
বঙ্গবন্ধু ও জিয়া দুই জনই তাদের নিজ নিজ অবস্থানে চির ভাস্বর। তাদের অবদানকে অস্বীকার করার কোন উপায় নেই। বিশেষ করে বঙ্গবন্ধুর বিষয়ে সকল রাজনীতিবিদ একমত পোষন করেন যে তিনিই বাংলাদেশের স্বাধীনতার অগ্রসেনানি। জিয়ারও অবদান আছে বিশেষ করে মুক্তিযুদ্ধে যা সকল রাজনীতিকরা স্বীকার করেনা বিশেষ করে আওয়ামীলীগ; তাদের তথাকথিক কতিপয় হাইব্রিড রাজনীতিক জিয়াকে পাকিস্তানিতে এজেন্ট বলে তাকে ছোট করা চেষ্টা করে এবং নিজেদের দিউলিয়াত্বের পরিচয় দেয়।
এই হাইব্রিড আওয়ামী রাজনীতিকরা বঙ্গবন্ধুকে উচুতে তুলতে গিয়ে পক্ষান্তরে অনেক নিচুতে নামিয়েছে। আমরা যদি হিন্দু হতাম তাহলে হয়তো আওয়ামীরা বঙ্গবন্ধুকে ভগবান বানিয়েই ছাড়তো। দুঃখের বিষয় বাংলাদেশ মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ হওয়ায় ওরা বঙ্গবন্ধুকে ভগবান আখ্যায়িত করতে পারেনি। নিশ্চিতভাবে বঙ্গবন্ধু আমাদের দেশের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় নেতা কিন্তু তিনি তো বিশ্বের মধ্যে বড় নেতা নন।
বৈশিকভাবে ভাবেই বঙ্গবন্ধু ম্যান্ডেলা, চে গুয়েভারা, ক্যাস্ট্রোর চেয়ে বড় নেতা নন কিন্তু হাইব্রিড আওয়ামীরা বঙ্গবন্ধুকে তাদের চেয়েও বড় নেতা বানিয়েছে যেটা হাস্যকর বটে। কেউ যদি বঙ্গবন্ধুকে কটুক্তি করে তাহলেই কি বঙ্গবন্ধু ছোট গেল? বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কেউ কটুক্তি করলে তার জেল জরিমানার ব্যবস্থা করে আইন প্রণয়ন যা অবশ্যই বঙ্গবন্ধুকে ছোট করেছে বৈ বড় করেনি।
এমনকি প্রতিটি ক্ষেত্রেই বঙ্গবন্ধুর নাম জড়ানো যেমন বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট, বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু কলেজ, বঙ্গবন্ধু স্কুল, বঙ্গবন্ধু যুদ্ধ জাহাজ, বঙ্গবন্ধু ব্রিজ, বঙ্গবন্ধু কালভার্ট, বঙ্গবন্ধু টানেল, বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম, বঙ্গবন্ধু ফুটবল টুর্ণামেন্ট ইত্যাদি ইত্যাদি । বঙ্গবন্ধুর নামে স্কুল ও কলেজ আছে ২/৩ শত যা সংগত কারণেই মানুষের মনে ক্ষোভের জন্ম দেয়। হাজার হাজার প্রতিষ্টান বঙ্গবন্ধু নামে না করে বঙ্গবন্ধুকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য ২/৪ টি প্রতিষ্ঠানই যথেষ্ট ছিল। বঙ্গবন্ধু শত বার্ষিকী পালনে যে রকম বাড়াবাড়ি করেছে তাতে মানুষের মনে শুধু ঘৃণাই জন্মেছে ভালোবাসা পরিবর্তে। সবচেয়ে বেশি বাড়াবাড়ি করে প্রতিটি সরকারী বেসরকারী অফিস আদালতে বঙ্গবন্ধু কর্ণার তৈরি ও সেখানে বঙ্গবন্ধু মুর্তি স্থাপন করে এবং কিছুদিন পরপর সেখানে অনুষ্ঠান করে সেগুলোর ভিডিও পাঠাতে হতো মন্ত্রনালয়ে।
ঠিক এমন ভাবেই মুক্তিযোদ্ধাদেরও অপমানিত এবং ছোট করেছে আওয়ামীলীগ। মুক্তিযোদ্ধাদের দায়িত্ব নিক সরকার সেবিষয়ে কারো আপত্তি ছিলনা শুধুমাত্র রাজনীতি করার জন্য মুক্তিযোদ্ধাদের ছেলেমেয়েকে ৬০% চাকুরী এবং মুক্তিযোদ্ধার অবর্তমানে তার ভাতা/সম্মানী তাদের ছেলে মেয়ে পাবে, স্ত্রী পাবে, নাতি পাবে, পুতি পাবে এই ভাবে বংশপরমপরা পেতেই থাকবে। ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা তৈরীতেও তারা ছিল অগ্রগামী।
বিষয়টি এমন পর্যায়ে গিয়েছে যেন বঙ্গবন্ধু তুচ্ছতাচ্ছিল্যের পাত্র। তাই বঙ্গবন্ধুকে ওপরে উঠানো সমস্ত দায়িত্ব নিয়েছে আওয়ামীলীগ।
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে আগস্ট, ২০২৪ বিকাল ৪:০৭

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



