আমাদের না আছে আন্তর্জাতিক মানের গবেষণাগার না আছে কোন আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষালয়; সবকিছুই চলছে দলীয় ক্যাডার দিয়ে যেখানে লাগবে ইঞ্জিনিয়ার সেখানে কৃষিবিদ এবং যেখানে দরকার কৃষিবিদ সেখানে কাজ করছেন ইঞ্জিনিয়ার! শিক্ষা, গবেষণা, বিজ্ঞান চর্চা সবকিছুতেই নীতিনির্ধারক তথা সরকারে গাছাড়াভাব তাদের মননে মগজে শুধুই আমৃত্যূ ক্ষমতায় থাকার লিপ্সা। তারা পারেনি কোন আন্তর্জাতিক মানের গবেষনাগার বা শিক্ষালয় প্রতিষ্ঠা করতে, তারা পেরেছে শুধুই জ্বীহুজুর জ্বীহুজুর প্রকৃতির মোসাহেবি একটা জনগোষ্ঠী তৈরী করতে।
এই গোষ্ঠী এখন ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে নিয়ে উঠেপড়ে লেগেছে। তারা বলছে ইউনূস সুদখোর কেউ আরো একধাপ এগিয়ে বলছে ইউনূস হারামখোর। হারামের কথায় নাহয় বাদই দিলাম, সুদ কি বাংলাদেশের আইনে নিষিদ্ধ? তাদের মধ্যে যারা ব্যাংক ডাকাত তারাও অবলীলায় বলছে ইউনূস সুদখোর! যারা দেশের সম্পদ চুরি করে সুইচব্যাংক ভরছে এবং যুক্তরাষ্ট্রে গাড়ী বাড়ি করেছে তারাও আজ ইউনূসকে সুদখোর টাকা পাচারকারী বলছে, কী আশ্চর্য!
আজ যদি তেনাদের প্রধান বলেন, ভারতের আগে বাংলাদেশের সফল চন্দ্রাভিযানের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন জনাব সাইদী তাহলে কাল সকল মোসাহেব পল্টি মেরে চোখে সুরমা, গায়ে আতর মেখে সাঈদী সাহেব যে ভারতের আগে সফল চন্দ্রাভিযানের নেতৃত্বে দিয়েছেন সে প্রশংসায় পঞ্চমুখ হবে। মাঠে-ঘাটে ফেসবুকে কৃতিত্বের দাবিতে সরব হবে। সেই সংগে এটাও বলা যায় যদি একবার মুখফসকে ইউনূসের প্রশংসা করা হয় সংগে সংগেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা যারা ড. ইউনূসের নোবেল প্রত্যাহারের জন্য আন্দেলন করছে তারাও ভোল পাল্টে ড. ইউনূসকে প্রতিবার নোবেল দেওয়ার জন্য আন্দোলন করতে থাকবে। দাবী করবে ইউনূস আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র; ইউনূসের জন্য আজ এ শিক্ষালয় গর্বিত!!
লেখাটি ব্লগার কাছের-মানুষ-এর মন্তব্য থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে লেখা।
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:৩৮