পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন নিখাঁদ সত্য কথা বলেছেন। দেশের স্বার্থ জলাঞ্জলি দিয়ে হলেও ক্ষমতায় থাকতেই হবে উনি সেই সত্যটিকে সামনে এনেছে যেটা এতদিন গোপনে চর্চা হতো। তবে কথায় বলেনা সত্য কথার ভাত নেই ব্যাপারটি ঠিক তেমনি। বেচারীকে বরবরই সাদামাটা মানুষ হিসেবে মনে হয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রকের নেতৃত্ব দেওয়ার মতো বিচক্ষণ বলে মনে হয়নি কখনো। সেই বিচক্ষণতা নেই বলেই ওনার কথায় অনেক কিছুই সামনে এসেছে।
যেমন উনি বলেছেন, প্রতিবেশী দেশে কয়েকটি মসজিদ পোড়ানো হয়েছে। সেটি দেশে প্রচার করতে দেওয়া হয়নি (একদিক দিয়ে ভালো শান্তি বিনষ্টকারীরা অপকর্ম করার সুযোগ পায়না)। তার অর্থ কি দাড়ালো? সরকার যে মিডিয়াকে তাদের ইচ্ছে মতো নিয়ন্ত্রণ করছে এটা তার প্রকাশ্য স্বীকারোক্তি। তিনি আরো বলেছেন - কিছুদিন আগে একজন ভদ্রমহিলা (নূপুর শর্মা) একটি কথা বলেছিলেন, আমরা একটি কথাও বলিনি। বিভিন্ন দেশ কথা বলেছে, আমরা একটি কথাও বলিনি। এ ধরনের প্রটেকশনও আমরা আপনাদের দিয়ে যাচ্ছি। ভারতে বর্ডারে এক্সট্রা খরচ করতে হয় না। এ ছাড়া বাংলাদেশ থেকে বছরে ২৮ লাখ মানুষ ভারতে বেড়াতে যায়। কয়েক লাখ ভারতীয় বাংলাদেশে কাজ করে। বর্ডারে ভারতের সরকারকে অতিরিক্ত খরচের হাত থেকে বাংলাদেশ মুক্তি দিয়েছে। নাম মাত্র মূল্যে ট্রানজিট সুবিধা দেয়া হয়েছে। কিন্তু এর বিনিময়ে বাংলাদেশ পাচ্ছে কিছুদিন পরপর লাশ। বাংলাদেশে চাকুরী করে কয়েক লাখ ভারতীয়! এই কয়েক লাখ সংখ্যাটি আসলে কত? উইকিপিডিয়া তথ্যমতে ২০১৭ সালে ভারতে রেমিট্যান্স পাঠানোর দিক দিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান হচ্ছে চার নাম্বার। সে বছর বাংলাদেশ থেকে প্রাপ্ত ইন্ডিয়ার রেমিট্যান্স ছিলো ৪.৬১৩ বিলিয়ন ডলার। ব্লগার জুলভার্ন এর মন্তব্য থেকে নেয়া।"
ড. এ কে আব্দুল মোমেনের যেমন বলেছেন, শেখ হাসিনাকে টিকিয়ে রাখতে যা যা করা দরকার, তা করতে ভারত সরকারকে অনুরোধ করেছি। আওয়ামী লীগের হাড়ির খবর ফাঁস করে দেওয়াতে আওয়ামী লীগ এখন বেজায় চটেছে। কেউ বলছে উনি আওয়ামী লীগের কেউ না। কেউ বলছে এটা ওনার ব্যক্তিগত মতামত, কেউ বলছে তাকে কথা বলার দায়িত্ব দেওয়া হয়নি। কেউ বলছে ভারতকে অনুরোধ করার দায়িত্ব কাউকে দেওয়া হয়নি l কেউ বলছে তিনি দলের কেউ না l স্বভাবতই প্রশ্ন উঠে আসলে তিনি কার?
হঠাৎ করে সবাই যেন ফ্রুটিকা খেয়ে সত্য বলা শুরু করলো, ওদিকে আবার ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেছেন, বরাবরই আমি দেখেছি, পুলিশের আওয়ামী লীগের প্রতি একটা দুর্বলতা আছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে পুলিশের সম্পর্ক থাকলেও, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের শেল্টার দেওয়া কিংবা সহযোগিতা করার মানসিকতা ছিল বলে আমি দেখেছি।
প্রশ্ন হলো ক্ষমতায় টিকে থাকলে হলে কেন ভারতকে অনুরোধ করে হবে? আর পুলিশই বা কেন বিশেষ একটা রাজনৈতিক সংগঠনকে শেলটার দেবে? তাহলে কি আওয়ামীলীগের সংগে আমজনতার কোন সম্পৃক্ততা নেই ? ভারত ও পুলিশের শেলটার ছাড়া আওয়ামীলীগ কি ক্ষমতায় থাকতে পারবেনা? এমন বহু প্রশ্নই মনের কোনে উঁকি দেয় যার উত্তর জানা নেই।
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে আগস্ট, ২০২২ বিকাল ৩:৪১