কোন এক দলীয় সভায় হাসিনা, হাছান মাহমুদকে উদ্দেশ্য করে বলেছিল- তোমার খরব কী? কাজ-টাজ ঠিক মতো করো? তুমি নাকি অনেক সম্পদের মালিক হয়েছো? সব তথ্যই আমার কাছে আছে। তখন সভায় উপস্থিত সকলেই ধরেই নিয়েছিল যে, হামা'র বিদায় ঘন্টা বেজে গিয়াছে কিন্তু প্রকৃতপক্ষে তা হয়নি। তার মূল কারণ ছিল বিরোধী পক্ষকে যে যতবেশি ধোলাই দিতে পারবে তার প্রমোশন তত বেশি এবং দ্রততার সংগে। এটা ছিল হাসিনার নীতির ১ নং কৌশল। ফলে হাছান মাহমুদ ১৫ বছরে হাসিনা সরকারের বিভিন্ন মেয়াদে প্রভাবশালী মন্ত্রী ছিলেন বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে।
নির্বাচনি হলফনামায় আয়-ব্যয় বা স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির হিসাব দেখে যে কেউ ভাববে তার চেয়ে সৎ, গরিব কোনো মন্ত্রী-এমপি বাংলাদেশে নেই। কিন্তু বাস্তবে নামে-বেনামে তার রয়েছে সম্পদের পাহাড়। মন্ত্রী হিসাবে দলে যেমন তার প্রভাব ছিল, তেমনই দায়িত্ব পালন করা বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে প্রভাব খাটিয়ে দখল-বেদখল, অনিয়ম-দুর্নীতির মাধ্যমে হাতিয়েছে শত শত কোটি টাকা।
বন ও পরিবেশমন্ত্রীর দায়িত্ব পালনকালে রাঙ্গুনিয়ায় ২০০ একরেরও বেশি বনভূমি দখল করেছে যেখানে হামা গড়ে তুলেছে পর্যটনকেন্দ্রসহ নানা বিলাসী প্রকল্প। দখল করেছে জাহাজ নির্মাণকারী ডকইয়ার্ড। দখলের ক্ষেত্রে ব্যবহার করেছে নিজের ভাইদের। স্ত্রীর নামে নিয়েছে শিপ হ্যান্ডলিং লাইসেন্স। হয়েছেন ফিশিং ট্রলারের মালিক। এরই মধ্যে এক ডকইয়ার্ড মালিক তার কাছে ৬০০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি করে লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছে। করেছে সংবাদ সম্মেলন।
সকাল থেকে শুরু করে বিছানা যাওয়া আগ মুহূর্ত পর্যন্ত বিএনপি গালাগাল করাই যার কাজ ছিল, সে হলো নিন্দিত নিকৃষ্ট রাজনীতিক হাসান মাহমুদ।বিএনপি কে যারা পছন্দ করে তারা, মধ্যপন্থা অবলম্বনকারীরা এবং আওয়ামী ঘরানারও কিছু মানুষ তার এইসব নিকৃষ্ট কথাবার্তাকে ভালোভাবে নেইনি। এসব কর্মকান্ড জনরোষ তৈরির অন্যতম কারণগুলো মধ্যে একটি। রাজনীতিক জঘন্যতমদের মধ্যে হাসান মাহমুদ অন্যতম একজন। এসব নর্দমার কীটকে ঝেটিয়ে বিদায় করাই মঙ্গলজনক।
হাসিনা যদি আগেই এদেরকে ঝেটিয়ে বিদায় করতো তাহলে হয়তো এতো করুণ অবস্থা হতোনা। কিন্তু তিনি তা না করে যারা বিরোধী মতকে দমন করার ফেসিবাদীনীতি গ্রহন করেছে তাদেরকেই হাসিনা প্রমোট করেছে।
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২৪ দুপুর ১:০০