সজীব ওয়াজেদ জয় গণভবনে মিটিং ডেকে দাম্ভীকতা ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে জাতীয় তথ্য ভান্ডার অর্থাৎ NID তথ্য ভান্ডারের মিরর কপি চেয়েছিলেন। কেন তিনি জাতীয় তথ্য ভান্ডারের মিরর কপি চেয়েছিলেন তা শুনলে আপনি শিউরে উঠবেন। প্রভাব খাটিয়ে নির্বাচন কমিশন থেকে তথ্য ভান্ডারের এক্সেস সুবিধা বিসিসি কে দেওয়া হয় সেখান থেকে ডিজিকম পায় এক্সেস সুবিধা। ডিজিকম সেটাকে পরিচয়ডটকমের মাধ্যমে প্রায় ১৮২ টি প্রতিষ্ঠানের কাছে বিক্রি করে। এখানে বলে রাখা ভালো জয়, পলক, বিসিসির ততকালীন নির্বাহী পরিচালক তারেক এম বরকতুল্লা এবং জয়ের বন্ধু ডিজিকমের এমডি ওয়াহিদুর রহমান শামীম জোট ছিল তথ্যভান্ডার হাতিয়ে নেওয়ার মূল কারিগর।
'
আপনারা আশ্চর্য হবেন যে, সম্পদ হলো নির্বাচন কমিশনের অথচ বিক্রয়লব্ধ অর্থের মাত্র ১০% অর্থাৎ ২ টাকা পাবে বিসিসি। বিসিসি প্রাপ্ত অর্থের ৫০% অর্থাৎ ১ টাকা দেবে নির্বাচন কমিশনকে বাকী ৯০% অর্থাৎ ১৮ টাকা জয়ের বন্ধু ডিজিকমের কর্নধার ওয়াহিদুর রহমান শামীম হাতে। ভাবতে পারেন নির্বাচন কমিশনের সম্পদ অথচ তারা পাচ্ছে প্রতিটি তথ্যের জন্য ২০ টাকা থেকে মাত্র ১ টাকা! এভাবে কামিয়েছে কয়েক হাজার কোটি টাকা!
আপনারা আরো আশ্চর্য হবেন যে, এই তথ্য ভান্ডার এখন ভারতের হাতে! কী বিশ্বাস হচ্ছেনা? তাহলো শুনুন, কাউয়া গাড়ীর নম্বর প্লেট তৈরির দায়িত্ব দিয়েছিল ভারতের মাদ্রাজ সিকিউরিটি প্রিন্টিং-কে সেই সুবাদে মাদ্রাজ সিকিউরিটি প্রিন্টিং-কে তথ্য ভান্ডারের এক্সেস দেওয়া হয়। মাদ্রাজ সিকিউরিটি প্রিন্টিং কাজ বাগিয়ে নেয় সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের প্রতিষ্টান সিএনএস-এর মাধ্যমে। তথ্য যখন মাদ্রাজ সিকিউরিটি প্রিন্টিং এর হাতে তখন ভারতীয় গোয়েন্দা বাহিনী কি এই তথ্য হাতিয়ে নেয়নি; আপনি কি মনে করেন?
জয় তার স্বাভাব সুলভ ভাবে প্রতি মিটিং-এ তারেক রহমানকে টেনে এনে বলতো যে, তারেক দেশের সম্পদ চুরি করেছে আর জয় বাবু দেশের উন্নয়নের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন! এই হলো কাজের নমুনা! পলক, বিসিসির ততকালীন নির্বাহী পরিচালক তারেক এম বরকতুল্লা এবং ডিজিকমের এমডি ওয়াহিদুর রহমান শামীম সিন্ডিকেটের মাধ্যমে জয় কয়েক হাজার কোটি টাকা পাচার করেছেন।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পুত্র এবং তার আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় বাবুর সেই মিরর কপির সুবাধে তথ্য এখন মানুষের হাতে হাতে এমনকি ভারতের হাতে। আপনার তথ্য অন্যের হাতে থাকলে আপনাকে বিপদে ফেলা কঠিন কিছু নয় এমন কী আপনি আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী হিবেবেও তালিকাভুক্ত হতে পারেন! সাধু সাবধান।
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই অক্টোবর, ২০২৪ দুপুর ১:০৮