
আমরা যেভাবে সরলীকরণ করছি বিষয়টা মোটেই তেমন সহজনা। হাসিনা গত ১৫/১৬ বছরে প্রশাসনের ৯৫ % আওয়ামীঘরানার লোক বসিয়েছে প্রতিটি স্থানে এরা কী ইউনূসের কথার যাদুতে রাতারাতি দেশের জন্য কাজ করবে? নাকি হাসিনাকে পুনরায় ফিরিয়ে এনে তাদের লুটপাটের রাস্তা পরিস্কার করবে? আমরা যত সহজে বলছি দেখছি জানছি বিষয়টা সেরকম মোটেই নয়। ব্যবসায়ীরা ৯৫ % করাপ্টেড এবং ৯৫% করাপ্টেড আমলারা যে পরিমান চাপে রেখেছে সেই চাপ সহ্যকরে টিকে থাকাই তো মুসকিল। যে লোকটি মানুষকে উদ্দীপ্ত করতো এবং অনুপ্রানিত করাই যার কাজ ছিল তিনি কি চাইলেই কর্মসংস্থান হবে অথবা পণ্যমূল্য কমে যাবে? তেমনটা হবেনা কারণ তিনি ৪/৫ মাসে কলকারখানা, মিলফ্যাক্টরী ও শিল্পকারখানা তৈরী করতে পারবেনা চাইলেও পারবেননা অথবা ছুমন্তর ছুমন্তর ছু করে পণ্যের দাম কমাতে পারবেনা।
আপনি হয়তো বলবেন তাহলে উনি দায়িত্ব নিলেন কেন? বিপ্লব পরবর্তী টালমাটাল অবস্থায় ড. ইউনূসই ছিলেন সর্বাধিক যোগ্য। সেই সময় ড. ইউনূস ছাড়া অন্য কেউ হাল ধরলে দেশের অবস্থা আরো নাজুক হয়ে পড়তো এবং ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা থেকে জেনারেশন৭১ এর কথা অনুযায়ী দেশ সিরিয়া ইয়ামেন হয়ে যেত। দেশ সিরিয়া ইয়ামেন না হওয়াতে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা থেকে জেনারেশন৭১ রেগে মেগে আগুন হয়ে সবাইকে প্রশ্নফাঁস জেনারেশন, ফেসবুক জেনারেল, লিলিপুটিয়ান, মগজহীন ইত্যাদী বলে বিষোদগার করছে।
আম্লিগ নামক কিছু কচু খেকো ৩/৪ মাস নিরব ছিল কিন্তু ইদানিং তারা এই ব্লগসহ সব যায়গাতে অত্যন্ত সবর। তারা খুবই চতুরতার সংগে বোমা ফাটাচ্ছে বর্তমান সরকার পুরাপুরি ব্যর্থ, কর্মসংস্থান করতে পারেনি দ্রব্যমূল্যের দাম নিয়ন্ত্রন করতে পারেনি এমনকি তারা এও বলছে যে ইউনূসের নেতৃত্বেই যতসব খুন হয়েছে সুতরাং আম্লিগ তথা হাসিনাই শ্রেষ্ট তাকেই দরকার! ভাবা যায় এরা কি না বলতে পারে আর কি না করতে পারে?! এরা কোনভাবেই হাসিনার দূর্নীতির কথা বলেনা। এরা ভারতে বাংলাদেশী দূতাবাসে হামলাভাংচূরের বিরুদ্ধে কথা বলেনা। এরা ইনিয়ে-বিনিয়ে ভারতের কথাই বলে, ভারতেরই দালালী করে!
আমাদের প্রধান কাজ হবে বর্তমান সরকারকে কথার মাধ্যমে, কাজের মাধ্যমে, বক্তৃতা বিবৃতির মাধ্যমে, লেখার মাধ্যমে সাহায্য করা যাতে দেশে আবার কোন রাজনৈতিক দল দানবে পরিনত হতে না পারে এবং এই সরকারকে দূর্নীতির বিরুদ্ধে বজ্রকঠিন হতে হবে যাতে দূর্নীতিবাজরা আবার না আসতে পারে।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।

