
দীর্ঘ ৯ মাসের মুক্তিযুদ্ধ, পাকিস্তানি বাহিনীর নির্মম অত্যাচার, রাজাকার আলবদরের মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী কর্মকান্ড, মুক্তিযুদ্ধ পূর্ব শেখের নেতৃত্ব এগুলো কোনটাই অস্বীকার করার কোন উপায় নেই; ইহা সূর্যের আলোর মতো সত্য। সেই সংগে সত্য সেইসব কথা যা সরাসরি বা সম্মুখযুদ্ধে যে বীর সেনানীরা অংশগ্রহণ করেছিলেন তাদের কথা। জীবন বাজি রেখে সম্মুখ সমরের যুদ্ধ করা বীর সেনানীর ইতিহাস ও হেমামালিনির নাচ দেখে ইতিহাস লেখা এক জিনিশ নয়।
ইদানীং লক্ষ্য করা যাচ্ছে খুনি, হেলমেট বাহিনী, ব্যাংক ডাকাত, বিদেশে টাকা পাচার কারী, আয়না ঘরের কারিগর, মুক্তি যুদ্ধের চেতনা ব্যবসায়ী, ভারতের দালাল গং একজোট হয়েছে। কেউ কেউ ভেক ধরেছে তারা '২৪ ঘোর সমর্থক কিন্তু তারা ইনিয়ে বিনিয়ে আম্লিগ তথা ভারতের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে মুক্তিযুদ্ধের ধারক বাহক সেজেছে। এই দালালদের কাছে মুজিব হাসিনার বাণী মানে ঐশি বা ঐশ্বরিক বাণী ইহাতে কোন ভুল নেই ভুল থাকতে পারেনা।
এই দালাল চক্র মুক্তিযুদ্ধের বিষয়ে কোন প্রশ্ন তুললেই তেড়ে আসে, অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে, রাজাকার-আলবদর বলে, রাজাকারের নাতিপুতি বলে, পাকি প্রেমিক বলে, পূর্বপুরুষ পাকিদের কাছে পরাজয় হয়েছে তাই মনের কষ্ট ভুলতে না পারার কথা বলে, পাকিস্তানে চলে যেতে বলে। এরা কারা? এদের মোটিভ কী? এরা কোন এজেন্ডা বাস্তবায়নে লিপ্ত? এরা কাদের ইশারায় চলছে?
লক্ষণীয় বিষয় হলো গণহত্যাকারী হাসিনার আমলে যে যত মুজিব মুজিব বলে গলা ফাটিয়েছিল সেই কুলাঙ্গার তত বড় ডাকাত ছিল, সেই কুলাঙ্গার তত বেশি টাকা বিদেশে পাচার করেছে। এখান থেকে বোঝা যায় এই দালাল চক্রও কোন না কোন ভাবে আম্লিগ আমলের উচ্ছিষ্ঠভোগী। এই উচ্ছিষ্ঠভোগীরাই এখন মুক্তিযুদ্ধের ধারক বাহক সেজেছে।
কথার প্রেক্ষিতে ধরে নিলাম আমি রাজাকার পাকি প্রেমী তাই বলে কি সম্ভব বাংলাদেশকে পাকিস্তানের সংগে আবার আগের মতো এক করা? এটা কেউ ভাবতে পারে? এটা কি আদৌ সম্ভব? আসল কথা হলো এরা ভারতের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে উঠেপড়ে লেগেছে, মুক্তিযুদ্ধ বা তার ইতিহাস এদের কাছে অছিলা মাত্র।
২৫ বছরে পাকিস্তান বাংলাদেশ থেকে যত সম্পদ লুট করেছে '৭১ ডিসেম্বরের কয়দিনে ভারত তার কয়েকগুণ বেশি সম্পদ(কয়েক বিলিয়ন মার্কিন ডলার) লুট করেছিল এই দালাল চক্র সেকথা বেমালুম ভলে গেছে ভোলার ভান করছে।
সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে আগস্ট, ২০২৫ বিকাল ৩:৩২

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



