
অতিসম্প্রতি হামাস এক ইসরাইলী বন্দির কঙ্কালসার ভিডিও প্রকাশ করেছে। সেই ভিডিও প্রকাশের সংগে সংগেই আমেরিকার, ফ্রান্স, জার্মানী ও বৃটেন সহ ইউরোপের অনেক দেশ বেশ সরব ও গরম হয়েছে। এখন তাদের গায়ের নীচে পানি গেছে তারা জেগে উঠেছে। অন্য দিকে ইসরাইল ৬০/৭০ হাজার ফিলিস্থিনিকে হত্যা করলো লক্ষাধিক ফিলিস্থিনিকে পঙ্গু করলো ৯০ শতাংশ বাড়িঘর মাটিতে ধুয়োয় মিশিয়ে দিলো তখন মানবতার ধ্বজাধারী পশ্চিমাদের মুখে টু শব্দটিও ছিলোনা।

অতপর মধ্যপ্রাচ্যে বিষফোড়া ইসরাইলের অবরোধে গাজায় ভয়ানক খাদ্য ও পানি সংকটে শত শত শিশু, আবাল বৃদ্ধবণিতা যখন অনাহারে মারা যাচ্ছে তখনও মানবতার ধ্বজাধারী পশ্চিমাদের মুখে টু শব্দটিও ছিলোনা শুধু মাত্র বলতে হয় তাই বলা টাইপের বিবৃতির মাধ্যমেই শেষ। তার কার্যকরভাবে ইসরাইলকে না থামিয়ে উল্টো ইসরাইলকে সামরিক ও আর্থিক সাহায্য দিয়ে ফিলিস্থিনিদেরকে নির্মূল করতে প্রত্যক্ষ সহযোগিতা করেছে।
ইতিমধ্যেই মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রোবিও বেশ সরব হয়েছে তিনি বলেছেন গাজায় দুর্ভিক্ষ বলে ইসরাইলি বন্দীদের কষ্ট দেয়া উচিৎ নয়। তিনি আরো বলেন, ২০ জন বন্দীকে মৃত্যুর মুখে টানেলের মধ্যে বন্দী করে রাখা হচ্ছে। অথচ তাদের এর সাথে কোনো সম্পর্কই ছিল না। এহেন অবস্থায় উপত্যকায় দুর্ভিক্ষের কারণে ইসরাইলি বন্দীদের দুর্দশা বৃদ্ধি করা উচিৎ নয়। রোবিও বলেন, ট্রাম্প প্রশাসন গাজার মানবিক সমস্যা সমাধানে সবধরনের কাজ করে যাচ্ছে।
গাজায় যে হাজার হাজার মানুষ দুর্ভিক্ষে মারা যাচ্ছে সেটা বড় নয় বড় হলো ইসরাইলের ২০ জন মানুষ। ইসরাইল ৬০/৭০ হাজার ফিলিস্থিনিকে হত্যা করলো লক্ষাধিক ফিলিস্থিনিকে পঙ্গু করলো ৯০ শতাংশ বাড়িঘর মাটিতে মিশিয়ে দিলো এগুলো কোনটাই পশ্চিমাদের কাছে বড় নয়। তাহলে বড় কী? বড় হলো ২০ ইহুদী। কি আশ্চর্য!!
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই আগস্ট, ২০২৫ বিকাল ৩:২৯

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



