
এদিকে আবার ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের হাই কমিশনার প্রণয় ভার্মা বলেছেন, ‘উগ্রবাদ ও সহিংসতার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের সঙ্গে একযোগে কাজ করবে ভারত।’ আশ্চর্যের বিষয় হলো ভারতে এখন নিজেই উগ্রবাদী ও সহিংস সাম্প্রদায়িক দল দ্বারা শাসিত হচ্ছে। যেখানে প্রতিনিয়ত সংখ্যালঘুরা নিপীড়িত ও নির্যাতিত হচ্ছে বিশেষ করে সংখ্যালঘু মুসলিমরা বেঘোরে প্রাণ হারাচ্ছে উগ্র সামন্প্রদায়িক গেরুয়া গোষ্ঠীর কাছে। যেখানে প্রতিনিয়ত জনপ্রতিনিধিরা নিয়ম করে মুসলিমদের বিষোদগার করছে। যেখানে সাম্প্রদায়িকতা যাদের বড় রাজনৈতিক অস্ত্র। যেখানে ক্ষমতাশীনরা সংখ্যালঘুদের ধর্মীয় স্থাপনা ধ্বংস করে মন্দির গড়ে দিচ্ছে তারা কিভাবে বাংলাদেশের উগ্রবাদ ও সহিংসতা নিয়ে কথা বলে!?
আসল কথা হলো উগ্রবাদ বা সাম্প্রদায়িকতা এগুলো কিছুইনা তাদের চাওয়া একটি নির্দিষ্ট সরকার যারা তাদের সকল আবদার পূরণ করবে কোন প্রাপ্তিযোগ ছাড়াই। বাংলাদেশের সকল নদী, বন্দর, সড়ক সেতুতে ট্রানজিটের নামে উন্মুক্ত অধিকার নিচ্ছে তারা কিন্তু বছরের পর বছর নেপাল ভূটানের সাথে বাংলাদেশের স্বাধীন যোগাযোগে বাণিজ্যে পদে পদে বাধা দিয়ে যাচ্ছে!
তারা আবার বাংলাদেশের সংখ্যা লঘুদের নিয়েও চিন্তিত! বাংলাদেশে যেখানে সরকারী কর্মচারীদের ২৫ শতাংশ হচ্ছে ধর্মীয়ভাবে সংখ্যালঘু l সেখানে ভারতে মুসলিমদের অবস্থা সরকারী ক্ষেত্রে ১ শতাংশের মত যা দলিতদের থেকেও কম।
ভারত এখন জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদের কথা প্রচার করে যাচ্ছে। ২০১৪ সালের নির্বাচনের আগেও তারা এ বিষয়টি সামনে এনেছিল।একইভাবে ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে তারা এই ধুয়া তুলেছিল এমনকি তারা ২০৫৬ সালেও বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে একই অবস্থান থাকবে। উগ্র গেরুয়াবাদ ও সাম্প্রদায়িকতা যাদের বড় রাজনৈতিক অস্ত্র তারাই এখন আমাদেরকে ছবক দিচ্ছে কি আশ্চর্য!
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে আগস্ট, ২০২৩ সকাল ৯:৪৩

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



