন্য ভালো যা কিছু হয়েছে সবই হয়েছে ছাত্রদের অবদানে অর্থাৎ ছাত্র রাজনীতির কল্যানে; ক্রান্তিকালে এই ছাত্র রাজনীতির ছত্রছায়ায় ছাত্ররা দেশের জন্য অনেক কিছু করেছেন তাদের বিবেকের তাড়নায়। তাদের ছিলনা কোন পাওয়ার আকাঙ্খা, তারা উন্মুখ হয়ে থাকতো জনগন তথা দেশের জন্য কাজ করার।
এখন সময় হয়েছে ছাত্র রাজনীতি বন্ধ করার। দেশের এখন এমন কোন ক্রান্তিকাল নেই যে তা উদ্ধার করতে ছাত্রদের রাজনীতি করতে হবে অথবা না করতে হবে কোন আন্দোলন। অভিভাবকরা সহ সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীরা সকলেই মনে করে বর্তমানের দুষ্ট ছাত্র রাজনীতি বন্ধ হওয়া প্রয়োজন।
বর্তমানে ছাত্ররা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের ক্ষমতায় থাকার হাতিয়ার হিসেবে অর্থাৎ পেশীশক্তি হিবেবে ব্যবহৃত হচ্ছে যার ফলে ছাত্রদেরকে মূল সংগঠনের স্ট্রাইকং ফোর্স হিসেবে কাজ করতে হচ্ছে। স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে কাজ করতে গিয়ে নামধারী ছাত্ররা টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি, দখলবাজি, মাগীবাজি, গাড়ী চুরি, বাইক চুরি, গরু চুরি, ছাগল চুরি, ছিনতাই, খুন ডাকাতী এমন কোন হেন অপরাধ নেই যে তার সংগে অপছাত্র রাজনীতিকরা জড়িত নেই।
ফকিন্নিরপূতরা (যারা খারাপ কাজে জড়িত) এই অপ ছাত্ররাজনীতিতে জড়িয়ে ছাত্র নেতা বনে গিয়ে রাতারাতি কোটিপতি হয়ে যায়। গাড়ী বাড়ী সোনাদানা, ব্যবসাপাতি সবই তার হাতের মুঠোয়। সুতরাং সময় এসেছে ছাত্র রাজনীতিকে না বলা 'র।
ফ্যাক্ট : নিউমার্কেট এলাকায় ব্যবসায়ী বনাম ছাত্র মারামারি।
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে এপ্রিল, ২০২২ দুপুর ১২:১৫